ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) বিভিন্ন বিভাগের তিন শিক্ষককে শোকজ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) এস এম আব্দুল লতিফ স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
রোববার (৮ মার্চ) দুপুরে রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) এস এম আব্দুল লতিফ বার্তা২৪.কমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, নিয়োগ সংক্রান্ত বোর্ডে তথ্য গোপন করার অভিযোগে একজনকে এবং বঙ্গবন্ধু পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটি বরাবর অভিযোগ করার ভিত্তিতে দু’জনকে শোকজ করা হয়েছে।
রেজিস্ট্রার অফিস সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগ বোর্ডে তথ্য গোপনের অভিযোগ ওঠে ইবি শিক্ষক অধ্যাপক ড. মাহবুবুল আরফিনের বিরুদ্ধে। এরপর ওই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাকে সকল কার্যক্রমে অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে কালো তালিকা অন্তর্ভুক্ত করে।
সর্বশেষ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দৃষ্টিগোচর হওয়ার পর রোববার (৮ মার্চ) বিষয়টি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করেছে বলে উল্লেখ করে, তাকে আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে এ ধরণের আচরণের যথাযথ ব্যাখ্যা প্রদান করতে বলা হয়েছে।
অন্যদিকে গত ৬ মার্চ বঙ্গবন্ধু পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক বরাবর একটি পত্রের ২য় পাতার প্যারায় উল্লেখিত যে সকল অভিযোগ উত্থাপন করা হয়েছে, তার গ্রহণযোগ্য দালিলিক প্রমাণ পত্রে স্বাক্ষরকারীদেরকে আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে দিতে বলা হয়েছে।
ওই পত্রে আইসিটি বিভাগের অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমানের নামের স্থলে ইংরেজি বিভাগের মিজানুর রহমান এবং ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিট্যালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের অধ্যাপক ড. মাহবুবুল আরফিনের স্থলে বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. আনোয়ারুল হকের স্বাক্ষরের সাদৃশ্য রয়েছে বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন উর রশিদ আসকারী বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘অভিযোগের ভিত্তিতে স্ব স্ব ব্যক্তির কাছে লিখিত ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে। আগামী সিন্ডিকেট সভায় তাদের বিষয়গুলো উত্থাপন করা হবে এবং এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’