ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের অধ্যাপক ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর আতিউর রহমান বলেছেন, স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শৈশব থেকেই মা, মাটি ও মানুষকে নিয়ে ভাবতেন। তিনি ছিলেন বাঙালির আশার বাতিঘর।
বুধবার (১১ মার্চ) দুপুরে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগে ‘বঙ্গবন্ধুর অর্থনৈতিক দর্শন ও মানবিকতা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধান আলোচকের বক্তব্যে অধ্যাপক আতিউর রহমান বলেন, বঙ্গবন্ধু দুঃখী মানুষের কাছে দেওয়া প্রতিশ্রুতি কখনো ভুলে যাননি। সবসময়ই সাধারণ মানুষের কাছে দেওয়া প্রতিশ্রুতি রক্ষার চেষ্টা করেছেন। চিরদিন বলেছেন যে, তিনি দুঃখী মানুষকে কখনো ধোঁকা দিতে পারবেন না। বৈষম্য নিরসনের লক্ষে তার অর্থনৈতিক দর্শন ছিল রাজনৈতিক দর্শন। তার অর্থনৈতিক দর্শনের চূড়ান্ত ফল হলো স্বাধীনতার পর যখন তিনি বাংলার সাধারণ মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য সচেষ্ট থেকেছেন। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর অর্থনৈতিক দর্শন আরও পরিণত হয়েছে। আর এভাবে তিনি হয়ে উঠেছিলেন বাঙালির আশার বাতিঘর।
তিনি বলেন, সাধারণ মানুষের পক্ষে আন্দোলন করার জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। কিন্তু তিনি দমে যাননি বরং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছেড়ে গিয়ে তিনি গ্রামেগঞ্জে পৌঁছে গেছেন। দেশের এমন কোন গ্রাম নেই যেখানে বঙ্গবন্ধুর পা পড়েনি। বঙ্গবন্ধুর অর্থনৈতিক দর্শন ছিল অসাধারণ।
দর্শন বিভাগের অধ্যাপক মুনির হোসেন তালুকদারের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন কলা ও মানবিকী অনুষদের ডিন অধ্যাপক মোজাম্মেল হক, দর্শন বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক মোস্তফা নাজমুল মানসুর, অধ্যাপক ফরিদ আহমেদ, সহযোগী অধ্যাপক ফরিদ আহমেদ, সহযোগী অধ্যাপক মাহমুদা আকন্দ।
আলোচনা শেষে অধ্যাপক আতিউর রহমানের হাতে সম্মাননা স্মারক তুলে দেন বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক মোস্তফা নাজমুল মানসুর।