সম্প্রতি ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নাগরিকদের অমানবিক হত্যার প্রতিবাদে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী। তার নাম নাসির উদ্দিন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৩-১৪ সেশনের মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থী।
রোববারও (২৬ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজুভাস্কর্যে তিনি অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন। শনিবার রাতে তিনি কর্মসূচি শুরু করেন।
নাসির উদ্দিন বলেন, যতদিন পর্যন্ত না সীমান্ত হত্যা বন্ধে বাংলাদেশ সরকার থেকে কোনো ধরনের আশ্বাস বা তাদের পদক্ষেপ না দেখছি, সে পর্যন্ত এ কর্মসূচি অব্যাহত রাখব।
তিনি বলেন, আমার অবস্থানের নির্দিষ্ট কারণ হচ্ছে, গত একমাসে সীমান্তে প্রায় ২১ জন বাংলাদেশি নাগরিক বিএসএফের গুলিতে নিহত হয়েছেন। তাদের অনেকের মরদেহও ফেরত দেয়া হয়নি। সরকারের দাবি ভারত আমাদের বন্ধু রাষ্ট্র। তাহলে এসব হত্যাকাণ্ড কি বন্ধুত্বের নমুনা?
তিনি আরও বলেন, এর আগেও আমি এসবের প্রতিবাদ জানিয়ে আসছিলাম বিভিন্নভাবে। তবে এখন হত্যাকাণ্ড প্রকট রূপ ধারণ করেছে। তাই বিবেকের তাড়নায় বসে থাকতে পারিনি।
সীমান্তে গরু আনতে গিয়ে নিহত হলে দায় নেবে না সরকার। খাদ্যমন্ত্রীর এ বক্তব্যকে কিভাবে দেখছেন? এর জবাবে নাসির বলেন, সীমান্তে চোরা কারবারিতো শুধু বাংলাদেশিরা করছে না। তাহলে ভারতের চোরা কারবারিদের মারা হচ্ছে না কেন? আসলে হত্যা কোনো সমাধান হতে পারে না। এটা বন্ধ করতে হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রগতিশীল সংগঠনগুলোর কোনো কর্মসূচি নেই জানিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে এ শিক্ষার্থী বলেন, আমি এখানে অবস্থান নেওয়ার পর থেকে আমাকে নানা ধরনের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। এসব নিয়ে সবার দাঁড়ানো উচিত।