সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক আর বাড়ছে না সাধারণ ছুটি। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছাড়া সীমিত পরিসরে খুলে দেওয়া হয়েছে প্রতিষ্ঠানগুলো। আপাতত ১৫ জুন পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। তবে স্বাস্থ্য বিধি ও সামাজিক দূরত্ব নীতিমালা অনুসরণে ও বিভিন্ন শর্তসমূহ যথাযথ প্রতিপালন করে অতি প্রয়োজনীয় দাপ্তরিক কার্যাবলি সম্পাদন, শিক্ষকদের গবেষণা কাজে সহায়তা প্রদান এবং ভবনাদি রক্ষণাবেক্ষণের স্বার্থে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শুধুমাত্র অফিসসমূহ সীমিত পরিসরে ৩১ মে থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত খোলা থাকবে।
শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো এক অফিস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয় হয় ন্যূনতম সংখ্যক অত্যাবশ্যক জনবল নিয়ে সীমিত পরিসরে অফিস কার্যক্রম চালু থাকবে। এজন্য সংশ্লিষ্ট অফিস প্রধান প্রতি ১৪ দিনের রোস্টার তৈরি করবেন। অন্যরা যেকোনো সময়ে অফিসে আসার প্রয়োজনে নিজ নিজ বাসায় অবস্থান করবেন এবং সংশ্লিষ্ট অফিসের সাথে যোগাযোগ রাখবেন। কোনো কর্মকর্তা/কর্মচারী গণপরিবহন ব্যবহার করবেন না। অতি প্রয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন সেবা প্রদান করা হবে। সামাজিক দূরত্ব নীতিমালা অনুসরণ করে অফিসে বসা ও চলাচল করবে। সকলকে জীবাণুমুক্ত ও সুরক্ষিত থাকতে পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে হবে।
এতে আরও বলা হয় অফিস চলাকালীন কেউ অফিসের বাইরে ঘোরাফেরা করা যাবে না। ছুটি ও বিদেশ গমনের উদ্দেশ্যে এনওসি'র জন্য কারো অফিসে আসার প্রয়োজন নেই। নিজ নিজ প্রতিষ্ঠান/বিভাগের লাইব্রেরি, সেমিনার লাইব্রেরি, ল্যাবরেটরি, গবেষণাগার, জাদুঘর, ভাস্কর্য, স্মারক স্থাপনা প্রভৃতি রক্ষণাবেক্ষণে বিশেষভাবে যত্নশীল থাকার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ/অফিস প্রধানকে বিশেষ অনুরোধ জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয় এই সময়ে অন্যান্য জরুরি কাজের মধ্যে ইতীমধ্যে অনুষ্ঠিত পরীক্ষাসমূহের ফলাফল চূড়ান্তকরণ ও তা প্রকাশের ব্যবস্থা গ্রহণ, আবাসিক হলসমূহ হলের সার্বিক পরিবেশ পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন, সংশ্লিষ্ট শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী ব্যতীত অন্য কেউ যেন কোনো ভবনে প্রবেশ করতে না পারে সেজন্য সকল ভবনের মূল গেট বন্ধ রাখাসহ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে প্রবেশে ও চলাচলে বিদ্যমান সকল ব্যবস্থা ও বিধি-নিষেধ বলবৎ থাকবে বলে জানানো হয়।