করোনাভাইরাসের মহামারির কারণে দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ থাকলেও শুরু থেকেই অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম সচল রেখেছে দেশের প্রথম ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি।
বিশ্ববিদ্যালয়টির ৯০ শতাংশ শিক্ষার্থী অনলাইন ক্লাসে অংশগ্রহণ, গ্রুপ ওয়ার্ক, প্রেজেন্টেশন এবং অ্যাসাইনমেন্ট জমা দেয়ার মত কাজগুলো সম্পন্ন করছেন। ক্লাসগুলি ফ্লিপ্ড পদ্ধতিতে কোলাবোরেটিভ লানিং প্যডাগোজিতে নেয়া হচ্ছে।
অনলাইন ক্লাস থেকে ঝরে পড়া রোধ এবং অনলাইন শিক্ষায় উৎসাহিত করতে শিক্ষার্থীদের অনলাইনে ক্লাস এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ই-লাইব্রেরি ব্যবহার করার জন্য ইন্টারনেট বিল বাবদ বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট ১৬৩ জন শিক্ষার্থীকে ২৬০০ করে টাকা প্রদান করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুনাজ আহমেদ নূর।
মঙ্গলবার (২৩ জুন) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের অনুমোদক্রমে শিক্ষার্থীদের মোবাইল নম্বরে নগদ একাউন্টের মাধ্যমে এই টাকা পৌঁছে দেয়া হয়েছে।
বিডিইউ উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুনাজ আহমেদ নূর বলেন, কোভিড-১৯ মহামারীর কারণে দীর্ঘ এই বন্ধে শিক্ষার্থীরা পড়াশুনা থেকে দূরে সরে যেতে পারে। তাই অনলাইন ক্লাস তাদের যথাসময়ে কোর্স সম্পন্ন করতে এবং তাদেরকে সঠিক পথে রাখতে সহায়তা করবে।
উপাচার্য বলেন, ইন্টারনেট ব্যয় বেশি হওয়ায় অনেক শিক্ষার্থী অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম থেকে ঝরে পড়ছে। মূলত তাদের অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রমে ফিরিয়ে আনতে এই উদ্যোগ নেয়া। আমি আশা করি এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রমে উৎসাহিত হবে এবং শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যাবে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের জন্য কাস্টমাইজড এবং সুগঠিত লার্নিং ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম, ভার্চুয়াল মেশিন (ভিএম) রয়েছে। শিক্ষার্থীরা যেকোন জায়গা থেকে তাদের ভিএম অ্যাক্সেস করতে পারে। অনলাইন ক্লাসের ফলে সেশন জটে শিক্ষার্থীদের সময় হারাতে হবে না বলেও আশা প্রকাশ করে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুনাজ আহমেদ নূর।