জাবি উপাচার্যকে অপসারণের দাবিতে মশাল মিছিল

বিবিধ, ক্যাম্পাস

জাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম | 2023-08-29 22:24:57

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলামের অপসারণের দাবিতে মশাল মিছিল করেছেন আন্দোলনকারী শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।

মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) রাত ৮টায় ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর’ ব্যানারে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারের পাদদেশ মিছিলটি শুরু হয়। মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে বটতলায় সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।

সমাবেশে বক্তারা জানান, আগামী বুধবার উপাচার্য নিজ কার্যালয়ে আসলে অবরুদ্ধ করা হবে এবং তাকে কোনো প্রশাসনিক কাজ করতে দেওয়া হবে না। আন্দোলনকারীরা বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে পুরনো প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নেবে বলেও জানান।

সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ দিদার বলেন, ‘উপাচার্যের কাছে আসা যৌন নিপীড়নের অভিযোগের তদন্ত ও বিচার না করে তিনি অভিযুক্তদেরকে নিজের দলে ভেড়ান। দুর্নীতি ও বিভিন্ন অপকর্মে সম্পৃক্ত এই উপাচার্যের অপসারণের দাবিতে আমরা নৈতিক দায়বোধ থেকে আন্দোলন করছি। কাল থেকে তাকে আর কোনো প্রশাসনিক কাজ করতে দেওয়া হবে না।’

সংক্ষিপ্ত সমাবেশে জাবি ছাত্র ইউনিয়নের কার্যকরী সদস্য রাকিবুল রনি বলেন, ‘প্রকল্পের অর্থ থেকে যারা ভাগ পেয়েছে তাদের স্বীকারোক্তির পরও তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। উপাচার্য চোর-বাটপারের মতো দুর্নীতি করেছে, তা আমাদের কাছে স্পষ্ট। উপাচার্যসহ তার সমর্থকেরাও দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত। এই উপাচার্যকে অপসারণ না করা পর্যন্ত তাকে অবরুদ্ধ করে রাখা হবে।’

দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক তাজরিন ইসলাম তন্বী বলেন, ‘কুশপুতুল দাহ করার কারণে অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম নারী হিসেবে সহানুভূতি দাবি করেন। কিন্তু আমরা দেখেছি ২০১৪ সালে যখন এক নারী শিক্ষার্থী যৌন নিপীড়নের অভিযোগ তুললেন তখন এই উপাচার্য নিপীড়কদের পক্ষ নিয়েছেন। ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগ, সরকার ও রাজনীতি বিভাগের যৌন নিপীড়কের পক্ষ নিয়েছেন। এরপর আর কোনোভাবেই অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম কোন সহানুভূতি পেতে পারেন না।’

মশাল মিছিল ও সংক্ষিপ্ত সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন- অধ্যাপক রায়হান রাইন, আনোয়ারুল্লাহ ভূঁইয়া, শামীমা সুলতানা, খবির উদ্দিন, নূরুল ইসলাম, নাজমুল হাসান তালুকদার, তারেক রেজা, আবু সাঈদ মো. মোস্তাফিজুর রহমান, খন্দকার হাসান মাহমুদ প্রমুখ।

এছাড়া জাবি শাখা ছাত্র ইউনিয়ন, ছাত্র ফ্রন্ট, জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোট, বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা মশাল মিছিল ও সমাবেশে অংশ নেন।

এ সম্পর্কিত আরও খবর