ভিপি নুরুল হক নুরসহ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার বিচার ও ব্যর্থ প্রক্টরের অপসারণসহ চার দফা দাবিতে রাজধানীতে সন্ত্রাসবিরোধী গণপদযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে ঢাবির সন্ত্রাসবিরোধী রাজুভাস্কর্যের পাদদেশ থেকে সংক্ষিপ্ত এক সমাবেশ শেষে গণপদযাত্রা শুরু করেন বারোটি সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
এ সময় বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম আহবায়ক রাশেদ খান বলেন, সেদিন তাদের উদ্দেশ্য ছিল আমাদেরকে হত্যা করা।কিন্তু তারা হত্যা করতে পারেনি। তারা আমাদের ওপর হামলা চালিয়েছে এটা নতুন না। কোটা আন্দোলন থেকে শুরু করে একের পর এক হামলা চালানো হচ্ছে। একটি হামলারও বিচার পাইনি। তাই সন্ত্রাসীরা তাদের কর্মকাণ্ড অব্যাহত রেখেছে।
ভুক্তভোগী এই শিক্ষার্থী বলেন, পুলিশের মামলার উদ্দেশ্য সনজিত-সাদ্দাম এবং ছাত্রলীগকে রক্ষা করা। আমাদের অভিযোগ সম্পর্কে পুলিশ এখনও কোনো আপডেট দেয়নি।
ক্ষোভ প্রকাশ করে রাশেদ বলেন, মার খেয়েছি, হাসপাতালে গিয়েছি, আইসিউতে গিয়েছি আবার আমাদের বিরুদ্ধে মামলাও করা হয়েছে। তাহলে এই দেশ কোথায় আছে।
ডাকসুর সমাজসেবা সম্পাদক আখতার হোসেন বলেন, সারাদেশে আজ ছাত্রলীগ ত্রাসের অভয়ারণ্য সৃষ্টি করেছে। শুধুমাত্র দেশের স্বার্থে কথা বলায় আমাদের ভাই আবরারকে হত্যা করেছে ভারতের দালালরা। সন্ত্রাসের দখলকে আমরা ভেঙে চুরমার করে দেব।
এ সময় সন্ত্রাসবিরোধী ছাত্র ঐক্য থেকে তিনি তাদের বিরুদ্ধে করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার, ছাত্রলীগ নেতাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা, প্রক্টরকে পদত্যাগ করার দাবি জানান।
সন্ত্রাসবিরোধী গণপদযাত্রাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ ফটক প্রদক্ষিণ করে নীলক্ষেত যায়। সেখান থেকে কাটাবন হয়ে শাহবাগ মোড় প্রদক্ষিণ করে আবার রাজুভাস্কর্যে ফিরে আসার কথা রয়েছে।