খুলনায় পাটকল শ্রমিকদের ঘোষিত ১১দফা দাবিতে আমরণ অনশনরত এক পাটকল শ্রমিকের মৃত্যুর প্রতিবাদে এবং তাদের ন্যায্য দাবি বাস্তবায়নে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখার নেতা-কর্মীরা।
শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের মুরাদ চত্বর থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু হয়ে গুরুত্বপূর্ণ সড়কসমূহ প্রদক্ষিণ করে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের পাদদেশে এক প্রতিবাদ সমাবেশের মধ্যে দিয়ে শেষ হয়। প্রতিবাদ সমাবেশের শুরুতে ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বরে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে ১ মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
সমাবেশে পাটকল শ্রমিকদের বকেয়া মজুরি-ভাতা পরিশোধ, ছাঁটাইকৃত শ্রমিকদের কাজে পুনর্বহাল, পাটকলের বর্তমান চেয়ারম্যান ও পরিচালকের অপসারণ সহ শ্রমিদের ঘোষিত এগারো দফার প্রতি সমর্থন জানান নেতা কর্মীরা। এছাড়া অতি দ্রুততার সঙ্গে এসব দাবি বাস্তবায়ন করার জন্য সরকারের কাছে আহ্বান জানান তারা।
সমাবেশে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার পরিষদের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার মুখপাত্র খান মুনতাসির আরমান বলেন, ‘বাংলাদেশে বর্তমানে যে রাষ্ট্রীয় দুর্বৃত্তায়ন ও নৈরাজ্য চলছে তা প্রকট আকার ধারণ করেছে। আজ শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস ও বিজয় দিবসের প্রাক্কালে দেশের সাধারণ শ্রমিক ও মেহনতি মানুষকে বিজয়ের স্বাদ অনুভব করতে হচ্ছে রাজপথে ভুখা থেকে। শ্রমিকরা তাদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। শুধু শ্রমিকের প্রতি অন্যায় হচ্ছে তাই নয় রাষ্ট্রের সকল স্তরে দুর্নীতি, অনিয়ম, অবিচার রাষ্ট্রীয় অপশাসন অনাচারের কালো থাবা পড়েছে। কোন ছাত্র- শ্রমিক- সাধারণ জনতা তাদের ন্যায্য দাবি রাজপথে নামা ছাড়া আদায় করতে পারছে না। বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ আপামর সাধারণ ছাত্রজনতাকে সকল প্রকার দুর্নীতি অনিয়মের বিরুদ্ধে সংগ্রামের জন্য আহ্বান করছে।’
আন্দোলনের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন জাবি সংসদের সদস্য রাকিবুল হক রনি।
উল্লেখ্য, গত ১২ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় জুরি কমিশন বাস্তবায়নসহ ১১ দফা দাবিতে আমরণ অনশন কর্মসূচি শুরু করে খুলনার পাটকল শ্রমিকরা। অনশন চলা অবস্থায় অসুস্থ হয়ে পড়েন পাটকল শ্রমিক আব্দুস সাত্তার (৫৫)। পরবর্তীতে হাসপাতালে নিলে তার মৃত্যু হয়।