ক্রিকেট খেলাকে কেন্দ্র করে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) দর্শন বিভাগের দ্বিতীয় ও মাস্টার্স বর্ষের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে গুরুতর আহত হয়েছেন ২ জন।
মঙ্গলবার (৩ মার্চ) বিকেল সাড়ে চারটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের টুকিটাকি চত্বরে এ ঘটনা ঘটে।
ত্রিমুখী এ সংঘর্ষের ঘটনায় লোক প্রশাসন, দর্শন ও মার্কেটিং বিভাগের প্রায় ১০ জন শিক্ষার্থী আহত হন। তাদের মধ্যে গুরুতর আহত হন দর্শন বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী সাইফুল ও শেখ সাদী। দুই জন বর্তমানে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, আজ সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্ত:বিভাগ ক্রিকেট খেলায় দর্শন বিভাগের সঙ্গে ভূগোল ও পরিবেশবিদ্যা বিভাগের ম্যাচ চলছিল। বিভাগের চতুর্থ বর্ষের সঙ্গে মাস্টার্সের শিক্ষার্থীদের বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে একই বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী জীবন মাস্টার্সের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। তখন মাস্টার্সের এক শিক্ষার্থী জীবনের গায়ে হাত তোলেন বলে জানা যায়। বিষয়টি সমাধানের লক্ষে শিক্ষকরা মাঠ থেকে শিক্ষার্থীদের নিয়ে আসেন।
এরপর বিকেলে জীবন লোক প্রশাসন বিভাগে তার কয়েকজন বন্ধুকে ডেকে নিয়ে ডিনস্ কমপ্লেক্সের পাশে দর্শন বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী সাইফুল ইসলাম ও শেখ সাদীকে মারধর করেন। সাইফুল ও শেখ সাদীর সহপাঠীরা বিষয়টি জানতে পেরে লোক প্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থীদের ওপর চড়াও হন।
মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর একাডেমিক ভবনের সামনে মারামারি থামাতে গেলে তাদের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এতে বিভাগের এক শিক্ষার্থী আহত হন। এ সময় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনু এগিয়ে আসলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মো. লুৎফর রহমান বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত। তবে তাৎক্ষণাত বিষয়টি শুনেই আমি আমি ঘটনাস্থলে যাই। তারপর পুলিকে খবর দেই। তাদের সহায়তায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি মিমাংসা করতে বলা হয়েছে।
বিষয়টি জানতে দর্শন বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক শামীমা আক্তারকে ফোন দিলে মিটিংয়ে আছেন বলে জানান।
উল্লেখ্য মারামারির ঘটনায় ৯ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছে দর্শন বিভাগের শিক্ষকরা। বিভাগের অধ্যাপক ড. আসাদুজ্জামানকে আহ্বায়ক করে এ কমিটি গঠন করা হয়।