গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) ইতিহাস বিভাগের অনুমোদন বহাল রাখার দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে।
সোমবার (৯ মার্চ) পৌনে ৬টার দিকে এই হামলার ঘটনা ঘটে। এরপর থেকেই উত্তাল হয়ে উঠেছে পুরো বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস।
জানা গেছে, অন্যান্য দিনের মতোই শিক্ষার্থীরা আমরণ অনশন কর্মসূচি পালন করে আসছিলো। এরই এক পর্যায়ে দুপুর আড়াইটার দিকে একাডেমিক ভবনের ৫০১ নম্বর কক্ষে মুজিব জন্মশত বার্ষিকী পালনের কর্মসূচি নিয়ে ভারপ্রাপ্ত ভিসি প্রফেসর ড. মোঃ শাহজাহান, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সভা চলাকালীন সময়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা কক্ষে তালা লাগিয়ে দেয় এবং কক্ষের সামনে আন্দোলন চালিয়ে যেতে থাকে। পরে দেন- দরবার শেষে বেলা সোয়া ৫টার সময় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা অবরুদ্ধ করে রাখা রুমের তালা খুলে দিয়ে কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনায় বসে। এতে সিদ্ধান্ত হয় আগামী ১ এপ্রিলের মধ্যে ইতিহাস বিভাগের অনুমোদন এনে দেবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। না হলে শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও তাদের আন্দোলনের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করবে।
এই আলোচনার শেষ পর্যায়ে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা এ বিষয়ে লিখিত চাইলে কর্মচারীরা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বাক-বিতণ্ডা শুরু করে। এরই এক পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে কয়েকজনকে হামলার শিকার হয়। ঘটনাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত ভিসি প্রফেসর ড. মো. শাহজাহান এর সামনেই ঘটেছে।
এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার প্রফেসর নুরুদ্দিন আহম্মেদ জানান, এখনো দুই পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয় এই মুহূর্তে উত্তপ্ত পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
এ বিষয়ে গোপালগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) ছানোয়ার হোসেন জানিয়েছেন, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আমাদের কাছে সাহায্য চেয়েছিল। আমরা সহযোগিতা করে তাদেরকে অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে উদ্ধার করেছি।