মিয়ানমার, সেনা অভ্যুত্থান, আঞ্চলিক পরিস্থিতি

, যুক্তিতর্ক

ড. মাহফুজ পারভেজ | 2023-09-01 07:26:29

স্নায়ুযুদ্ধের আনুষ্ঠানিক অবসানের পর প্রায় তিরিশ বছর পেরিয়ে গেলেও বিশ্ব চাপা-উত্তেজনা ও রাজনৈতিক-সামরিক মেরুকরণের বাইরে আসতে পারেনি। তখন লড়াই ছিল মতাদর্শিক এবং অধুনালুপ্ত সোভিয়েত ইউনিয়ন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে। আর মূল রণক্ষেত্র ছিল প্রধানত পূর্ব ইউরোপ।

পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চীনের উত্থান ঘটেছে এবং সংঘাতে মূলকেন্দ্র আফগানিস্তান থেকে দক্ষিণ চীন সাগর হয়ে এশিয়া-প্যাসিফিকের বিশাল জলভাগ ও উপকূলবর্তী দেশগুলোতে পরোক্ষ ও প্রত্যক্ষভাবে প্রসারিত হয়েছে। ফলে বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন দেশগুলোও ভূ-রাজনৈতিক কৌশলগত দিক থেকে সামনে চলে এসেছে। গণতন্ত্রায়ন ও মানবাধিকারের মার্কিন বৈশ্বিক এজেন্ডার পাশাপাশি চীনের আর্থিক প্রণোদনামূলক পদক্ষেপও দেশে দেশে জোরদার গতিতে চলছে প্রভাব বলয় বিস্তারের লক্ষ্যে। এমনই পটভূমিতে ঠিক এক বছর আগে মিয়ানমারে সংঘটিত সেনাবাহিনীর অভ্যুত্থান শুধু সে দেশে নয়, আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক পরিসরেও বিশেষ মনোযোগের কারণ হয়েছে।

বর্তমান বিশ্বব্যবস্থাকে অবাক ও হতবিহ্বল করা ঘটনা ছিল মিয়ানমারে সেনাবাহিনীর অভ্যুত্থান। বৈশ্বিক মহামারির তীব্র সঙ্কটের মধ্যে ২০২১ সালের প্রথমভাগে মিয়ানমারের সামরিক জান্তা শুধু নির্বাচিত নেত্রী অং সান সু চিকে ক্ষমতাচ্যুত করেছে তা নয়, দেশটির গণতন্ত্র, আইনের শাসন ও মানবাধিকারের জরুরি ক্ষেত্রগুলোতে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে। ২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারের নেত্রী সু চি, সরকার ও ক্ষমতাসীন এনএলডি দলের শীর্ষনেতাদের গ্রেফতার করে ক্ষমতা দখল করেন সেনাবাহিনীর প্রধান সিনিয়র জেনারেল মিন অং হ্লাইং। ২০২০ সালের নভেম্বরে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ভূমিধস জয় পেয়েছিল সু চির দল। সামরিক হস্তক্ষেপে গণতান্ত্রিক অর্জন ও জনগণের অধিকার তৎক্ষণাৎ ধূলিসাৎ হয়।

আশ্চর্যের বিষয় হলো, আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া ও প্রতিরোধের চেয়ে বেশি অগ্রসর ভূমিকায় দেখা গেছে দেশটির জনতাকে। দীর্ঘ সামরিক শাসনের অভিজ্ঞতার ক্লান্ত মিয়ানমারের জনগণের পক্ষে প্রথমবারের মতো কার্যকর প্রতিরোধ গড়ে উঠেছে। যা গত এক বছরের অভিজ্ঞতায় নিম্ন মাত্রায় থাকলেও ধারাবাহিক সশস্ত্র বিদ্রোহে পরিণত হয়েছে। অভ্যুত্থানের পর জান্তাবিরোধী গণতন্ত্রপন্থীদের বিক্ষোভ ছিল দেশটির ইতিহাসের মহত্তম অধ্যায়, যা বুলেট ও বন্দুকের মাধ্যমে নির্মমভাবে দমন করতে কঠোর অবস্থানে রয়েছে ফৌজি জান্তা।

