পাবিপ্রবির ৩ শিক্ষকের শোকজ প্রত্যাহারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

বিবিধ, ক্যাম্পাস

ডিস্ট্রিক করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, পাবনা | 2023-08-23 00:14:40

পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগে ভিসির বিরুদ্ধে আট লাখ টাকা ঘুষ গ্রহণ সংক্রান্ত কথোপকথনের অডিও ভাইরালের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন শিক্ষক ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন। এ ঘটনায় ওই তিন শিক্ষককে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ শোকজ নোটিশ দিয়েছেন।

এর প্রতিবাদে সোমবার (২৮ অক্টোবর) সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করছে শিক্ষার্থীরা।

জানা যায়, সম্প্রতি পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগে ভিসির বিরুদ্ধে এক পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে আট লাখ টাকা ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ উঠে। একই সঙ্গে ওই অনৈতিক লেনদেনের কথোপকথনের অডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজনেস এন্ড ম্যানেজমেন্ট এডমিনিস্ট্রেশন (বিবিএ) বিভাগের সহকারী অধ্যাপক কামাল হোসেন, অর্থনীতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ইয়াহিয়া ব্যাপারী ও ইউআরপি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক কামরুল হাসান ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন।

পাবিপ্রবি সূত্র জানায়, এ ঘটনায় ফেসবুকে তাদের মতামত দেওয়ায় তিন শিক্ষককে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ শোকজ করেছে। এ ঘটনার প্রতিবাদে এবং শোকজ প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে তিন বিভাগের শিক্ষার্থীরা সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। তারা তাদের শিক্ষকদের শোকজ প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে বিভিন্ন স্লোগান দেয়।

প্রশাসনিক ভবনের সামনে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

কয়েকজন শিক্ষার্থীর সঙ্গে আলাপকালে তারা বলেন, অনিয়মতান্ত্রিক ভাবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আমাদের বিভাগের শিক্ষকদের শোকজ করেছেন। যা আমরা মানতে পারছি না। অবিলম্বে শিক্ষকদের শোকজ প্রত্যাহার করতে হবে।

এদিকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন শিক্ষকের সঙ্গে আলাপকালে তারা বলেন, প্রাতিষ্ঠানিক নিয়মের মধ্যেই প্রতিষ্ঠান চলবে এটাই স্বাভাবিক। প্রশাসন কোন পদক্ষেপ নিয়ে সেই বিষয়ের সমস্যার সমাধান ও সুরাহা কর্তৃপক্ষই করবে এবং দাবি থাকলে অভিযুক্তরা সেটা প্রশাসনের নিকট উপস্থাপন করবেন। কিন্তু এখানে শিক্ষার্থীদের ব্যবহার করা মোটেও ঠিক কাজ নয়।

তারা বলেন, বিষয়টি শিক্ষক ও প্রশাসনের ব্যাপার। এখানে শিক্ষার্থীদের জড়ানোর কোন সুযোগ নেই। শিক্ষার্থীরা এখানে পড়ালেখা করতে এসে কতিপয় শিক্ষকদের আন্দোলনের বলি হতে পারে না।

এ বিষয়ে প্রক্টর প্রীতম কুমার দাসের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে মোবাইল ফোনে পাওয়া যায়নি।

এ সম্পর্কিত আরও খবর