ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) সংস্থাপন শাখার অধীন দৈনিক মজুরিভিত্তিক (ডে লেবার) কর্মচারীদের বরাদ্দকৃত বেতন প্রদানে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। সংস্থাপন শাখা থেকে যে বেতন পাস করা হয়, তা যথাযথ প্রদান করা হয় না বলে অভিযোগ কর্মচারীদের।
তাদের দাবি, নভেম্বর মাসে সংস্থাপন শাখা থেকে যে নির্দিষ্ট পরিমাণ বেতন পাস করা হয়, তা যথাযথ প্রদান করা হয়নি। পাসকৃত মোট বেতন থেকে কর্মচারীদের এক হাজার থেকে সাড়ে তিন হাজার টাকা পর্যন্ত কম দেয়া হয়েছে।
সর্বশেষ বিষয়টি নজরে আসার পর মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) অভিযোগটি যাচাই-বাছাইয়ের জন্য তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) এস এম আব্দুল লতিফ স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে বিষয়টি জানানো হয়।
তদন্ত কমিটিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান অনুষদের ডীন ড. মো. মোস্তফা কামালকে আহবায়ক করা হয়েছে। এছাড়া কমিটির সদস্য করা হয়েছেন আইন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. আনিচুর রহমান এবং উপ-প্রধান প্রকৌশলী এ কে এম শরীফ উদ্দীনকে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়োগকৃত কর্মচারী বাদেও সংস্থাপন শাখার অধীন থোক (চুক্তি ভিত্তিক চাকুরি) এবং দৈনিক মজুরিভিত্তিক (ডে লেবার) কর্মচারী বিশ্ববিদ্যালয়ে কাজ করে থাকেন। প্রতিমাসে এসব কর্মচারীদের বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে বেতন প্রদান করা হয়।
গত নভেম্বর মাসে সংস্থাপন শাখার অধীন ১৩৭ জন কর্মচারী বিভিন্ন বিভাগ, আবাসিক হল, বিভিন্ন দপ্তর এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সৌন্দর্য বর্ধনে কাজ করেন। বিভিন্ন বেতনে চুক্তিভিত্তিক ১৩৭ জনের মধ্যে ১৩৩ জনের বিল করা হয়। তাদের মোট বিল হয় ৮ লক্ষ ৩৮ হাজার ৪৫৬ টাকা।
তবে কর্মচারীদের অভিযোগ, নভেম্বর মাসে শাখা থেকে যে নির্দিষ্ট পরিমাণ বেতন পাস করা হয় সেটি তাদের যথাযথভাবে প্রদান করা হয়নি। পাসকৃত মোট বেতন থেকে কর্মচারীদের এক হাজার থেকে সাড়ে তিন হাজার টাকা পর্যন্ত কম দেয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে কথা বললে বেশ কয়েকজন পরিচ্ছন্নতা কর্মী জানান, চুক্তিভিত্তিক মোট সাড়ে ৫ হাজার টাকা করে বেতন প্রদান করা হয়। কিন্তু তারা পরে খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন নভেম্বর মাসের তাদের পাসকৃত বেতন ৯ হাজার টাকা। দফতর থেকে ৯ হাজার টাকা পাস করা হলেও তাদের বেতন দেয়া হয়েছে মাত্র সাড়ে ৫ হাজার টাকা।