জাবিতে উপাচার্য অপসারণের দাবিতে ফের বিক্ষোভ

বিবিধ, ক্যাম্পাস

জাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2023-08-31 16:18:32

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলামকে অপসারণের দাবিতে ফের বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে আন্দোলনকারী শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।

বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) দুপুরে দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর ব্যানারে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান অনুষদ থেকে মিছিলটি শুরু হয়। মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদ, বিভাগ ও গুরুত্বপূর্ণ সড়কসমূহ প্রদক্ষিণ করে মুরাদ চত্বরে এসে শেষ হয়।

মিছিল শেষে উপাচার্যকে অপসারণ এবং তার বিরুদ্ধে উত্থাপিত দুর্নীতির অভিযোগ তদন্ত করে বিচারের দাবি করেন আন্দোলনকারী শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করারও দাবি করেন তারা।

উপাচার্য অপসারণের দাবি জানান তারা

সমাবেশে দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর আন্দোলনের সমন্বয়ক অধ্যাপক রায়হান রাইন বলেন, ‘উপাচার্য প্রতিটি ক্ষেত্রে উচ্চপদস্থদের হস্তক্ষেপ কামনা করে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বায়ত্তশাসন নষ্ট করছেন। অধ্যাপক ফারজানা ইসলামকে আর পদে দেখতে চাই না। তাকে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে অপসারণ করা না হলে কঠোর কর্মসূচি দেয়া হবে।’

ছাত্র ইউনিয়ন বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের সদস্য রাকিবুল রনি বলেন, 'মেয়েদের হল নির্মাণের দুর্নীতির খবর সামনে এসেছে। দুর্নীতি বিরোধী আন্দোলনের মধ্যেও, সরকারের জিরো টলারেন্সের মধ্যেও এই ভিসি দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেন যখন, তখন সাড়ে চৌদ্দশো কোটি টাকার একশো কোটি টাকাও বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নে ব্যয় হবে কিনা সে ব্যাপারে আমরা শঙ্কিত।'

সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের দফতর সম্পাদক রেবেকা আহমেদ বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন প্রকল্পের অপরিকল্পনা ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমরা দীর্ঘদিন আন্দোলন করে আসছি। চলমান প্রকল্পের অধীন ছাত্রীদের তিনটি হলের কাজের সঙ্গে শিডিউলের প্রায় ১৪ কোটি টাকার হিসাব মিলছে না। আমাদের দাবি উপাচার্যকে অপসারণের মধ্য দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুর্নীতির পথ বন্ধ করা হোক।’

সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের জাবি শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক শোভন রহমানের সঞ্চালনায় সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন বাংলা বিভাগের অধ্যাপক শামীমা সুলতানা, জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোটের সহ-সভাপতি ওয়াসিম সাজ্জাদ, বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের সদস্য ইকবাল হোসাইন প্রমুখ।

মিছিল ও সমাবেশে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, ছাত্রফ্রন্ট, বাংলাদেশ সাধারন ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের শতাধিক নেতা-কর্মী অংশগ্রহণ করেন।

এ সম্পর্কিত আরও খবর