'বিজ্ঞানী হওয়ার চাইতে বিজ্ঞান মনস্ক হওয়া অনেক বেশি জরুরী। ল্যাবরেটরি প্রকোষ্ঠে গবেষণা করে নানা আবিষ্কারে অনেকে খ্যাতির শীর্ষে উঠেছেন। কিন্তু তাদের বিজ্ঞানমনস্কতা নেই। সেই দিক থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞানী ছিলেন না তবে, তিনি বিজ্ঞানমনস্ক ছিলেন।'
মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ কর্তৃক আয়োজিত 'বঙ্গবন্ধুর বিজ্ঞান দর্শন' শীর্ষক আলোচনা ও বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এ মন্তব্য করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন উর রশিদ আসকারী।
তিনি বলেন, 'বঙ্গবন্ধুর রাষ্ট্র পরিচালনার বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিজ্ঞানমনস্ক চেতনার বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে। দেশের প্রযুক্তি ও প্রকৌশল শিক্ষার উন্নয়নের জন্য তিনি অনেক পরিকল্পনা হাতে নিয়েছিলেন। আজকে আমরা যে স্যাটেলাইট যুগে প্রবেশ করেছি, তা বঙ্গবন্ধুরই তৎকালীন চিন্তার ফসল।'
অনুষ্ঠানে উপাচার্য আরও বলেন, 'বঙ্গবন্ধুর একজন প্রিয় ব্যক্তি ছিলেন বারট্রান্ড রাসেল। ২০ শতকে পশ্চিমের অন্যতম সেরা চিন্তক এবং ভাবক হচ্ছেন বারট্রান্ড রাসেল। বঙ্গবন্ধু বারট্রান্ড রাসেলের এতই অনুরাগী ছিলেন যে, তার কনিষ্ঠ পুত্রের নাম তার নামের সাথে মিল রেখে 'শেখ রাসেল' রেখেছিলেন।'
এসময় শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, 'বর্তমানে বিভিন্ন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গ্রাজুয়েট বের হচ্ছে কিন্তু তাদের আচরণে বিজ্ঞানের সাথে তাদের যে সম্পর্ক, তা যথাযথ ফুটে উঠছে না। তাই কর্মজীবনসহ প্রতিটি ক্ষেত্রে তোমরা দেশ তথা এই বিশ্ববিদ্যালয়ের মুখ উজ্জ্বল করবে এই প্রত্যাশা করি।'
বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. মিন্নাতুল করিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. রাশিদ আসকারী। বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. নজিবুল হক।
বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. আবু হেনা মোস্তফা জামালের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. আনন্দ কুমার সাহা। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিভাগের অধ্যাপক ড. রেজওয়ানুল ইসলাম।
অনুষ্ঠানে বিদায়ী শিক্ষার্থীদের ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। শেষে বিভাগের বিভিন্ন বর্ষের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়। এসময় বিভাগের অধ্যাপক ড. নিলুফা আখতার বানু, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. পরেশ চন্দ্র বর্মন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।