শীতের রাতে বারবিকিউ পার্টি

, ক্যাম্পাস

নোবিপ্রবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2023-09-01 00:44:54

সময় বদলাচ্ছে। উৎসবগুলোতে আসছে নিত্যনতুন পরিবর্তন। শীতকাল মানেই এখন শুধু যে পিঠাপুলির উৎসব, তা কিন্তু নয়। কুয়াশা ভরা হিম শীতল বাতাসে বারবিকিউ পার্টির আনন্দটাই অন্যরকম। এ যেন এখনকার জেনারেশনের নতুন ট্রেন্ড কিংবা বলা চলে চড়ুইভাতির আধুনিক রূপ। পার্থক্য এটুকুই- চড়ুইভাতির মতো এটি দিনে নয় বরং রাতেই বেশি করা হয়।

ছাত্রছাত্রীদের মাঝে এখন বারবিকিউ পার্টি বেশ জনপ্রিয়। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শুরু করে সর্বস্তরের মানুষজনের এখন শীত উদযাপনের অন্যতম মাধ্যম বারবিকিউ পার্টি। আর তাতে পিছিয়ে নেই নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ও (নোবিপ্রবি)। শীত এলেই যেন সবাইকে বারবিকিউ পার্টি করতেই হবে।

বিভিন্ন ডিপার্টমেন্ট, সংগঠন অথবা কয়েকজন বন্ধু মিলে সহজেই এর আয়োজন করা যায়। আর এই বারবিকিউ পার্টি আয়োজনের অন্যতম স্থান বিশ্ববিদ্যালয়ের নীলদীঘির পাড়। সন্ধ্যার হরেক রঙের বাতির আলোয় আলোকিত দীঘির মনোরম পরিবেশ চারপাশের মসৃণ সরু পথ, বসার বেঞ্চ হয়ে ওঠে শত গল্পের সূচনা। চলে আড্ডা, গান, আলোচনা, ভরা পূর্ণিমায় জোছনা বিলাস আর বারবিকিউ তৈরির কাজ।

 বারবিকিউ পার্টি করছে নোবিপ্রবির শিক্ষার্থীরা, ছবি: বার্তা২৪.কম

মুরগি, মাছ কিংবা হাঁসই এর প্রধান উপাদান। সঙ্গে বিভিন্ন ধরনের মসলা, কয়লা, তারের নেট ইত্যাদি আয়োজনের মূল সরঞ্জামাদি। সকল জোগাড় শেষে রাত বাড়তেই শুরু হয় মূল কাজ। দীঘির পাড়ে ইট সাজিয়ে তারের নেট বিছিয়ে তার উপরে মাংস আর নিচের কয়লায় আগুন দিয়ে চলে পোড়ানোর কাজ। তার পাশেই চলে আড্ডা আর গানের আসর। টুং টাং গিটারের শব্দ, শত কণ্ঠের সুর ছড়িয়ে যায় চারদিকে।

বারবিকিউ পার্টি আসলে একটা উপলক্ষ মাত্র। বাড়ি ঘর ছেড়ে দূরদূরান্ত থেকে শিক্ষার্থীরা আসে উচ্চশিক্ষা অর্জন করতে। ক্লাস, পরীক্ষা, অ্যাসাইনমেন্ট, প্রেজেন্টেশনসহ প্রতিদিনের নানা ব্যস্ততার ভিড়ে এসব উৎসব রোজকার ক্লান্তি দূর করে। তৈরি হয় বন্ধন, বোঝাপড়া, ভালোবাসা। পরিবারের বাইরে তৈরি হয় আরও একটি পরিবার। ক্যাম্পাস ছেড়ে যাওয়ার পর এসব স্মৃতিই তো সম্বল। পাশে থেকে তারাই হয় চলার পথের এক নতুন অনুপ্রেরণা।

এ সম্পর্কিত আরও খবর