মহা সাড়ম্বরভাবে উদযাপন করা হচ্ছে বিদ্যার দেবী সরস্বতীর পূজা। দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এই দিন ঘিরে থাকে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বাড়তি আয়োজন। দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্মলগ্ন থেকে জগন্নাথ হলে সরস্বতী পূজা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। সরস্বতীর কৃপালাভের আশায় সারাদেশের ন্যায় এখানেও চলছে নানা আয়োজন। বর্তমানে এই পূজা ব্যাপকতায় বহুমাত্রিকতা পেয়েছে। ধর্মীয় বিধি অনুসারে সাদা রাজহাঁসে চড়ে বিদ্যা ও সুরের দেবী সরস্বতী পৃথিবীতে আসেন।
সরেজমিন দেখা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ ও ইনস্টিটিউটের উদ্যোগে জগন্নাথ হলের খেলার মাঠজুড়ে বিভিন্ন আইডিয়া ও থিমভিত্তিক প্রতিমা স্থাপন ও মণ্ডপ নির্মাণের কাজ চলছে পুরোদমে। হল অফিস সূত্রে জানা যায়, এ বছর বিভিন্ন বিভাগের ৭০টি প্রতিমার মণ্ডপ রয়েছে।
বিভিন্ন মণ্ডপ ঘুরে দেখা যায়, দেবীর সামনে হাতেখড়ি দিয়ে শিশুরা বিদ্যা চর্চার সূচনা করছেন। ভক্তরা দেবীর চরণে অঞ্জলি দিয়ে আরতি করছেন। নিজেদের জ্ঞান বৃদ্ধির জন্য নানা উপায়ে আরাধনা করছেন বিভিন্ন মণ্ডপে । এছাড়া অনেককে দেখা যায়, সর্বতীর্থ পরিক্রমা মন্দিরে পরিক্রমণ, দু হাত উত্তোলন করে দেবীর সামনে মাথা আনত করে প্রার্থনা করতে।
জগন্নাথ হলের পুকুরে স্থাপন করা হয়েছে চারুকলার তৈরি সবচেয়ে বড় বিদ্যাদেবীর প্রতিমা।
পুরান ঢাকা থেকে আসা বিদ্যাদেবীর ভক্ত সজিব কুমার পাল জানান, এই দিনে সাদা রাজহাঁসে চড়ে পৃথিবীতে সরস্বতী জ্ঞান ও আলো নিয়ে আগমন করেছেন।তাই আমাদের আরাধনার বড় অংশজুড়ে থাকে জ্ঞান আহরণ। আমরা তার কাছে অর্চনা দিয়ে আমাদের জানার তৃষ্ণা মিটাতে চাই।
জগন্নাথ হল সরস্বতী পূজার মাধ্যমে অসাম্প্রদায়িকতাকে প্রতিনিধিত্ব করে উল্লেখ করে ঢাবি শিক্ষার্থী সুজন সেন গুপ্ত বলেন, আমরা আমাদের সহপাঠীদের এখানে আসতে নিমন্ত্রণ করেছি। তারা এসে আমাদের সঙ্গে যোগদান করেছেন। আমরা তাদের সঙ্গে ভাগাভাগি করে প্রসাদ খেয়েছি। এটা অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের একটি বড় উদাহরণ হতে পারে।
এছাড়া মণ্ডপে বিশেষ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে সন্ধ্যায়।