কিন্তু প্রবল নির্যাতনের পরেও জনআন্দোলনের অভিমুখ সহিংসতার মাধ্যমে এমন মাত্রায় গড়ায় যে, অনেক বিশ্লেষক পরিস্থিতি বর্ণনা করতে গিয়ে মিয়ানমার গৃহযুদ্ধে গড়াচ্ছে বলে উল্লেখ করতে শুরু করেন। সেনাবাহিনীর দমন-পীড়নে চড়া মূল্য দিতে হয়েছে বিক্ষোভকারীদের। তবু তারা হটে যাচ্ছেন না। বিভিন্ন পর্যবেক্ষক সংস্থার মতে, এখন পর্যন্ত প্রায় দেড় হাজার মানুষ নিহত হয়েছে নিরাপত্তাবাহিনীর হাতে, আটক করা হয়েছে প্রায় ৮ হাজার ৮০০ জনকে। এছাড়া অজ্ঞাত সংখ্যক নিপীড়ন ও গুমের শিকার হয়েছে। প্রতিরোধের শেকড় সন্ধানে একাধিক গ্রামে সেনাবাহিনীর অভিযানে ঘরবাড়ি থেকে উচ্ছেদ হয়েছে ৩ লক্ষাধিক মানুষ।

এক বছরের সংক্ষিপ্ত সময়ে গণতান্ত্রিক আন্দোলন দমনের এই কঠোরতম পরিণতির সঙ্গে সঙ্গে মিয়ানমারের রোহিঙ্গাদের পাশাপাশি অপরাপর ক্ষুদ্র জাতিসত্তার নিধন ও বিতারণের নৃশংসতম ধারাও অব্যাহত রয়েছে, যা আঞ্চলিক শান্তি, নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতায় জ্বলন্ত আগুনের লেলিহান শিখার মতো আতঙ্ক ছড়াচ্ছে। সেনাবাহিনীর ক্ষমতা দখলের অপরাপর পরিণতিগুলোও উল্লেখযোগ্য। জান্তার বিরুদ্ধে অসহযোগিতামূলক আন্দোলনের প্রভাব পড়েছে পরিবহন, ব্যাংক ও সরকারের বিভিন্ন সংস্থায়। করোনায় বিধ্বস্ত অর্থনীতি হয়েছে আরও মন্থর। সরকারি স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ভেঙে পড়ায় কয়েক মাস করোনার বিরুদ্ধে লড়াই ছিল পরিত্যক্ত। বিক্ষোভের প্রতি সহানুভুতিশীল শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা ক্লাস বয়কট বা গ্রেফতার হওয়ার কারণে বাধাগ্রস্ত হয়েছে মিয়ানমারের উচ্চশিক্ষাও।

বস্তুতপক্ষে, যে মাত্রায় প্রতিরোধ গড়ে উঠেছে তা সেনাবাহিনীর গঠিত সরকারের ধারণায় ছিল না। অভ্যুত্থানের পর প্রথম কয়েকদিন তারা সাধারণভাবে বিক্ষোভ দমনের চেষ্টা করেছে। বড় ধরনের কোনও পরিবর্তন বাস্তবায়নের কথা অস্বীকার করেছিলেন জেনারেলরা। তারা দাবি করেন, শুধু সু চিকে ক্ষমতা থেকে সরানো হয়েছে। তারপরেও সেদেশে বিশাল বিক্ষোভের জন্ম হয়েছে। যা নির্মমভাবে দমন করা হয়েছে। এতে করে মানুষ সশস্ত্র সংগ্রামের পথেই বরং ধাবিত হয়েছে।

বিক্ষোভ দমনে সেনাবাহিনী গ্রামীণ এলাকাগুলোতে একই নির্মম কৌশল প্রয়োগ করেছে, যা সংখ্যালঘুদের ওপর সীমান্ত এলাকায় করা হয়ে থাকে মানবতাবিরোধী, জাতিগত-গণহত্যার মাধ্যমে। জান্তার দমন এড়াতে শহুরে বিক্ষোভ তাৎক্ষণিকতায় পরিণত হয়েছে। গ্রামীণ এলাকাগুলোও সংঘাতের স্থলে পরিণত হয়েছে। স্থানীয় মিলিশিয়ারা গেরিলা যুদ্ধ পরিচালনা করছে জান্তার বিরুদ্ধে। সামরিক শাসন নয়, গণতন্ত্রই শেষকথা বলে ঘোষণা করেছে মিয়ানমারের জনতা।

