শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, ‘আমরা ধরেই নিয়েছি, নারীর কাজ ঘরের অভ্যন্তরেই। নারীরা ঘরে যে কাজ করেন, তার কোনো স্বীকৃতি দেওয়া হয় না। অথচ সন্তান জন্মদানের মতো পৃথিবীর সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ কাজটি নারীরা করেন। সৃষ্টিকর্তা বুঝে শুনেই নারীদের এই দায়িত্ব দিয়েছেন। প্রত্যেকবার সন্তান জন্মদানের সময় তারা মৃত্যুর মুখোমুখি হন।’
রোববার (৮ মার্চ) আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের উদ্যোগে আয়োজিত চতুর্থ নারী গণিত অলিম্পিয়াড-২০২০ এর পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে সকালে অলিম্পিয়াডের উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান ।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের মাথায় থাকে না নারীরা ঘরের যেসব কাজ করে সেটার একটা মূল্য রয়েছে। কিন্তু তারা সেটার বিনিময়ে টাকা নেন না, সেটা একটা ব্যাপার। কিন্তু কাজটি একটি মূল্যের আওতায় আনা উচিত।’
তিনি আরও বলেন, ‘নারীদের সকল প্রতিবন্ধকতা পেরোবার যে অন্তর্নিহিত শক্তি রয়েছে, তা দিয়েই নারীরা এখন এগিয়ে যাচ্ছে। তাকে দোষারোপ নয় বরং তার প্রতিবন্ধকতাগুলো দূর করতে সমাজকে এগিয়ে আসতে হবে। তাদের যেন সবসময় এটা করো না, ওটা করো না শুনতে না হয়। এখন মেয়েরা সব জায়গায় ভালো করছে। আগে সুযোগ দেওয়া হতো না। এখন সুযোগ দেওয়া হচ্ছে, ফলে মেয়েরা যোগ্যতা প্রমাণের সুযোগ পাচ্ছে।’
দিনব্যাপী এ কর্মসূচিতে প্রায় ২০টি সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন শতাধিক ছাত্রী অংশগ্রহণ করে। অনুষ্ঠানের উদ্বোধনকালে ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড মো আখতারুজ্জামান বলেন, ‘গণিত যে সার্বজনীন তা এই অনুষ্ঠানে সকল ডিসিপ্লিনের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণের মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা টেকসই উন্নয়নের কথা বলি কিন্তু সমাজের একটা অংশকে পেছনে রেখে কোনোভাবেই তা অর্জন করা সম্ভব হবে না।’
দিনব্যাপী এ আয়োজনে ছিল গণিত বিষয়ে উপস্থাপনা, বক্তৃতা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান প্রভৃতি। পরে বিকেলে বিজয়ীদের মধ্যে সনদ, ক্রেস্ট, ও প্রাইস মানি প্রদান করা হয়।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. তোফায়েল আহমদ চৌধুরী, এএফ মুজিবুর রহমান ফাউন্ডেশনের ট্রাস্টি অধ্যাপক ড. পারভীন হাসান, গণিত বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. অমল কৃষ্ণ হালদার, অধ্যাপক ড. শহিদুল ইসলাম প্রমুখ।