হল বন্ধের ঘোষণা প্রত্যাখ্যান করে আন্দোলনে শিক্ষার্থীরা

, ক্যাম্পাস

জাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম | 2023-08-29 16:05:31

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলামকে অপসারণের দাবিতে চলা আন্দোলনে ছাত্রলীগের হামলার পর জাহাঙ্গীরনগর বিশ্বদ্যিালয়ের সকল আবাসিক হল বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। তবে সে ঘোষণা প্রত্যাখ্যান করে আন্দোলনে যোগ দিয়েছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।

প্রশাসনের বেঁধে দেয়া সময়ে তারা হল ত্যাগ না করে এ সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে এসেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের সবক’টি আবাসিক হলের ছাত্রছাত্রীরা এ আন্দোলনে যোগ দিয়েছেন। তাদের সঙ্গে রয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের একটি অংশ।

মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) রাতের ঘোষণা অনুযায়ী বুধবার (৬ নভেম্বর) সকাল থেকে আবারও ক্যাম্পাসে অবস্থান নিয়েছেন আন্দোলনকারী শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।

সরেজমিনে দেখা যায়, সকাল থেকেই বিশ্ববিদ্যালয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে জড়ো হতে শুরু করেছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। এছাড়াও আসতে শুরু করেছেন শিক্ষকরা। শহীদ মিনারের সামনে ব্যানার ফেস্টুন হাতে তৈরি হচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের মদদে ছাত্রলীগের হামলা ও হল ভ্যাকেন্টের প্রতিবাদে পুরো ক্যাম্পাসে মিছিল করছেন এসব শিক্ষক শিক্ষার্থীরা।

এর আগে মঙ্গলবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সুফিয়া কামাল, প্রীতিলতা, জাহানারা ইমামসহ আরও কয়েকটি হল থেকে নারী শিক্ষার্থীরা হল গেটের তালা ভেঙে বেরিয়ে আসেন এবং আন্দোলনের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করেন।

এছাড়া উপাচার্যের অপসারণ দাবিতে সোমবার (৪ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৭টা থেকে উপাচার্যের বাসভবন ঘেরাও করেছে রেখেছিলেন 'দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর' ব্যানারে আন্দোলনরত শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।

এর প্রেক্ষিতে গতকাল মঙ্গলবার সকাল সোয়া ১১টায় উপাচার্য সমর্থক শিক্ষক-কর্মকর্তারা উপাচার্যকে বাসা থেকে বের করে তার কার্যালয়ে নিয়ে যেতে আসেন।

এ সময় উপাচার্য সমর্থক শিক্ষক ও আন্দোলনকারীদের সঙ্গে উত্তপ্ত বাক-বিতণ্ডা চলতে থাকে। এর মধ্যেই পৌনে ১২টার দিকে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. জুয়েল রানার নেতৃত্বে একটি মিছিল নিয়ে ঘটনাস্থলে এসে আন্দোলনকারীদের এলোপাতাড়ি মারধর করতে শুরু করে। আর এ হামলায় শিক্ষক, সাংবাদিকসহ ৩৫ জন আহত হন বলে জানা যায়।

এ সম্পর্কিত আরও খবর