আজ ২ মার্চ। ১৯৭১ সালের এই দিনে বাংলাদেশের মানচিত্র খচিত প্রথম পতাকা উত্তোলন করা হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলা প্রাঙ্গণে। তৎকালীন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ভিপি আ স ম আব্দুর রবের নেতৃত্বে উত্তোলন করা হয় লাল সবুজের পতাকা।
দিনটি স্মরণে ঐতিহাসিক ‘পতাকা উত্তোলন দিবস’ পালন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। সোমবার (২ মার্চ) সকালে বিশ্ববিদ্যালয় কলাভবন সংলগ্ন বটতলা প্রাঙ্গণে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান। এ সময় বিভিন্ন হল, বিভাগ, অনুষদ থেকে অনুষ্ঠানে যোগ দেন শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. নাসরীন আহমাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দীন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল, রেজিস্টার এনামুজ্জামান, ডাকসুর এজিএস সাদ্দাম হোসেন প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, এই বটতলায় সমবেত হয়ে ১৯৭১ সালের ২ মার্চে তৎকালীন ডাকসুর নেতৃবৃন্দ ও অন্যান্য সাহসী ছাত্র নেতারা বাংলাদেশের মানচিত্র খচিত জাতীয় পতাকা প্রথম উত্তোলন করেছিলেন।
তিনি বলেন, ‘মার্চ মাস আমাদের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও গৌরবের মাস। এই মার্চ মাস থেকেই বাংলাদেশের সবকিছু পরিচালিত হতে থাকে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে। তাই নানা কারণে মার্চ মাস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং এই মাসটি আরও তাৎপর্যপূর্ণ হয়েছে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণের জন্য।
মুজিব বর্ষ উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, আজকের দিনটির মর্ম উপলব্ধির সাথে সাথে আমাদেরকে মুজিব বর্ষকেও ধারণ করতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. নাসরীন আহমাদ বলেন, ‘১৯৭১ সালের অগ্নিঝরা ২ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অকুতোভয় ছাত্রসমাজ ও জনতা ঐতিহাসিক বটতলায় গর্জে ওঠে প্রথম উত্তোলন করেছিলেন বাংলাদেশের পতাকা। তার কিছুদিন পর ২৩ মার্চ পাকিস্তান দিবসে পাকিস্তানের পতাকার পরিবর্তে সারাদেশে অফিস-আদালত ও ঘরে ঘরে শোভা পায় এ পতাকা। আমাদের এই পতাকার মর্যাদা রক্ষা করতে হবে।’
আলোচনা পর্ব শেষে সংগীত পরিবেশন করেন স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের প্রখ্যাত শিল্পী ইন্দ্র মাহন রাজবংশী। দেশের গান পরিবেশন করেন সংগীত বিভাগের শিক্ষার্থীরা। নৃত্যকলা বিভাগের শিক্ষার্থীদের নৃত্যে শেষ হয় অনুষ্ঠান।