বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষার ৩য় অপেক্ষমাণ (৪র্থ মেধাতালিকা) তালিকায় ২২৪ শিক্ষার্থীর ফল প্রকাশ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে এ ফলাফল প্রকাশ করা হয়। ৫ জানুয়ারি (রোববার) যাচাই-বাছাই ও ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে। এছাড়া কোটায় ভর্তিচ্ছুদের যাচাই-বাছাই ১ ও ২ জানুয়ারি ভর্তি ৯ জানুয়ারি।
ফলাফলে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৩শ’ ১৫টি সিটের মধ্যে ২২৪টি শূন্য রয়েছে। এ ইউনিটে ৩৪টি, বি ইউনিটে ৪৪টি, সি ইউনিটে ১৬টি, ডি ইউনিটে ৮০টি, ই ইউনিটে ১৬ এবং এফ ইউনিটে ৩৪টি আসন শূন্য রয়েছে। প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ আগামী ৫ জানুয়ারি অপেক্ষমাণ ২২৪ জনকে এবং ৯ জানুয়ারি কোটায় উত্তীর্ণদের ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে বলা হয়েছে।
এর আগে গত ১৮ ডিসেম্বর ৩য় মেধাতালিকায় উত্তীর্ণদের ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন হয়।
কোটায় ভর্তিচ্ছুদের মধ্যে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় উত্তীর্ণদের একাডেমিক ভবন-০২ এর দ্বিতীয় তলার গণিত বিভাগে, প্রতিবন্ধী কোটায় উত্তীর্ণদের একাডেমিক ভবন-০৩ এর চতুর্থ তলার লোক প্রশাসন বিভাগে, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী ও হরিজন কোটায় উত্তীর্ণদের কবি হায়াত মামুদ ভবনের দ্বিতীয় তলার বাংলা
বিভাগে এবং পোষ্য কোটায় উত্তীর্ণদের একাডেমিক ভবন-০২ এর চতুর্থ তলার ইইই বিভাগে সাক্ষাৎকার অনুষ্ঠিত হবে।
সাধারণ শিক্ষার্থীদের যেসব কাগজপত্র নিয়ে আসতে হবে-
১. উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার মূল রেজিস্ট্রেশন কার্ড, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার মূল ট্রান্সক্রিপ্ট এবং মূল সাটিফিকেট/প্রভিশনাল সার্টিফিকেট/ প্রশংসাপত্র।
২. মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার মূল ট্রান্সক্রিপ্ট-এর ফটোকপি (প্রতিটির ৩ কপি করে)।
৩. ভর্তি পরীক্ষার প্রবেশপত্র।
৪. ৩ কপি পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি (ভর্তি পরীক্ষার প্রবেশপত্রে ব্যবহৃত ছবির অনুরূপ)।
৫. ভর্তির সময় মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার মূল ট্রান্সক্রিপ্ট জমা দিতে হবে।
৬. অনলাইনে পূরণকৃত চয়েস ফরম এর প্রিন্টকপি (রঙিন)।
কোটায় সাক্ষাৎকার ১ ও ২ ডিসেম্বর, কোটায় ভর্তিচ্ছুদের যেসব কাগজপত্র নিয়ে আসতে হবে-
১. মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার মূল রেজিস্ট্রেশন, মূল প্রবেশপত্র, মূল ট্রান্সক্রিপ্ট, মূল সনদপত্র।
২. উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার মূল ট্রান্সক্রিপ্ট-এর ২ কপি ফটোকপি।
৩. ভর্তি পরীক্ষার প্রবেশপত্র ও ২ কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি।
৪. পিতা-মাতার জাতীয় জাতীয় পরিচয়পত্র।
৫. মুক্তিযোদ্ধার মূল সনদপত্র (প্রার্থীর পিতা/মাতার)।
৬. মুক্তিযুদ্ধের তালিকায় গেজেট/নোটিফিকেশন এর মূল কপি/ফটোকপি।
৭. মুক্তিযোদ্ধার নাতি-নাতনীদের ক্ষেত্রে মুক্তিযোদ্ধার সনদপত্র এবং প্রার্থীর পিতা-মাতার জাতীয় পরিচয়পত্র/জন্ম নিবন্ধনের মূল সনদপত্র।
৮. উপজেলা/জেলা কমান্ডার প্রদত্ত মুক্তিযোদ্ধার প্রত্যয়নপত্র এবং মুক্তিযোদ্ধার ভাতাপ্রাপ্তির প্রমাণপত্র (মুক্তিযোদ্ধার অনুকূলে)।
৯. সিভিল সার্জন ও সমাজসেবা কর্মকর্তা কর্তৃক ইস্যুকৃত সনদপত্র (প্রতিবন্ধী প্রার্থীর ক্ষেত্রে)।
১০. পোষ্য কোটাভুক্ত প্রার্থীদের ক্ষেত্রে রেজিস্ট্রার কর্তৃক প্রদত্ত প্রত্যয়নপত্র আনতে হবে (বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরিরত পিতা/মাতার অনুকুলে)।
১১. ইউনিয়ন পরিষদ/পৌরসভা/সিটি কর্পোরেশন কর্তৃক প্রত্যয়নপত্র (ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী ও হরিজন প্রার্থীর ক্ষেত্রে)।
এ ছাড়া প্রত্যেক ভর্তিচ্ছুকে নির্ধারিত একাডেমিক ভবনগুলোর সামনে রক্তদাতাদের সংগঠন ‘বাঁধনের বুথে নিজের রক্তের গ্রুপ নির্ণয় করে টোকেন ভর্তির সময় জমা দিতে হবে।