ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) ভর্তি জালিয়াতি চক্রের এক সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ। ভর্তির প্রলোভন দেখিয়ে টাকা নেওয়ার অভিযোগে গত শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) তাকে আটক করা হয় বলে জানিয়েছেন ইবি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) জহুরুল ইসলাম।
আটককৃতের নাম সাদ্দাম হোসেন। তিনি ঝিনাইদহ জেলার হরিণাকু থানার ভায়না গ্রামের আব্দুল আজিজের ছেলে। বর্তমানে তিনি কুষ্টিয়া সরকারি কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী বলে জানা গেছে।
আটকের পর সাদ্দাম হোসেনের কাছ থেকে নগদ ৮২ হাজার ৫০০ টাকা জব্দ করা হয়েছে। আর রোববার রাতে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর পরিবারকে জব্দকৃত টাকা ফেরত দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত ওই কর্মকর্তা।
ইবি থানা ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর অফিস সূত্রে জানা যায়, ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগে ভর্তির জন্য অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে এক ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীকে দেড় লাখ টাকার বিনিময়ে ভর্তি করে দেওয়ার আশ্বাস দেয় সাদ্দাম।
গত ২২ নভেম্বর প্রথম ধাপে তার কাছ থেকে বিকাশের মাধ্যমে ১০ হাজার টাকা ও পরে নগদ ৭৫ হাজার টাকা নেয় সাদ্দাম। কিন্তু ভর্তিচ্ছু এই শিক্ষার্থী অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে প্রক্রিয়াগতভাবে সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার বিভাগে ভর্তির সুযোগ পান।
পরে সাদ্দামের প্রতারণার বিষয়টি বুঝতে পারে ওই শিক্ষার্থী। এরপর বাকি টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে মুঠোফোনে ওই শিক্ষার্থীকে অপহরণ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে তাকে পড়তে না দেওয়ার হুমকি দেয় সাদ্দাম। হুমকির বিষয়টি ওই শিক্ষার্থীর মা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরকে জানালে পুলিশের সহযোগিতায় তাকে আটক করা হয়।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থী জানান, প্রথমে কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ না পাওয়ায় আমি খুব হতাশ ছিলাম। এক বন্ধুর সঙ্গে হতাশার কথাগুলো শেয়ার করি। সে আমাকে সাদ্দামের সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দেয়।
ইবির প্রক্টর অধ্যাপক পরেশ চন্দ্র বর্মন বলেন, ‘ঘটনাটি জানার পর গত ২২ নভেম্বর থেকে গোয়েন্দা পুলিশের সহযোগিতায় কাজ করছিলাম। পরে গত শনিবার তাকে আটক করতে সক্ষম হয় পুলিশ। বিষয়টি গভীর অনুসন্ধান করা হবে। পুরো চক্রটিকে আটকের চেষ্টা চলছে।’