অমর একুশে ফেব্রুয়ারি উপলক্ষ্যে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য প্রস্তুত কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার। রাত পোহালেই ফুল হাতে জনতার ঢল নামবে শহীদ মিনারে। মানুষের শ্রদ্ধা আর ভালোাবাসায় সিক্ত হবেন মাতৃভাষার জন্য প্রাণ উৎসর্গকারী শহীদেরা।
বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সরেজমিন শহীদ মিনার এলাকা ঘুরে দেখা যায়, বেদির আলপনার কাজ বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) শেষ হয়েছে। মূল চত্বরের কাজও প্রায় শেষ। তবে এখনও চলছে রাস্তার আলপনার কাজ। এসব কাজে নিয়োজিত রয়েছে চারুকলার শিক্ষার্থীরা। এছাড়াও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কড়া নজর রয়েছে শহীদ মিনার এলাকা জুড়ে।
এর আগে গতকাল শহীদ মিনারের সার্বিক প্রস্তুতির কথা জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যলয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড মো আখতারুজ্জামান। তিনি বলেন, 'আমরা অমর একুশে পালনের চূড়ান্ত পর্যায়ে আছি। সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। সকল শ্রেণীপেশার মানুষ যেন নিরাপত্তার সাথে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে পারেন সে লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, ছাত্র-শিক্ষক, সংস্কৃতি ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর যৌথ প্রয়াসে আয়োজনের প্রস্তুতি, শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তার বিষয়গুলো নিশ্চিত করা হয়েছে।'
এ সময় ঢাবি উপাচার্য রুট-ম্যাপ অনুসরণ করে শহীদ মিনারে আসাসহ সার্বিক সহযোগিতার জন্য সকলের প্রতি আহবান জানান। এছাড়া আগামীকাল (২১ ফেব্রুয়ারি) ভোর সাড়ে ছয়টায় প্রভাতফেরিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলা থেকে আজীমপুর কবরস্থানে যাবে বিশ্ববিদ্যালয়। সেখান থেকে শহীত মিনারে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করবেন বলেও জানান তিনি।
সাজসজ্জার কাজে নিয়োজিত থাকা কর্মকর্তাদের সূত্রে জানা যায়, গত ১১ ফেব্রুয়ারি থেকে শহীদ মিনার প্রস্তুতির কাজ শুরু হয়েছে। দেয়ালে আলপনা, শহীদ মিনারের আশপাশের ঝোপঝাড় কেটে ফেলা, ভাসমান মানুষদের আড্ডা, দেয়াল লিখন ইত্যাদির কাজ শুরু হয়।
শিল্পীর তুলিতে দেয়ালে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে অমর একুশের নানা গান, কবিতা এবং স্লোগান। সেগুলোর মধ্যে রয়েছে আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙ্গানো একুশে ফেব্রুয়ারী, একুশ মানে মাথা নত নয় ইত্যাদি।