১৯৪৮ সালে ঔপনিবেশ বিরোধী গণতান্ত্রিক চেতনায় মিয়ানমার রাষ্ট্র বৃটিশ শাসন থেকে স্বাধীন প্রজাতন্ত্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করলেও গত প্রায় ৭৩ বছরের সিংহভাগ সময়কাল সেখানে শাসনযন্ত্র রয়েছে সামরিক ও একনায়কতান্ত্রিক ব্যবস্থার দখলে। ১৯৬২ সালে সর্বপ্রথম জেনারেল নে উইন সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে উনু’র সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে মিয়ানমারের গণতান্ত্রিক ফেডারেল ব্যবস্থা বিলুপ্ত করে ‘নিজস্ব ঘরানার সমাজতন্ত্র’র নামে অর্থনীতিকে জাতীয়করণ করে। এবং সোশ্যালিস্ট প্রোগ্রাম পার্টি নামে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা কায়েম করে দেশটিতে স্বাধীন সংবাদমাধ্যমও নিষিদ্ধ করা হয়। ১৯৬২ সালের সেনা অভ্যুত্থানের মাধ্যমে দেশের শাসন ভার পুরোপুরি সেনাবাহিনীর দখলে চলে যায়।

১৯৬২ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত মাঝে মাঝে মিয়ানমার গণতন্ত্রের স্বাদ পেলেও সেটা ছিল সেনাবাহিনীর ক্ষমতার মোড়কে আবৃত 'ছায়া গণতন্ত্র'। এই সামরিকতন্ত্রের যাঁতাকলে এবং মিয়নামারের সামরিক বাহিনীর বুটে পিষ্ট হয়েছে মিয়ানমারের নাগরিক অধিকার, মানবাধিকার এবং সংখ্যালঘুদের মর্যাদা। সেনাশাসন সংবিধান সংশোধনের নামে সামরিকতন্ত্রের পাকাপোক্ত করণের পাশাপাশি নাগরিকহীন করা হয়েছে লক্ষ লক্ষ রোহিঙ্গাদেরকে।

১৯৮২ সালে বার্মা নাগরিকত্ব আইনের নামে রোহিঙ্গাদেরকে নাগরিকহীন করার পাশাপাশি তিন স্তর বিশিষ্ট নাগরিক পরিচয় নির্ধারণ করে নাগরিকদের মাঝে সৃষ্টি করেছে চরম বৈষম্য। বিভিন্ন সময়ে বিরোধীদের দমনের নামে সাধারণ জনগণের উপর চলেছে অমানুষিক নির্যাতন। ১৯৭৮ সালে অপারেশন ‘ড্রাগন কিং' বা 'নাগামিন’-এর নামে বাস্তুচ্যুত করা হয় লক্ষ লক্ষ নাগরিককে। ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট মিয়ানমারের সেনাবাহিনী এবং তাদের দোসরদের বর্বরোচিত জেনোসাইডের শিকার হয়ে প্রায় ১ মিলিয়ন রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী বাংলাদেশে পালিয়ে আসে এবং কক্সবাজার সীমান্তের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আশ্রয় নেয়। আর তখন থেকেই মিয়ানমার পরিস্থিতি আঞ্চলিক শান্তি, নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার বিরুদ্ধে বিপজ্জক বার্তা বহন করছে।

বিশেষত, মিয়ানমারের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক সংকটের প্রভাব ইতোমধ্যেই পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর নিরাপত্তায় উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই সংকট যতই দীর্ঘায়িত হচ্ছে, ততই আঞ্চলিক নিরাপত্তার সমস্যার বিষয়টি জটিল আকার ধারণ করছে। মিয়ানমারের সীমান্তবর্তী দেশেগুলো দেশত্যাগী শরণার্থীদের প্রবল স্রোতে প্লাবিত হওয়ায় বিভিন্নমুখী নিরাপত্তার সঙ্কটের আবর্ত তৈরি হয়েছে। নানা মাধ্যমে প্রকাশিত তথ্যে রোহিঙ্গাদের দ্বারা সংগঠিত বিভিন্ন অপরাধ যেমন, মাদকপাচার, চোরাচালান, চাঁদাবাজি , অপহরণ, হত্যার মত ঘটনা বাংলাদেশের জন্য উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। অবৈধ আইডি কার্ড ব্যবহার করে বাংলাদেশের শ্রম বাজারে গোপনে তাদের সস্তা শ্রম বাংলাদেশীদের কর্মসংস্থানের বিষয়টিকে হুমকীর মুখে ফেলে দিচ্ছে রেহিঙ্গারা। শ্রমবাজারের সাথে সাথে পরিবেশের মারাত্মক বিপর্যয় হচ্ছে রোহিঙ্গাদের বসবাসের জন্য। কক্সবাজার এলাকায় বিভিন্ন রোহিঙ্গা উগ্রবাদী সন্ত্রাসীর চারণক্ষেত্রে পরিণত হওয়ার উদ্বেগজনক খবরও প্রকাশিত হচ্ছে, যা বাংলাদেশের স্পর্শকাতর ও কৌশলগত দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের সামগ্রিক নিরাপত্তাকে ক্রমশ নাজুক করছে।

