সাত কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা আগামী ৩০ নভেম্বরেই অনুষ্ঠিত হবে।
মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) ইউজিসি সদস্য ও গুচ্ছপদ্ধতি ভর্তি পরীক্ষা কমিটির আহ্বায়ক প্রফেসর ড. মো. আখতার হোসেন স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশের কৃষি ও কৃষি শিক্ষা প্রাধান্য সাতটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষে গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা যথারীতি আগামী ৩০ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। ভর্তি পরীক্ষার কেন্দ্র ও আসন বিন্যাসসহ সকল প্রস্তুতি ইতোমধ্যে সম্পন্ন করা হয়েছে।
শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগ লাঘব, আর্থিক ক্ষতি রোধ এবং দেশবাসীর দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা পূরণের এ উদ্যোগ বাস্তবায়নে সকলের সমর্থন ও সহযোগিতা কামনা করা হয়েছে এ বিজ্ঞপ্তিতে।
জানা গেছে, দেশের সাতটি কৃষি প্রধান পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষে সমন্বিত পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কিন্তু সমন্বিত পদ্ধতিতে সাতটি কৃষি বিজ্ঞান বিষয়ে ডিগ্রী প্রদানকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট আসন সংখ্যার মাত্র দশগুণ শিক্ষার্থীকে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ গ্রহণের সুযোগ দেওয়া হয়েছে। বাকি সিংহভাগ আবেদনকারীকে এসএসসি ও এইচএসসি বা সমমান জিপিএ ফলাফলের ভিত্তিতে বাদ দেওয়া হয়েছে যা বিজ্ঞপ্তিতেই উল্লেখ ছিল।
এদিকে সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষায় নির্ধারিত আসনের ১০ গুণের বেশি শিক্ষার্থী অংশ নিতে পারবে না। এমন শর্ত কেন অবৈধ ও বেআইনি ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়েছে। শিক্ষা সচিব, সাতটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিসহ ১১ বিবাদীকে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ গত ২৪ নভেম্বর এই রুল জারি করেন।
উল্লেখ্য, বিজ্ঞপ্তির শর্ত অনুযায়ী সাতটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে যে আসন আছে তাতে প্রায় ৩৪ হাজার শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে। কিন্তু আবেদন করেছে ৭৪ হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থী।
আবেদনকারীদের প্রত্যেকের কাছ থেকে এক হাজার টাকা করে নেওয়া হয়েছে। ফলে প্রায় ৪০ হাজার শিক্ষার্থী অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে। এ অবস্থায় ভর্তি পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে এবং সকল আবেদনকারীর অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়ার নির্দেশনা চেয়ে রিট আবেদন করা হয়।