দেশের প্রথম এভিয়েশন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওরিয়েন্টেশন

, ক্যাম্পাস

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা | 2023-09-01 16:23:04

২০১৯ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি সংসদে পাস হয় দেশের প্রথম এভিয়েশন বিশ্ববিদ্যালয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এভিয়েশন অ্যান্ড অ্যারোস্পেস বিশ্ববিদ্যালয় আইন।

একই বছরের ৬ মে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও উপ-উপাচার্য, রেজিস্টার ও ট্রেজারারসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের দাপ্তরিক কার্যক্রম শুরু হয়। এর এক বছর পূর্ণ হওয়ার আগেই পুরোদমে পাঠদান কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়টি।

রোববার (২৬ জানুয়ারি) সকালে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে পুরনো বিমানবন্দর এলাকায় স্থাপিত অস্থায়ী ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এভিয়েশন অ্যান্ড অ্যারোস্পেস বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এয়ার ভাইস মার্শাল এ এইচ এম ফজলুল হক।

প্রথম ব্যাচের শিক্ষার্থীদের স্বাগত জানিয়ে তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের উন্নয়ন পরিকল্পনায় আগামী দিনে যে দক্ষ ও কারিগরি জ্ঞান সম্পন্ন শ্রম শক্তি প্রয়োজন তার আলোকে শিক্ষা কার্যক্রম এগিয়ে নেবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এভিয়েশন অ্যান্ড এরোস্পেস বিশ্ববিদ্যালয়।

প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার সাহসী এবং যুগোপযোগী উদ্যোগে এই বিশ্ববিদ্যালয়টি দ্রুত সময়ের মধ্যে বিশ্বের একটি প্রথমসারির অ্যারোস্পেস বিশ্ববিদ্যালয় এবং গবেষণা কেন্দ্রে পরিণত হবে বলেও প্রত্যাশা ব্যাক্ত করেন উপাচার্য।

পরে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে দিক নির্দেশনা মূলক বক্তব্য তুলে ধরেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এভিয়েশন অ্যান্ড অ্যারোস্পেস বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার এয়ার কমোডর জাহিদুল সাঈদ।

চলতি ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষে এবার মোট ৩টি বিভাগে বিশ্ববিদ্যালয়টি কার্যক্রম শুরু হয়। এর মধ্যে রয়েছে বিএসসি এই এরোনিটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, এমএসসি ইন এভিয়েশন সেফটি অ্যান্ড এক্সিডেন্ট ইনভেস্টিগেশন এবং এমবিএ ইন এভিয়েশন ম্যানেজমেন্ট। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এভিয়েশন অ্যান্ড অ্যারোস্পেস বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ক্যাম্পাসটি হবে দেশের উত্তরের জেলা লালমনিরহাটে। এর পাশাপাশি এভিয়েশন অ্যান্ড অ্যারোস্পেস বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি শাখা রাজধানী ঢাকার আশকোনায় স্থাপন করা হবে। লালমনিরহাটে অ্যারোস্পেস ইউনিভার্সিটির পাশাপাশি এখানে থাকবে আধুনিক বিশ্বের সমতুল্য এম আর ও বা মেইনটেনেন্স অ্যান্ড রিপেয়ারিং অর্গানাইজেশন অর্থাৎ বিমান মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণ কারখানা। ভবিষ্যতে এখানে একটি বিমান তৈরির কারখানাও স্থাপনের পরিকল্পনা রয়েছে।

এয়ারক্রাফট নির্মাণ, মেরামত, স্যাটেলাইট নির্মাণ ও উৎক্ষেপণ, মহাকাশ গবেষণা প্রভৃতি প্রযুক্তিতে বিশ্বের উন্নত দেশগুলো অনেক দূর এগিয়ে গেলেও কিছু সীমাবদ্ধতার কারণে আমাদের দেশে ইতিপূর্বে বড় কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা এবং সাহসী পদক্ষেপে দেশে এই প্রথম একটি এভিয়েশন ও অ্যারোস্পেস বিশ্ববিদ্যালয় তাদের পাঠদান কার্যক্রম শুরু করলো।

এ সম্পর্কিত আরও খবর