শিল্পপতি, সমাজসেবক ও নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির (এনএসইউ) প্রতিষ্ঠাতা সদস্য এম এ কাসেম নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতার মাধ্যমে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।
এর আগে তিনি তিনবার নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়াও তিনি প্রতিষ্ঠার পর থেকে বেশ কয়েকবার এনএসইউ ফাউন্ডেশনের এন্ডোসমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবেও নিয়োজিত ছিলেন।
এম এ কাসেম জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় এবং বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে তিন বছর মেয়াদে ২ বার করে উভয় সিন্ডিকেট কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি বাংলাদেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতির প্রাক্তন চেয়ারম্যান হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
তিনি ফেনীর এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার এক বর্ণিল শিক্ষা জীবন ছিল। দেশের শিল্পকারখানা ও ব্যবসায়িক সম্প্রদায়ের শীর্ষ সংগঠন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজের (এফবিসিসিআই) সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এফবিসিসিআই এর বর্তমান অফিসের আধুনিকায়নে তার অসামান্য অবদান রয়েছে। তার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে এবং দূরদর্শিতায় এফবিসিসিআই এ প্রাণবন্ত কাজের পরিবেশ সৃষ্টির পাশাপাশি দেশ বিদেশে এর খ্যাতি এনে দেয়।
তিনি সাউথ ইস্ট ব্যাংক এর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান এবং বর্তমান পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। সাউথ ইস্ট ব্যাংক বর্তমানে একটি প্রথম শ্রেণীর ব্যাংক।
এম এ কাসেম আজীবন সামাজিক ও মানব কল্যাণে নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন। তার অঞ্চলে সুবিধাবঞ্চিত শিক্ষার্থীদের বৃত্তি ও উপবৃত্তি প্রদানের মাধ্যমে শিক্ষার প্রসারে ভূমিকা রাখতে তিনি “এম কাসেম ট্রাস্টের” প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি এম কাসেম ট্রাস্টের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান। তিনি তার নিজ এলাকায় “তারেক মেমেরিয়াল ইব্রাহিম-জেনারেল হাসপাতাল” নামে একটি আধুনিক অলাভজনক হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করেন যা ন্যূনতম ব্যয়ে এই অঞ্চলের জনগণকে, বিশেষত সুবিধা বঞ্চিতদের জন্য সমস্ত ধরনের চিকিৎসা সেবা প্রদান করে চলছে।
তিনি বহুবার বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ভ্রমণ করেছেন এবং উন্নত দেশগুলিতে বেশ কয়েকটি বিভিন্ন প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিয়েছেন।
এম এ কাসেম দেশের রফতানি খাতে উল্লেখযোগ্য অবদানের জন্য ২ বার “রাষ্ট্রপতি রফতানি ট্রফি” এবং দেশের শিল্প খাতে অসামান্য অবদানের জন্য “সি আর দাস স্বর্ণপদক” অর্জন করেন। ২০১১ সালে তিনি জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) কর্তৃক দীর্ঘমেয়াদী ও উচ্চ কর দাতা হিসেবে সম্মানে ভূষিত হন। উচ্চ শিক্ষায় তার অসামান্য অবদানের জন্য তিনি ২০১৯ সালে “আবু রুশদ স্মৃতি পুরস্কার” প্রাপ্ত হন। তিনি একজন গল্ফার এবং একজন সিনিয়র রোটারিয়ান।