কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. এমরান কবির চৌধুরী কর্তৃক ‘অপ্রত্যাশিত দুর্ব্যবহার’র শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সৈয়দুর রহমান। অনলাইন প্ল্যাটফর্ম জুমে অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৪তম একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় তিনি এই দুর্ব্যবহারের শিকার হয়েছেন বলে জানিয়েছেন। এই সংক্রান্ত একটি লিখিত পত্রও তিনি দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বরাবর। তবে উপাচার্য বলেছেন অধ্যাপক নিজেই দুর্ব্যবহার করেছেন।
করোনাভাইরাসে কারণে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকায় গত ১ জুন ৫৪তম একাডেমিক সভার আয়োজন করা হয়। এই অনলাইন মিটিং এ উপাচার্য প্রফেসর ড. এমরান কবির চৌধুরী-এর সভাপতিত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল ডিন, বিভিন্ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান, রেজিস্ট্রার, প্রক্টর, ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই জন শিক্ষক ও পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক উপস্থিত ছিলেন।
অধ্যাপক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সৈয়দুর রহমান তার লিখিত পত্রে উল্লেখ করেন, একাডেমিক কাউন্সিলের ৫৪তম অনলাইন সভায় তিনি উপাচার্য কর্তৃক অপ্রত্যাশিত আচরণের শিকার হয়েছেন। ভবিষ্যতে তার সাথে এমন আচরণ করা হবে না এই নিশ্চয়তা না দেওয়া হয় তবে তবে এ ধরণের সভায় তিনি আর অংশগ্রহণ করবেন না। পাশাপাশি উক্ত সভার ফুটেজসহ তিনি মহামান্য রাষ্ট্রপতির দফতরে অভিযোগ করতে প্রস্তুত বলেও উল্লেখ করেন।
এ বিষয়ে অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সৈয়দুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলের সভা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই সভা অন্তত ৭ দিন আগে আহ্বান করতে হয়। কিন্তু ৫৪তম এই সভার জন্য আমাকে আহ্বান করা হয়েছে সভার আগের দিন। পাশাপাশি একটি একাডেমিক কাউন্সিলের সভার কোনো আলোচ্য সূচীও ছিলোনা। মিটিংয়ে কে কখন কথা বলবে তারও কোনো ধারাক্রম ছিলো না।’
তিনি আরো বলেন, এসব বিষয়ে কথা বলতে আমি ফ্লোর নিয়ে সভার সদস্য সচিব বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারকে অনুরোধ জানাই সভাটিকে একটি গোছানো অবস্থায় নিয়ে আসতে। উল্লেখ্য যে, কোনো সভা প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী সাধারণ সম্পাদক/সদস্য সচিবকেই পরিচালনা করতে দেখি। ওই সভায় যারা উপস্থিত ছিলেন তার মাঝে অভ্যন্তরীণ সদস্যদের মাঝে আমিই সিনিয়র অধ্যাপক ছিলাম। বাইরের দুইজন সদস্যসহ সবার সামনে এমন আচরণের সম্মুখীন হয়ে আমি বিব্রত। এ ব্যাপারে আমি রেজিস্ট্রার বরাবর লিখিতও দিয়েছি।
ঘটনা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমরান কবির চৌধুরী জানান, তিনি নিজেই সভায় দুর্ব্যবহার করেছেন। তিনি ভাইস চ্যান্সেলরের সাথে দুর্ব্যবহার করেছেন, অবমাননা করেছেন। ভাইস চ্যান্সেলর যেখানে সভা পরিচালনা করবেন সেখানে তিনি রেজিস্ট্রারকে বলছেন সভা চালাতে।