অর্থনৈতিক উন্নয়নে ব্যবসা বাণিজ্যের প্রতিবন্ধকতা দূর করতে হবে

বিবিধ, যুক্তিতর্ক

এম. এ. মাসুম | 2023-09-01 23:05:01

একটি দেশে ব্যবসা বাণিজ্যের অনুকূল পরিবেশ না থাকলে দ্রুত অর্থনৈতিক উন্নয়ন সম্ভব নয়। সম্প্রতি ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম কর্তৃক ‘গ্লোবাল কম্পিটিটিভনেস রিপোর্ট ২০১৮’ প্রকাশ করেছে। ব্যবসা বাণিজ্যের দিক থেকে বৈশ্বিক প্রতিযোগিতার সক্ষমতা সূচকে দেশগুলোর অবস্থান তুলে ধরতেই এ প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়। প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয় ব্যবসায়ীদের মতামতের ভিত্তিতে।

প্রতিবেদনে দেখা যায়, গত বছরের তুলনায় বাংলাদেশ এ ক্ষেত্রে এক ধাপ পিছিয়ে গেছে। এ ফোরামভূক্ত ১৪০টি দেশের মধ্যে আগে যেখানে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১২০তম সেক্ষেত্রে বর্তমানে হয়েছে ১০৩তম। এতে ব্যবসায়ের মোট ১৬টি সমস্যার কথা বলা হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে-দুর্নীতি, অবকাঠামো ঘাটতি, আমলাতান্ত্রিক জটিলতা, শিক্ষিত কর্মীর অভাব, ঋণ প্রাপ্তির সমস্যা, নীতির স্থিতিশীলতা না থাকা, উচ্চ কর হার, কর নিয়ন্ত্রণের জটিলতা, দুর্বল শ্রম আইন, অপরাধ ও চুরি, জটিল কর নীতি, প্রযুক্তিগত শিক্ষা ও উদ্ভাবনের অভাব, দুর্বল জনস্বাস্থ্য, বৈদেশিক মুদ্রানীতি, মূল্যস্ফীতি এবং রক্ষণশীল শ্রম নীতিমালা। 

সবচেয়ে বেশি সংখ্যক ব্যবসায়ী দেশের ব্যবসায়িক পরিবেশ উন্নতির ক্ষেত্রে দুর্নীতিকে প্রধান অন্তরায় হিসেবে উল্লেখ করেছেন। প্রতিবেদনে প্রতিযোগিতা সক্ষমতা সূচকে বাংলাদেশের পিছিয়ে পড়ার কারণ হিসেবে পণ্য বাজার, আর্থিক অবস্থা, বাজারে গতিশীলতাসহ বেশ কিছু কারণ উল্লেখ করা হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, আগামী নির্বাচনের কারণে দেশের অর্থনীতিতে ৪টি খাতে প্রতিকূল প্রভাব পড়তে পারে। এগুলো হল-পণ্য উৎপাদন, রপ্তানি, কর্মসংস্থান ও রেমিট্যান্স। বাংলাদেশের দ্বিতীয় সমস্যা হচ্ছে অবকাঠামো ও অদক্ষ আমলাতন্ত্র। বাংলাদেশের জন্য যেসব বিষয়কে সমস্যা হিসেবে বিবেচনা করা হত, আগে তার শীর্ষে ছিল অবকাঠামোর দুর্বলতা। ২০০৯ ও ২০১৪ সালেও অবকাঠামো শীর্ষ সমস্যা হিসেবে বিবেচিত হতো।

