জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে বিগত বছর থেকে এ বছর বেশি সংখ্যক পরিযায়ী পাখি এসেছে। পাশাপাশি রয়েছে দেশীয় নানা প্রজাতিও। আর এসব পাখি সংরক্ষণ ও এদের বিচরণক্ষেত্র রক্ষায় বসেছে মেলা।
শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের জহির রায়হান মিলনায়তনের সামনে ‘পাখ পাখালি দেশের রত্ন, আসুন সবাই করি যত্ন’- প্রতিপাদ্য নিয়ে আয়োজিত ‘পাখিমেলা-২০২০’র উদ্বোধন করেন উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম।
উদ্বোধনকালে উপাচার্য বলেন, পাখিরা পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এদের নিয়ে প্রকৃতিপ্রেমীরা বেশি ভাবেন। এই পাখিদের ধরে রাখতে হবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে মেলার আহ্বায়ক ও প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক কামরুল হাসান বলেন, পাখিমেলার মূল উদ্দেশ্য পাখি সম্পর্কে গণসচেতনতা বাড়ানো। এই সচেতনতা দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে পর্যন্ত পৌঁছাতে হবে। যাতে পাখির কোনো প্রজাতি বিলুপ্তির দিকে না যায়।
তিনি বলেন, দর্শনার্থীর উৎপাত কম থাকায় বিগত বছরগুলোর তুলনায় এবার জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে পাখির সংখ্যা বেড়েছে। প্রথম দিকে কোলাহল কম থাকায় প্রশাসনিক ভবনের পাশের লেকে এবার সবচেয়ে বেশি পাখি এসেছিল। পরে কোলাহলের কারণে পাখিরা আবার অন্য লেকগুলোতে সরে যায়। সুতরাং কোলাহলমুক্ত থাকলে পাখি বেশি দেখা যাবে।
দিনব্যাপী এ মেলায় বিভিন্ন আয়োজনের মধ্যে রয়েছে- আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় পাখি দেখা প্রতিযোগিতা, পাখি বিষয়ক আলোকচিত্র প্রদর্শনী, শিশু-কিশোরদের পাখির ছবি আঁকা প্রতিযোগিতা, টেলিস্কোপ ও বাইনোকুলার দিয়ে শিশু-কিশোরদের পাখি পর্যবেক্ষণ, স্টল সাজানো প্রতিযোগিতা (পাখির আলোকচিত্র ও পত্র-পত্রিকা প্রদর্শনী), আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় পাখি চেনা প্রতিযোগিতা (অডিও-ভিজুয়ালের মাধ্যমে), উপস্থিত সবার অংশগ্রহণে পাখি বিষয়ক কুইজ প্রতিযোগিতা এবং সবশেষে পুরস্কার বিতরণী ও সমাপনী অনুষ্ঠান।
পাখি মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক শেখ মো. মনজুরুল হক, ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার রহিমা কানিজ, বাংলাদেশ বার্ড ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা ও পাখি বিশেষজ্ঞ ইনাম আল হক, ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অব নেচারের (আইইউসিএন) বাংলাদেশ প্রতিনিধি রাকিবুল আমিন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর আ স ম ফিরোজ-উল-হাসান প্রমুখ।