স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে ২০২০ সালকে 'মুজিববর্ষ' ঘোষণা করেছে সরকার। আর এই মুজিববর্ষকে জাকজমকপূর্ণভাবে উদযাপন করার লক্ষে বছরব্যাপী হাতে নেওয়া হয়েছে নানা কর্মসূচী।
গত ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে আনুষ্ঠানিকভাবে মুজিবর্ষের ক্ষণগণনা কর্মসূচীর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই কর্মসূচীর সঙ্গে মিল রেখে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ও (ইবি) বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর ক্ষণগণনার উদ্বোধন করে।
ওইদিন বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে ক্ষণগণনার ঘড়ি উদ্বোধন করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন উর রশিদ আসকারী। তবে ক্ষণগণনার জন্যে ওইদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে ঘড়ি স্থাপন করার কথা থাকলেও তা করেনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
জানা যায়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে দেশের বিভিন্ন স্থানে ঘড়ি স্থাপনের মধ্য দিয়ে মুজিববর্ষের ক্ষণগণনা শুরু হয়। এ দিন ইবির প্রধান ফটকেও ঘড়ি স্থাপন করার কথা ছিল। কিন্তু ঘড়ি প্রস্তুত না হওয়ায় দু’দিন বাদে এটি স্থাপনের ঘোষণা দেয় কর্তৃপক্ষ।
এই দু’দিন পার হওয়ার প্রায় এক সপ্তাহ পরেও ক্ষণগণনার ঘড়ি স্থাপন করতে পারেনি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। নির্ধারিত সময় পার হওয়ার পরেও ঘড়ি প্রস্তুত না হওয়ায় এমনটি হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের অতিরিক্ত রেজিস্টার ও বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উদযাপন উপ-কমিটির সদস্য সচিব নওয়ার আলী বার্ত২৪.কমকে বলেন, 'মুজিববর্ষের ক্ষণগণনার জন্য আমরা দুটি ঘড়ি অর্ডার করেছিলাম। কিন্তু কিছু সমস্যার কারণে তা হাতে পেতে একটু দেরি হয়েছে। আশা করছি, অতি দ্রুত ঘড়ি দুটি লাগানো হবে।'
এদিকে উদ্বোধনের প্রায় এক সপ্তাহ পরেও ক্ষণগণনা ঘড়ি না লাগানোয় বিষয়টি নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে মিশ্রপ্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। তাদের দাবি, মুজিবর্ষের ক্ষণগণনার মত একটি জাতীয় বিষয়কে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অবহেলা করছে। যার ফলে জাতীয়ভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম ক্ষুণ্ণ হচ্ছে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের সভাপতি অনিক হাসান বার্তা২৪.কমকে বলেন, 'মুজিববর্ষের ক্ষণগণনা শুধুমাত্র বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে নয়, এটি পুরো জাতির কাছে একটি গুরুত্ববহন করে। আর এটিতে অবহেলা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। আমরা চাই অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে ক্ষণগণনার ঘড়ি লাগানো হোক।'