সারাদেশ থেকে নির্বাচিত প্রায় ১৫০ জন উদ্ভাবকের সমন্বয়ে ৫১টি টিম নিয়ে দেশের ১০টি জনগুরুত্বপূর্ণ সমস্যার তথ্য-প্রযুক্তি ভিত্তিক উদ্ভাবনী সমাধানের লক্ষ্যে “ন্যাশনাল হ্যাকাথন অন ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজিস” শুরু হয়েছে।
শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ (আইইউবি) এর ক্যাম্পাসে দুই দিন ব্যাপী এই হ্যাকাথনের উদ্বোধন করেন আইডিইএ প্রকল্পের পরিচালক ও অতিরিক্ত সচিব সৈয়দ মজিবুল হক। তিনি হ্যাকাথনে অংশগ্রহণকারীসহ সবাইকে স্বাগত জানান এবং এই হ্যাকাথনের পার্টনার হিসেবে পাশে থাকার জন্য “বাংলাদেশে অবস্থিত ভারতীয় হাই কমিশন” ও “টেক মাহিন্দ্রা লিমিটেড”-কে বিশেষ ধন্যবাদ জানান।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে টেক মাহিন্দ্রা লিমিটেডের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির গ্লোবাল ইনোভেশন প্রধান নিখিল মালহোত্রা। তিনি তরুণদের নিয়ে এ ধরনের আয়োজনের জন্য অত্যন্ত আনন্দ প্রকাশ করেন এবং বাংলাদেশ সরকারের আইসিটি সেক্টরের উন্নয়নে এমন যুগোপযোগী আয়োজনকে সাধুবাদ জানান।
টেক মাহিন্দ্রা লিমিটেডের পক্ষে আরো উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির কাস্টমার রিলেশন বিভাগীয় প্রধান ও মেকারস্ ল্যাবের প্রতিনিধি আকাশ দলাস, স্টার্টনেট অ্যান্ড ক্যাম্পাস কানেক্টের প্রধান উমেশ কাদ এবং বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার দেবাশীষ মিত্র। এছাড়া আরো উপস্থিত ছিলেন আইডিইএ প্রকল্পের উপ-পরিচালক কাজী হোসনে আরা এবং প্রকল্পের পরামর্শকগণসহ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের কর্মকর্তাগণ।
প্রাথমিকভাবে বাছাই করা ৩৪৯টি টিম থেকে নির্বাচিত ৫১টি দল মূল হ্যাকাথনে অংশ নিচ্ছে যাদের মেনটরিং করছেন ৪০ জন মেনটরের সমন্বয়ে গঠিত একটি দক্ষ টিম।
শনিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) হ্যাকাথনের সমাপনী অনুষ্ঠানে এই হ্যাকাথন থেকে প্রাপ্ত সেরা ১০ টি ইনোভেশনকে বিজয়ী হিসেবে ঘোষণা করা হবে।
বিজয়ী দলগুলোকে তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান “টেক মাহিন্দ্রা লিমিটেড”র মেকারস্ ল্যাবে গবেষণা ও প্রযুক্তি সহয়তাসহ মেনটরিং ও প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে। একইসঙ্গে উদ্ভাবনী প্রকল্পটি ম্যাচিউর করার জন্য প্রয়োজনীয় বিনিয়োগ করা হবে। পরবর্তীতে বিজয়ী দলগুলোর প্রকল্পসমূহের ম্যাচুউরিটির পর “টেক মাহিন্দ্রা লিমিটেড (টিইসিএইচএম)”র আওতাভুক্ত মার্কেটিং চ্যানেলের মাধ্যমে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রচারণা করে তাদেরকে গ্রোথ পর্যায়ে নিয়ে আসতে সহযোগিতা করা হবে। এছাড়া মূল হ্যাকাথনে অংশগ্রহণকারীসহ বিজয়ীদের সনদপত্র প্রদানের পাশাপাশি স্টার্টআপ বাংলাদেশ আইডিইএ প্রকল্পের আওতায় প্রয়োজনীয় মেনটরিং ও গ্রুমিং থাকছেই।