বহিরাগতদের অবাধ প্রবেশে শঙ্কায় নোবিপ্রবি শিক্ষার্থীরা

বিবিধ, ক্যাম্পাস

নোবিপ্রবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2023-08-27 20:47:47

নোয়াখালী জেলার মূল শহর থেকে প্রায় ৮ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (নোবিপ্রবি)। শহর থেকে বেশ খানিকটা দূরে থাকা সত্ত্বেও ক্যাম্পাসটিতে দিন দিন বেড়েই চলেছে স্থানীয় লোকজন ও বহিরাগতদের প্রবেশ। সকাল থেকে মধ্যরাত অবধি চলে বহিরাগতদের এ অনুপ্রবেশ।

সরজমিনে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক, নীল দিঘি ও ভিতরের টংগুলোতে সাধারণ শিক্ষার্থীর পাশাপাশি দেখা মেলে এসব বহিরাগত লোকেদের। ক্যাম্পাস চলাকালীন সময়ে প্রায়শই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে বহিরাগত যুবকেরা মোটর বাইক নিয়ে দল বেঁধে দাঁড়িয়ে থাকে। উচ্চ গতিতে ও বেপরোয়া হর্ন বাজিয়ে অবাধে ঘুরাফেরা করে বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের নীল দিঘি ও পার্ক সংলগ্ন বেঞ্চে দেখা মেলে বহিরাগত প্রেমিক যুগলসহ অনেক বহিরাগত মানুষের। যার ফলে শিক্ষার্থীরা এসব স্থানে চলাফেরা করতে ইতস্তত বোধ করেন।

এদিকে রাতের বেলায় বহিরাগতরা ক্যাম্পাসে প্রবেশ করছে মাদক দ্রব্য নিয়ে। রাতের নির্জন ও নিরিবিলি পরিবেশে বসছে তাদের মাদকের আসর। তাছাড়া বহিরাগত প্রেমিক যুগল ক্যাম্পাসে এসে অবাধে লিপ্ত হচ্ছে বিভিন্ন অনৈতিক কর্মকাণ্ডে। যা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করছে বলে দাবি করছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষার্থী জানায়, বহিরাগত অনেকে ঘুরতে আসে ক্যাম্পাসে। এ সময় তারা নিজেদের ছবি তোলার পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের মেয়েদেরও ছবি তোলে গোপনে। এমতাবস্থায় নিজ ক্যাম্পাসেই নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন শিক্ষার্থীরা। অপরদিকে ছুটির দিনগুলোতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের আনাগোনা কম থাকায় চলাচলে একটু বাড়তি দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে আবাসিক ছাত্রীদের। বহিরাগতের এমন অবাধ প্রবেশে তাদের বাহিরে চলাফেরা করা কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। এভাবে চলতে থাকলে হয়তোবা কেউ না কেউ হতে পারেন বড় কোনো দুর্ঘটনার শিকার।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর প্রফেসর ড. নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর বলেন, 'আমরা এখন থেকে বিকেল ৫টার পর ক্যাম্পাসে সকল প্রকার মোটর বাইক প্রবেশ বন্ধ করে দিবো। আর আমাদের হলের ছেলেদের জন্য 'বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টিকার যুক্ত বাইক' সিস্টেম চালুর উদ্যোগ নিব।'

এ বিষয়ে জানতে চাইলে নোবিপ্রবির কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর ড. এম ফারুক উদ্দিন বলেন, 'এমন বিষয় অবশ্যই যেকোনো বড় সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। আমরা শীঘ্রই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, স্থানীয় প্রশাসন ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সঙ্গে বসে এ সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করবো।

এ সম্পর্কিত আরও খবর