ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা দীর্ঘদিন ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে রিকশা ভাড়া নিয়ে নানান সমস্যায় ভুগছিলেন। ভাড়া নির্ধারিত না থাকায় শিক্ষার্থীরা প্রতিনিয়ত হয়রানির শিকার হয়েছেন। অবশেষে হয়রানি লাগব করতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সহায়তায় রিকশার অনির্ধারিত ভাড়া নির্ধারিত হচ্ছে। ইতোমধ্যে ভাড়া নির্ধারণের একটি খসড়া তালিকা প্রণয়ন করা হয়েছে। আগামী ১৫ মার্চ থেকে রিকশা ভাড়ার নতুন এই তালিকা কার্যকর করার কথা জানান ডাকসু সদস্য তানভীর হাসান সৈকত।
গত কয়েকদিন ধরে এ নিয়ে কাজ করেছেন ডাকসু সদস্য তানভীর হাসান সৈকত ও নজরুল ইসলাম। এ নিয়ে বার্তা২৪.কমের সঙ্গে কথা হয় সৈকতের।
ডাকসু সদস্য তানভীর হাসান সৈকত বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ডাকসুর প্রতিনিধি হিসেবে শিক্ষার্থীদের জন্য আমাদের অনেক কিছুই করার ছিল কিন্তু আমরা তেমন কিছুই করতে পারিনি। তবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের দীর্ঘদিনের দাবির প্রেক্ষিতে আগামী ১৫ মার্চ থেকে কার্যকর হবে ডাকসু কর্তৃক নির্ধারিত রিকশা ভাড়া। পরবর্তীতে ব্যবহারিক অভিজ্ঞতা অনুযায়ী আরও নির্ভুল তালিকা নির্ধারণ করা হবে।
ভাড়া নির্ধারণের প্রক্রিয়া সম্পর্কে তিনি বলেন, আমরা প্রাথমিকভাবে ১০০ শিক্ষার্থীর সাথে কথা বলে এবং ৫০ জন রিকশা চালকের মতামতের ভিত্তিতে ন্যায্য ভাড়ার তালিকা নির্ধারণ করার চেষ্টা করেছি।
রিকশাগুলো সুনির্দিষ্ট বক্সে পাওয়া যাবে জানিয়ে তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসকে ১৬টি জোনে ভাগ করে প্রতিটি জোন অনুযায়ী রিকশা দাঁড়ানোর জায়গা হিসেবে প্রাথমিকভাবে সাদা রংয়ের বক্স করা হচ্ছে। এই বক্সগুলো দুই ধরনের হবে- বেশির ভাগ বক্স হবে যেখান থেকে শিক্ষার্থীরা রিকশায় উঠবে। এই বক্সের রিকশাগুলো শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসের যে কোনো জায়গায় যেতে চাইবে সেখানেই যেতে তারা বাধ্য। কোনো প্রকার না করতে পারবে না। আর দ্বিতীয় ধরনের কিছু বক্স থাকবে বিশ্রাম বক্স যেখানে রিকশা চালকরা বিশ্রাম নিবে। আর এই বক্সের কোনো রিকশা চালককে কেউ জিজ্ঞেস করবে না যাবেন কিনা? রিকশা চালকদের কথা বিবেচনা করে এটা করা হচ্ছে।
আর সবগুলো বক্সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্ধারিত চালক ছাড়া বাহিরের কোনো রিকশা দাঁড়াতে পারবে না।