গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, জঙ্গিবাদ ও সাম্প্রদায়িকতা রুখতে হলে সুস্থ সংস্কৃতি চর্চার বিকল্প নেই। এক্ষেত্রে আমাদেরকে বাঙালি সংস্কৃতির চর্চা করতে হবে।
তিনি বলেন, আমাদের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি এসেছে, কিন্তু নৈতিকতা ও মূল্যবোধের কাঙ্ক্ষিত অর্জন হয়নি। যে মানুষ সংগীতকে লালন, ধারণ ও চর্চা করেন তিনি জঙ্গিবাদ ও সাম্প্রদায়িকতায় নিজেকে জড়াবেন না। সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প থেকে নিজেকে দূরে রাখতে পারেন।
মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) মিলনায়তনে ‘২৫ বছর পূর্তি ও বার্ষিক সংগীত উৎসব-২০১৯’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
ঢাবির সংগীত বিভাগের ২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে অনুষ্ঠানটির আয়োজন করা হয়। এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ। অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগের চেয়ারপারসন টুম্পা সমদ্দারসহ বিভাগের বর্তমান ও সাবেক শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে গণপূর্তমন্ত্রী বলেন, সাম্প্রদায়িকতা, নৈতিকতা ও মূল্যবোধের অবক্ষয় থেকে ফিরে আসা আজ অত্যন্ত জরুরি। সেক্ষেত্রে সংগীত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। মানবতার জন্য, মনুষ্যত্ব ও সুকুমার বৃত্তির বিকাশের জন্য সংগীতের প্রয়োজন। অসাম্প্রদায়িক, সমৃদ্ধ, আধুনিক ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে অপার সম্ভাবনার মোহনীয় তান যোগাতে পারে সংগীত। তবে অপসংস্কৃতি যেন আমাদেরকে গ্রাস করতে না পারে, সেজন্য বাঙালির নিজস্ব জারি, সারি, ভাটিয়ালি, পটের গানকে জাগ্রত করতে হবে।
অনুষ্ঠানে সংগীত বিভাগের শিক্ষার্থী খন্দকার আনিকা ইসলামের হাতে নীলুফার ইয়াসমিন স্মারক বৃত্তি তুলে দেয়া হয় এবং একই বিভাগের প্রয়াত শিক্ষক শিল্পী নীলুফার ইয়াসমিনকে গুণীজন সংবর্ধনা দেয়া হয়।
এর আগে সকালে দুই দিনব্যাপী এ অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামান।