বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যার ঘটনায় ২৬ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করেছে কর্তৃপক্ষ।
বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) রাতে বুয়েটের ডি এস ডব্লিউ অধ্যাপক মিজানুর রহমান খান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।
স্থায়ীভাবে বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীরা হলেন- মেহেদী হাসান রাসেল, ইফতি মোশাররফ সকাল, মো. মনিরুজ্জামান মনির, অনিক সরকার, মেফতাহুল ইসলাম জিয়ন, মো. মুজাহিদুর রহমান, মেহেদী হাসান রবিন, খন্দকার তাবাককারুল ইসলাম তানভীর, মুনতাসির আল জেমি, এহতেশামুল রাব্বী তানিম, মোর্শেদ অমর্ত্য ইসলাম, এ এস এম নাজমুস সাদাত, মো. শামীম বিল্লাহ, মোয়াজ আবু হোরায়রা, হোসাইন মোহাম্মদ তোহা, মুজতবা রাফিদ, মো. মিজানুর রহমান, মো. আশিকুল ইসলাম, এস এম মাহমুদ, ইশতিয়াক আহমেদ মুন্না, মুহতাসিম ফুয়াদ, মো. মাজেদুর রহমান, অমিত সাহা, মো. শামসুল আরেফিন, মো. মোর্শেদ-উজ-জামান মণ্ডল ও মো. আকাশ হোসেন।
গত ৬ অক্টোবর রাতে বুয়েটের শের-ই বাংলা হলের ২০১১ নম্বর কক্ষে ডেকে নিয়ে আবরারকে পিটিয়ে হত্যা করেন বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী। পরদিন আবরারের বাবা বরকতউল্লাহ ১৯ জনকে আসামি করে রাজধানীর চকবাজার থানায় হত্যা মামলা দাযের করেন। পরে প্রাথমিক তদন্তে ও সিসিটিভি ফুটেজ দেখে এ ঘটনায় বুয়েটের ২৬ শিক্ষার্থীর জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়ায় তাদের মামলায় আসামি করা হয়। এর মধ্যে ২৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দিয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ।
এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণে মোহাম্মদ গালিব, আবু নওশাদ সাকিব, মো. শাওন মিয়া, সাখাওয়াত ইকবাল অভি, মো. ইসমাইল ও মো. সাইফুল ইসলাম নামে ছয় শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি দেওয়া হয়েছে।