জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলামকে অপসারণের দাবিতে চলা আন্দোলনে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে আন্দোলনকারীরা। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সভা সমাবেশ ও মিছিল নিষিদ্ধের আদেশ প্রত্যাখ্যান করে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন তারা।
বুধবার (৬ নভেম্বর) রাতে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে এ ঘোষণা দেন আন্দোলনকারীরা।
কর্মসূচি ঘোষণাকালে আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক ছাত্রফ্রন্ট নেতা মাহাথির মুহাম্মদ বলেন, ‘আগামীকাল সকাল নয়টায় প্রশাসনিক ভবনে তালা, ১২টায় বিক্ষোভ মিছিল এবং সন্ধ্যা ছয়টায় উপাচার্যের বাসভবনের সামনে কনসার্ট। উপাচার্যের অপসারণ না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে।'
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা এই অবৈধ উপাচার্যের সমস্ত কার্যক্রম প্রত্যাখ্যান করছি। সুতরাং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের গৃহীত কোন সিদ্ধান্ত আমরা মানি না। ফারজানা ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করেছেন, কিন্তু তার অফিস চালু রেখেছেন। এর কারণ হলো শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাসের বাইরে পাঠিয়ে লুটপাট চালু রাখতে চান তিনি।’
মাহাথির অভিযোগ করে বলেন, ‘আমাদের ফেসবুক পেজ হ্যাক করা হয়েছে এবং সেখানে আন্দোলন সম্পর্কে বিভ্রান্তিকর তথ্য পরিবেশন করা হচ্ছে। আমাদের আন্দোলনকে দমানোর জন্য ফারজানা ইসলাম তার সব ধরনের অস্ত্র ব্যবহার করে ফেলেছেন। উপাচার্যের পতন না হওয়া পর্যন্ত আমাদের এই আন্দোলন চলবে।’
এর আগে রাত ৮টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ অফিসের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক সালাম সাকলাইন স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সব ধরনের সভা-সমাবেশ ও মিছিলে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ৫ নভেম্বর ২০১৯ তারিখে অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেটের জরুরি সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ৬ নভেম্বর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল ক্লাস ও পরীক্ষা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। ইতোমধ্যে শিক্ষার্থীরা আবাসিক হলসমূহ ত্যাগ করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরের দোকানপাটও বন্ধ করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ মনে করেন, এই সময়ে ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে কোনো শিক্ষার্থীর অবস্থান সমীচীন নয়।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের বাইরে এবং ভিতরে অবস্থানরত কোনো শিক্ষার্থী ক্যাম্পাসে সভা-সমাবেশ, মিছিল করতে পারবে না এছাড়া কোনো অফিস বা আবাসিক এলাকায় অবস্থান করতে পারবে না।