বাসের হেলপার কর্তৃক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) এক শিক্ষার্থীর সঙ্গে অশোভনীয় আচরণের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বাড়ি থেকে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ফেরার পথে এ ঘটনার শিকার হন তিনি।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর নাম মনির হোসেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। নিজ জেলা যশোর থেকে গড়াই পরিবহনের একটি বাসে ক্যাম্পাসে ফেরার পথে হেলপার তার গায়ে হাত তোলে বলে অভিযোগ ওই শিক্ষার্থীর।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী মনির জানান, বাসে আসার পথে বাইরে থুথু ফেলার সময় কিছুটা বাসে লেগে যায়। এতে হেলপার তাকে গালি দেয় ও থু-থু মুছে ফেলতে বলে। মনির গালির প্রতিবাদ করতে গেলে হেলপার কোনো কথা না শুনে তাকে আঘাত করে।
এ সময় মনির নিজেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী পরিচয় দিলে হেলপার আরও বাজে ভাষায় গালি দেয় ও বিভিন্ন হুমকি দেয়। একপর্যায়ে জোর করে তাকে গাড়ি থেকে নামিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে ওই হেলপার।
পরে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী মুঠোফোনে তার এক সিনিয়রকে বিষয়টি জানালে ক্যাম্পাসে এ খবর ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসের প্রধান ফটকের সামনে জড়ো হয়ে গাড়ি আসার জন্য অপেক্ষা করতে থাকে।
এ সময় কোনো প্রকার অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে ও বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের নিয়ন্ত্রণ করতে তেমন কোনো পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. পরেশ চন্দ্র বর্মন ও ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানা পুলিশের।
এরপর রাত পৌনে ১০টার দিকে গাড়িটি ক্যাম্পাসের পার্শ্ববর্তী শেখপাড়া বাজার বাসস্ট্যান্ডে এসে পৌঁছালে যেকোনোভাবে তথ্য পেয়ে গাড়ির ড্রাইভার ও অভিযুক্ত ওই হেলপার পালিয়ে যায়।
শিক্ষার্থীরা তাদের পালিয়ে যাওয়ার খবরে বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। এরপর গাড়িটি আটক ও হেলপারের শাস্তির দাবিতে রাত ১০টার দিকে কুষ্টিয়া-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করেন ছাত্ররা।
পরে গাড়িটি আটক করা হয়েছে বলে পুলিশ নিশ্চিত করলে শিক্ষার্থীরা অবরোধ তুলে নেয়। বর্তমানে গাড়িটি ঝিনাইদহের শৈলকুপা থানা পুলিশের হেফাজতে রয়েছে বলে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানা সূত্রে জানা গেছে।