ক্যাম্পাসে বেপরোয়া মোটরসাইকেল চলাচলে নিষেধাজ্ঞা ও নিরাপদ সড়কের দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এ উপলক্ষে মঙ্গলবার (১০ মার্চ) সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মৃত্যুঞ্জয়ী মুজিবের পাদদেশে মানববন্ধন করেন তারা।
মানববন্ধনে ক্যাম্পাসে সকল প্রকার যানবাহন চলাচলের গতিসীমা সর্বোচ্চ ২০কি.মি/ঘন্টায় করা, ক্যাম্পাসের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মোড়, ভবন, হলগুলোর সামনে স্পিডব্রেকার বসানো, রাস্তার পাশে সচেতনাতামূলক সাইনবোর্ড লাগানোসহ নিরাপদ সড়ক নিশ্চতের দাবি জানান শিক্ষার্থীরা।
এসময় ‘আর কত রক্ত ঝড়লে প্রশাসন তুমি জাগবে’, ‘ঘুমিয়ে আছে ইবি প্রশাসন এসি কেবিনে’ ‘ক্যাম্পাসে রক্তপাত বন্ধ কর’, ‘জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত কর’, ‘স্বপ্নপূরণের জন্য এসেছি পঙ্গু হতে নয়’, ‘যত গতি তত ক্ষতি’ এসমন বিভিন্ন প্রতিবাদীমূলক ফেস্টুন প্রদর্শন করেন তারা।
ক্যাম্পাস সূত্রে জানা যায়, গত ৮ মার্চ ক্যাম্পাসের ডায়না চত্ত্বরের পাশে বেপরোয়া গতিতে আসা মটরসাইকেলের সঙ্গে দূর্ঘটনার ফলে গুরুতর আহত হন বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের এক শিক্ষার্থী। এ ঘটনায় ইয়াসির আরাফাত নামের ওই শিক্ষার্থীর দু’পায়ের হাড় ভেঙ্গে যায়।
এ ঘটনার প্রতিবাদে মঙ্গলবার (১০ মার্চ) আন্দোলনে নামে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। প্রথমে ফলিত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি অনুষদ ভবনের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন তারা। মিছিলটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে মৃত্যঞ্জয়ী মুজিব ম্যুরালের সামনে গিয়ে মানববন্ধনে মিলিত হয়।
মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা বলেন, ক্যাম্পাসে বেপরোয়াভাবে মোটরসাইকেল চলাচলের ফলে বিভিন্ন সময় দুর্ঘটনার ঘটনা ঘটে। কিন্তু কর্তৃপক্ষকে এ ব্যাপরে দৃশ্যমান তেমন কোনো পদক্ষেপ নিতে দেখা যায় না। আজ আরাফাতের সঙ্গে যে দুর্ঘটনা ঘটেছে, এমন ঘটনা আমরা আর দ্বিতীয়টি দেখতে চাইনা।
মানববন্ধন শেষে দুপুরে নিরাপদ সড়কের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি দেন শিক্ষার্থীরা। স্মারকলিপিতে আহত শিক্ষার্থীর চিকিৎসার ব্যবস্থা, ক্যাম্পাসে সকল যান চলাচলে গতিসীমা নির্ধারণ, ক্যাম্পাসে বিভিন্ন পয়েন্টে স্পিডব্রেকার বসানোর দাবি জানানো হয়।
এ বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন উর রশিদ আসকারী বলেন, ‘যে ঘটনাটি ঘটেছে, সেটি দুঃখজনক। আহত শিক্ষার্থীর চিকিৎসায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অবশ্যই ভূমিকা রাখবে। এ ধরনের ঘটনা যাতে আর না ঘটে, সে বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার পাশাপাশি চালককে শাস্তির আওতায় আনা হবে।’