পূর্ব ঘোষিত আল্টিমেটামের মধ্যে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলামকে অপসারণ না করার প্রেক্ষিতে বছরের শুরুতে আবারো আন্দোলনের ঘোষণা দিয়েছে দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগরের আন্দোলনকারীরা।
বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) বিকেল চারটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শিক্ষক কেন্দ্রের সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে নতুন করে বিক্ষোভের ঘোষণা দেয়।
নতুন কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে আগামী ৫ জানুয়ারি বিক্ষোভ মিছিল। এছাড়া রাষ্ট্রীয় হস্তক্ষেপে সমস্যার সমাধান না হলে বিশ্ববিদ্যালয় গভীর সংকটের মুখে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তারা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগরের সংগঠক ও ছাত্রফ্রন্ট (মার্ক্সবাদী) সাধারণ সম্পাদক সুদীপ্ত দে।
তিনি বলেন, 'বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার সার্বিক পরিবেশ যাতে কোনোভাবেই বাধাগ্রস্ত না হয় সে লক্ষ্যে আমরা কোনো কঠোর কর্মসূচিতে না গিয়ে বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে সুরাহার জন্য ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় বেধে দেই। কিন্তু এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মহল থেকে কোনো সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় আমরা হতাশ, বিস্মিত ও ক্ষুব্ধ হয়েছি। এ অবস্থায় সকল অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে নৈতিকভাবে আবারো আমরা কর্মসূচি দিতে বাধ্য হচ্ছি।
সংবাদ সম্মেলনে দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগরের সংগঠক পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক খবির উদ্দিন বলেন, 'বাংলাদেশ সরকার সবক্ষেত্রে দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি নিয়েছে। জাহাঙ্গীরনগরের দুর্নীতির ব্যাপারে আমরা তথ্য উপাত্ত সরকার, ইউজিসি সব পর্যায়ে দিয়েছি।
প্রসঙ্গত, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে অধিকতর উন্নয়নের জন্য ২০১৮ সালে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) ১৪৪৫ কোটি ৩৬ লাখ টাকা বরাদ্দ দেন। ছয়টি নতুন হল নির্মাণ ও কাজ শুরুর একেবারে প্রথম দিকে বরাদ্দ করা টাকা থেকে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগকে এক কোটি এবং কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগকে এক কোটিসহ মোট দুই কোটি টাকা দেওয়ার অভিযোগ ওঠার পর থেকে আন্দোলনে নামেন শিক্ষক শিক্ষার্থীদের একটি অংশ। শুরুতে ঘটনার তদন্তের দাবিতে আন্দোলন সীমাবদ্ধ থাকলেও পরবর্তীতে একই অভিযোগে উপাচার্য অপসারণের আন্দোলনে রূপ নেয়।