কিন্তু সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দুর্নীতিই সবচেয়ে বড় সমস্যা হিসেবে দেখা দিয়েছে। ব্যবসায়ীরা মনে করেন, বিচ্ছিন্নভাবে কিছু অবকাঠামো স্থাপন করেছে সরকার। কিন্তু ব্যবসা করার জন্য একটি, ‘ফুল প্যাকেজ’দরকার। যেখানে থাকবে জমি, বিদ্যুৎ, গ্যাস, শ্রমিক, স্বল্প সুদে ঋণ এবং বন্দর সুবিধা। কিন্তু সেটি এখনও দেয়া সম্ভব হয়নি, যা বিনিয়োগে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। অধিকাংশ ব্যবসায়ী মনে করেন, আর্থিক খাতের অবস্থা দিন দিন খারাপ হচ্ছে। এক্ষেত্রে ব্যাংকের পাশাপাশি ব্যাংক বহির্ভূত আর্থিক খাতেও সমস্যা রয়েছে। তারা মনে করেন, আর্থিক খাতের সুশাসন ভেঙ্গে পড়েছে, এ খাতে শৃঙ্খলা ফেরানো দরকার। আর্থিক খাতে ২০১০ সালে আমাদের অবস্থান ছিল ৪৭তম। সেটা এখন পিছিয়ে ৭২তম হয়েছে। প্রতিবেদনে পরামর্শ দেয়া হয়, শ্রম নির্ভর অর্থনীতি দিয়ে বাংলাদেশ প্রতিযোগিতার সক্ষমতায় টিকতে পারবে না। টিকতে হলে বাজারের গতিশীলতা, নতুন উদ্ভাবনী ক্ষমতার মতো বিষয়ে জোর দিতে হবে। আইসিটি বা তথ্য প্রযুক্তির সঙ্গে পুঁজির সমন্বয় করে এগিয়ে চলতে হবে।

কর হার ও কর প্রদানের জটিলতা বহুদিন ধরেই ব্যবসায়ীদের অভিযোগ রয়েছে। কর দেয়ার ক্ষমতা রয়েছে-দেশের এমন ৬৮ শতাংশ মানুষই কর দেন না। কর দেন মাত্র ৩২ শতাংশ সামর্থ্যবান ব্যক্তি। এমনকি সবচেয়ে বেশি আয়ের ২৫ শতাংশ ব্যক্তির মধ্যে এক তৃতীয়াংশই আগের বছর আয়কর দেননি। বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগের (সিপিডি) সাম্প্রতিক এক জরিপে এ তথ্য উঠে এসেছে। জরিপে অংশ নেয়া ৭৫ শতাংশ ব্যক্তিই মনে করেন, দেশের কর ব্যবস্থা ধনী ব্যক্তিদের পক্ষে। কর দিচ্ছেন এমন ৬৫ শতাংশ মানুষ মনে করেন, করব্যবস্থায় দুর্নীতি রয়েছে, আর ৫০ শতাংশ মনে করেন, কর ব্যবস্থা জটিল। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, দেশে জিডিপি প্রবৃদ্ধি বাড়ছে কিন্তু সম্পদ আহরণ ঠিকমতো হচ্ছে না। আবার জিডিপি প্রবৃদ্ধি বাড়লেও সাধারণ মানুষ এর সুফল পাচ্ছে না। ফলে সমাজে বৈষম্য বাড়ছে। তাই কর আহরণের সাথে সংশ্লিষ্ট দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে সেই সাথে কর ব্যবস্থা আরো সহজ করতে হবে।

কোন দেশের বিদ্যমান পরিস্থিতিতে স্থানীয় উদ্যোক্তাদের জন্য ক্ষুদ্র বা মাঝারি ব্যবসা চালু এবং সেটা পরিচালনা করা কতটুকু সহজ বা কঠিন-সে বিষয়গুলো কয়েকটি সূচকের আওতায় বিশ্বব্যাংক পরিমাপ করে। বিশ্বব্যাংকের তৈরি সূচকে বাংলাদেশর এক ধাপ উন্নতি হয়েছে, তবে কোনো কোনো মানদণ্ডে বিশেষ করে ব্যবসা শুরু করার ক্ষেত্রে আগের চেয়ে বাংলাদেশের অবস্থানে অবনতি হয়েছে।

