নতুন সড়ক আইন সংশোধনসহ দশ দফা দাবিতে খুলনায় চলছে পরিবহন ধর্মঘট। এতে চিন্তায় পড়েছেন যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) প্রথম বর্ষের ভর্তিচ্ছু ও তাদের অভিভাবকগণ। ধর্মঘট চলমান থাকলেও পেছানো হচ্ছে না ভর্তি পরীক্ষা। এতে অনেক ভর্তিচ্ছুর পরীক্ষায় অংশগ্রহণ অনিশ্চিত হয়ে পড়বে।
মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) দুপুরে যবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ভর্তি পরীক্ষা সংক্রান্ত স্টিয়ারিং কমিটির সভা হয়। সভায় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী যবিপ্রবি ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
আগামী ২১ নভেম্বর বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টা থেকে ১১টা পর্যন্ত ‘এ’ ইউনিট, দুপুর সাড়ে ১২ থেকে ২টা পর্যন্ত ‘বি’ ইউনিট এবং বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে ৫টা পর্যন্ত ‘সি’ ইউনিটের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ২২ নভেম্বর শুক্রবারের সকল পরীক্ষা বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত হবে। শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত ‘ডি’ ইউনিট, বেলা ১১টা থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত ‘ই’ ইউনিট এবং বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে ৫টা পর্যন্ত ‘এফ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
এ প্রসঙ্গে যবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, ভর্তি পরীক্ষা একটি বিরাট কর্মযজ্ঞ। একইসঙ্গে একটি স্পর্শকাতর বিষয়। ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতি এখন এমন পর্যায়ে যে, ভর্তি পরীক্ষা পেছানোর আর কোনো সুযোগ নেই। পরিবহন মালিক-শ্রমিক এবং এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকলের নিকট আমার আহ্বান থাকবে, ছেলে-মেয়েদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে ভর্তি পরীক্ষার সময় আপনারা পরিবহন চলাচল বন্ধ রাখবেন না।
তিনি আরও বলেন, ভর্তি পরীক্ষার সময় ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী এবং তাদের অভিভাবকদের জন্য যশোর শহর থেকে পরীক্ষার কেন্দ্রগুলোতে যাতায়াতের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে পর্যাপ্ত পরিবহন ব্যবস্থা থাকবে।
যশোর জেলা পরিবহন সংস্থা শ্রমিক সমিতি’র সভাপতি মামুনূর রশীদ বাচ্চু বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, সোমবার রাতে সার্কিট হাউজে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। জেলা প্রশাসন থেকে ধর্মঘট প্রত্যাহারের আহ্বান জানানো হয়েছে। বিশেষ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার জন্য মানবিক বিবেচনায় গাড়ি চালুর কথা বলা হয়েছে। আমরা শ্রমিকদের বলেছি। কিন্তু তারা গাড়ি চালাতে চায় না। কেউ গাড়ি চালাতে না চাইলে বাধ্য করতে পারি না।
তিনি আরও বলেন, পরীক্ষা উপলক্ষে গাড়ি রিজার্ভ করলে কেউ বাধা দিবে না। এছাড়াও স্বেচ্ছায় কেউ গাড়ি চালালে রাস্তায় কেউ বাধা দিবে না। যদি কেউ বাধা দেয় কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।