মিয়ানমারের ঘটনাবলির মারাত্মক প্রভাব বাংলাদেশের মত ভারতের জন্যেও পরিলক্ষিত হচ্ছে। সাম্প্রতিক সময়ের রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের ফলে আঞ্চলিক নিরাপত্তার জন্য উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে সেখানেও। গত ১০ জুন ২০২১ সালের আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মিয়ানমারের হাজার হাজার মানুষ পালিয়ে ভারতের মিজোরাম, মনিপুর এবং নাগাল্যান্ডে আশ্রয় নিচ্ছেন। এখন পর্যন্ত ১৬ হাজারের মতো মানুষ আশ্রয় নিয়েছে এসব অঞ্চলে। সবচেয়ে বেশী সংখ্যক মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন মিজোরামের টিয়াও নদীর তীরবর্তী ঘন বনাঞ্চলে যেখানে গণতন্ত্রপন্থী যোদ্ধারাও রয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে । পূর্ব থেকেই এই অঞ্চলে বিভিন্ন সন্ত্রাসী গোষ্ঠী ছিল বলে জানা যায়। এই সমস্ত সন্ত্রাসী গোষ্ঠী শরণার্থীদের ব্যবহার করে বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য তৎপরতা চালাতে পারে বলেও আশঙ্কা রয়েছে। মিয়ানমারের শরণার্থী সমস্যা সীমান্ত নিরাপত্তা, উগ্রসন্ত্রাসবাদের তৎপরতা এবং ভারত ও মিয়ানমারের মধ্যকার কূটনৈতিক সম্পর্কের নতুন মোড় নেওয়ার পাশাপাশি ভারতের আঞ্চলিক নিরাপত্তাকেও নতুনভাবে বিপদে ফেলতে পারে।

মিয়ানমারে চলমান সঙ্কটের আঁচ লাগতে শুরু করেছে পাশের থাইল্যান্ডের সীমান্তেও। মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী কারেন রাজ্যে বিমান হামলার ফলে হাজার হাজার গ্রামবাসী ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়ে থাইল্যান্ডে আশ্রয় নেয়ার চেষ্টা করে। থাইল্যান্ড তাদেরকে প্রাথমিকভাবে ফিরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলে তারা থাইল্যান্ডের সীমান্ত ঘেঁষে অবস্থিত সালউইন নদীর তীরের জঙ্গলে আশ্রয় নিয়েছে। মাঝে মাঝে কারেন ন্যাশনাল ইউনিয়নের (কেএনইউ) বাহিনীগুলো সেনাবাহিনীর সাথে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। কারেন ন্যাশনাল ইউনিয়নের সদস্যরা তাদের তৎপরতাকে চালানোর জন্য থাইল্যান্ডের সীমান্তকে বিভিন্নভাবে ব্যাবহারের চেষ্টা করে যাচ্ছে যা থাইল্যান্ডের নিরাপত্তার জন্য খুবই উদ্বেগজনক।

মিয়ানমারে সেনা অভ্যুত্থানের একবছরের বিরূপ অভিজ্ঞতায় দেশটির ভেতরে গণতন্ত্র, মানবাধিকার, আইনের শাসন লঙ্ঘনের মতোই আঞ্চলিক ক্ষেত্রে শান্তি, নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতাকে বিপজ্জনক পরিস্থিতির দিকে ঠেলে দিয়েছে। তদুপরি, দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সঙ্গমস্থলের দেশগুলোর সামনে নিরাপত্তার চরম ঝুঁকিপূর্ণ আবহ তৈরি করেছে।

ড. মাহফুজ পারভেজ, প্রফেসর, রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়; অ্যাসোসিয়েট এডিটর, বার্তা২৪.কম

এ সম্পর্কিত আরও খবর