বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বশেমুরবিপ্রবি) ইতিহাস বিভাগ চালু রাখার দাবিতে সংহতি সমাবেশ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে এগরোটার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের আয়োজনে অপারেজয় বাংলার পাদদেশে এ সংহতি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ইতিহাস বিভাগের বিভিন্ন শিক্ষার্থী, বশেমুরবিপ্রবির ইতিহাস বিভাগের কয়েকজন শিক্ষার্থী সহ প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।
ইতিহাস বিভাগের ২০১৩-১৪ সেশনের শিক্ষার্থী দীপু কুমার দেব এর সঞ্চালনায় সংহতি সমাবেশে বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক ড. মেসবাহ কামাল, ড.ঈশানী চক্রবর্তী।
এর আগে ৬ ফেব্রুয়ারি ইউজিসির এক সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বিশ্ববিদ্যালয়টিতে আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে ইতিহাস বিভাগে আর কোনো শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে না। ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থীরা এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করে ওইদিন রাতে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। এসময় তারা প্রশাসনিক ও একাডেমিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে দিয়ে প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন।
ঢাবির সংহতি সমাবেশে ইতিহাসবিদ ও গবেষক অধ্যাপক মেসবাহ কামাল বলেন, ইতিহাস মানবসভ্যতার ধারাবাহিকতা, প্রগতি এবং বিকাশকে ধারণ করে। তাই ইতিহাসের শিক্ষক মানবসভ্যতার শুধু পরিব্রাজকই নয় মানবসভ্যতার ধারক ও বাহক। ইতিহাস অনুশীলনের মাধ্যমে, চর্চা করার মাধ্যমে, একজন ইতিহাসবিদ ইতিহাস চেতনাকে ধারণ করে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ইতিহাস সমিতি,জন ইতিহাস চর্চা কেন্দ্র, বাংলাদেশ ইতিহাস সম্মিলনী, ইতিহাস একাডেমি সহ আমাদের যত সংগঠন রয়েছে সব সংগঠন ঐক্যবদ্ধ হয়ে যা কিছু করা দরকার প্রয়োজনে আমরা সবকিছু করব।
ঈশানী চক্রবর্তী বলেন, ইতিহাস বিভাগ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ইতিহাসের উপর অর্থনীতি, রাজনীতি সহ সবকিছু দাঁড়িয়ে আছে।
সংহতি সমাবেশে আরো উপস্থিত ছিলেন ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড.আশা ইসলাম নাঈম, ড.প্রদীপ চাঁন দুগার প্রমুখ।
সংহতি সমাবেশ থেকে বশেমুরবিপ্রবিতে ইতিহাস বিভাগ চালু রাখার দাবিতে ইউজিসি, শিক্ষামন্ত্রীর প্রয়োজন হলে প্রধানমন্ত্রীর কাছে যাওয়ার কথাও বলেন বক্তারা।