জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলামের অপসারণের দাবিতে নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে আন্দোলন অব্যাহত রেখেছেন আন্দোলনকারী শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
শুক্রবার (৮ নভেম্বর) বেলা ১২টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরাতন প্রশাসনিক ভবনের সামনে জড়ো হতে শুরু করেন আন্দোলনকারীরা। এরপর পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী চিত্রাঙ্কন শুরু করা হয়। চিত্রাঙ্কন শেষে এটি পুরো ক্যাম্পাসে প্রদর্শন করবেন তারা।
শিক্ষার্থীরা বলছেন, চিত্রের মাধ্যমে অন্যায় ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে তাদের প্রতিবাদের ভাষা প্রকাশ করছেন। চিত্রের মাধ্যমে উপাচার্যের দুর্নীতি, স্বেচ্ছাচারিতা, ছাত্রলীগ দ্বারা আন্দোলনকারীদের ওপর হামলাসহ সকল অনিয়ম তুলে ধরছেন তারা। একই সাথে উপাচার্যের অপসারণ চাইছেন।
এছাড়া শুক্রবার শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনে (ইউজিসি) উপাচার্যের বিরুদ্ধে দুর্নীতির তথ্য-উপাত্ত জমা দেবেন আন্দোলনকারী শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
এর আগে গত মঙ্গলবার উপাচার্যের অপসারণের দাবিতে তার বাসভবনের সামনে অবস্থানরত শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায় ছাত্রলীগ।
এতে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও সাংবাদিকসহ অন্তত ৩৫ জন আহত হন। এর প্রেক্ষিতে ঐদিন সিন্ডিকেটের এক জরুরি সভায় অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্যাম্পাস ও আবাসিক হল বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
এছাড়া গত বুধবার রাতে এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ক্যাম্পাসে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞাসহ সকল ধরণের মিছিল ও সমাবেশ নিষিদ্ধ করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
তবে উপাচার্য অপসারণের এক দফা দাবি নিয়ে এসব নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করেই আন্দোলন অব্যাহত রেখেছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
উপাচার্য অপসারণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবেন জানিয়ে আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক অধ্যাপক রায়হান রাইন বলেন, 'হামলা-মামলা ও হুমকিতে অগ্রাহ্য করে নৈতিকস্খলন ও দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত উপাচার্যকে অপসারণ এবং দুর্নীতিতে জড়িত সকলের রাষ্ট্রীয় আইনে বিচার নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত আমাদের এই আন্দোলন চলবে।'