সম্প্রতি বিশ্বব্যাংক প্রকাশিত ‘ডুইং বিজনেস-২০১৯’ এই তথ্য উঠে এসেছে। বিশ্বব্যাংকের সহজ ব্যবসা সূচকে ১০ বছর আগে বাংলাদেশের বেশ পেছনে ছিল ভারত। এরপর বাংলাদেশ শুধু পিছিয়েছে। দুর্নীতি, আমলতান্ত্রিক জটিলতা, অদক্ষতার জন্য প্রতিবেশী দেশ এমনকি এশিয়ার সব ক'টি দেশের পেছনে পড়েছে বাংলাদেশ। প্রতিবেদনের সূচক বিশ্লেষণে দেখা যায়, ব্যবসা শুরু করতে বাংলাদেশের গড়ে ১৯.৫ দিন সময় লাগে অন্যদিকে আফগানিস্তানে সময় লাগে মাত্র ৮ থেকে ৯ দিন এবং মিয়ানমারে ১৪ দিন। নির্মাণের অনুমোদন পেতে বাংলাদেশের যেখানে ২৭৩.৫ দিনের চেয়ে বেশি সময় লাগে সেখানে আফগানিস্তানের সময় লাগে ১৯৯ দিন, মায়ানমারের লাগে মাত্র ৯৫ দিন। বিদ্যুৎ সংযোগ পেতে বাংলাদেশের এখনও ২২৩.৭ দিন লাগে যেখানে আফগানিস্তানের ১১৪ দিন এবং মিয়ানমারের মাত্র ৭৭ দিনের প্রয়োজন হয়। সম্পত্তি নিবন্ধনে এখনও বাংলাদেশের সময় লাগে ২৭০.৮ দিন, যেখানে আফগানিস্তানের লাগে ২৫০ দিন, অন্যদিকে মিয়ানমারের লাগে ৮৫ দিন। কর দিতে আফগানিস্তানের বছরে ২৭৫ ঘণ্টা মিয়ানমারে ২৮২ ঘণ্টা সেখানে বাংলাদেশে ব্যয় হয় বছরে ৪৩৫ ঘণ্টা। সীমান্তে রপ্তানিতে বাংলাদেশের সময় লাগে গড়ে ১৬৮ ঘণ্টা যেখানে আফগানিস্তানের লাগে ৪৮ ঘণ্টা এবং মিয়ানমারের ১৪২ ঘণ্টা।

চুক্তি বাস্তবায়নে মিয়ানমার ও আফগানিস্তানের চেয়ে বাংলাদেশের ব্যয়ের পরিমাণ অনেক বেশি। ব্যবসায় বাণিজ্যিক বিরোধ মেটাতে বাংলাদেশর সময় লাগে ১ হাজার ৪৪২ দিন, এতে ব্যয় হয় বিরোধে দাবি করা মোট অর্থের ৬৬ শতাংশ। বিরোধ মেটানোর আইনি পদ্ধতির গুনগত মান নিয়েও রয়েছে প্রশ্ন। ফলে এনফোর্সিং কন্ট্রাক্ট সূচকে বিশ্বের ১৯০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১৮৯তম। অথচ পাকিস্তানে বাণিজ্যিক বিরোধ মেটাতে সময় লাগে ১ হাজার ৭১ দিন, আর ব্যয় হয় বিরোধে মোট দাবিকৃত অর্থের ২০ দশমিক ৫০ শতাংশ। শ্রীলংকায় বিরোধ মেটাতে সময় লাগে ১ হাজার ৩১৮ দিন আর ব্যয় হয় মোট দাবির ২২ দশমিক ৮ শতাংশ, ভারতে এক্ষেত্রে সময় লাগে ১ হাজার ৪৪৫ দিন আর ব্যয় হয় মোট দাবির মোট ৩১ শতাংশ।

ঋণের উচ্চ সুদের হারও একটি দেশের ব্যবসা বাণিজ্যের অন্যতম অন্তরায়। জানা যায়, বিশ্বের অন্যান্য দেশে যেখানে ২ থেকে ৩ শতাংশ স্প্রেড রেড ( ঋণ আমানতে সুদ হারের ব্যবধান), সেখানে বাংলাদেশের ব্যাংকগুলোতে স্প্রেড ৪ থেকে ৫ শতাংশ। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, ঋণের উচ্চ সুদের কারণে দেশে শিল্পায়ন ও কর্মসংস্থান হ্রাস পাচ্ছে। বর্তমান সরকার ঋণে ৯ এবং আমানতে ৬ শতাংশ সুদ হার প্রথমে ১ জুলাই পরে ৯ আগষ্ট থেকে কার্যকর করার কথা ঘোষণা দেয়। জানা যায়, ঘোষিত এ হার অধিকাংশ ব্যাংক এখন পর্যন্ত কার্যকর করতে পারেনি। অর্থনীতিবিদরা মনে করেন, মাত্রাতিরিক্ত খেলাপি ঋণের কারণেই ব্যাংকগুলোর ব্যয় বেড়ে যাচ্ছে। ফলে অধিকাংশ ব্যাংক ঋণের সুদ হার সিঙ্গেল ডিজিটে নামিয়ে আনতে সক্ষম হয়নি।

দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন তথা ব্যবসা বাণিজ্যে অন্যতম বাধা হচ্ছে খেলাপি ঋণ। পর্যালোচনায় দেখা যায়, বিশ্বের বিভিন্ন দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের খেলাপি ঋণের হার সবচেয়ে বেশি। প্রতিবছরই বাংলাদেশে খেলাপি ঋণের হার বাড়ছে। বিশ্বের অনেক দেশেই ইচ্ছাকৃত ঋণ খেলাপিদের বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক ও সামাজিক-নানা ধরনের শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়। কোনো কোনো দেশে পাসপোর্ট জব্দ করা হয়, যাতে তারা অন্য দেশে পালিয়ে যেতে না পারে। বাংলাদেশেও ঋণ খেলাপিদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেয়া প্রয়োজন।

দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের এখন যে বাণিজ্য হচ্ছে সেটি দ্বিগুণ করার সুযোগ রয়েছে বলে সম্প্রতি বিশ্বব্যাংকের এক গবেষণায় উঠে এসেছে। সংস্থাটি বলছে, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য এখন ৭৬০ কোটি ডলার বা ৬২ হাজার ৩২০ কোটি টাকা। এটিকে ১ হাজার ৯০০ ডলারে যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ১ লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকায় উন্নীত করা সম্ভব। বিশ্বব্যাংক দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর সঙ্গে বাণিজ্য প্রত্যাশিতভাবে না বাড়ার কারণ হিসাবে কয়েকটি কারণ চিহ্নিত করে এগুলো হলো-উচ্চ শুল্ক, অশুল্ক বাধা, যোগাযোগ খরচ এবং এক দেশের সঙ্গে আরেক দেশের আস্থার সংকট।

চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরকে বাংলাদেশের অর্থনীতির ধমনি হিসেবে অভিহিত করা হয়। দেশের আমদানি ও রপ্তানি বাণিজ্যের সিংহভাগ সম্পন্ন হয় এ বন্দর থেকে। বিশেষ করে দেশের অন্যতম রপ্তানি পণ্য তৈরি পোশাক রপ্তানি এ বন্দরের মাধ্যমে সম্পন্ন হয়ে থাকে। তাছাড়া দেশের অন্যান্য জল, স্থল ও আকাশ বন্দর ব্যবসা বাণিজ্যে বিশাল ভূমিকা পালন করে। বন্দর থেকে যথাসময়ে পণ্য রফতানি নিশ্চিত হওয়ার ওপর দেশের রপ্তানি বাণিজ্যের অগ্রগতি যেমন নির্ভরশীল, তেমনি যথাসময়ে আমদানিকৃত পণ্য খালাসের বিষয়টি বাজারে পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখার ক্ষেত্রে পূর্বশর্ত হিসেবে বিবেচিত। কিন্তু বন্দরগুলোর অবকাঠামোগত সমস্যা, অব্যবস্থাপনা ও দুর্নীতির কারণে প্রায়ই ব্যবসা বাণিজ্যের ব্যহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়।

সম্প্রতি ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) পরিচালিত এক গবেষণায দেখা যায়, প্রতিটি জল ও স্থল বন্দর ও কাস্টম হাউজে প্রায় শতভাগ ক্ষেত্রেই নিয়ম বহির্ভূতভাবে লেনদেন হয়। এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পেতে বন্দরগুলোয় সুশাসন প্রতিষ্ঠাসহ আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার বৃদ্ধির মাধ্যমে বন্দরগুলোর দক্ষতা ও সক্ষমত বৃদ্ধির ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন বিশেষজ্ঞমহল।

তথ্য প্রযুক্তির এ বিশ্বে নতুন নতুন উদ্ভাবনের মাধ্যমে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করছে। জনসংখ্যা বৃদ্ধি, দ্রুত নগরায়ন ও শিল্পায়নের কারণে পৃথিবীতে জ্বালানির চাহিদা বাড়ছে। এ চাহিদা মেটানোর জন্য প্রযুক্তিসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে উচ্চ পর্যায়ের উদ্ভাবন দরকার। সেটা জ্বালানি উৎপাদনের ক্ষেত্রে তেমনি ব্যবহারের ক্ষেত্রেও। চাহিদা ও সরবরাহের সমীকরণ মেলানোর জন্য উদ্ভাবন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কিন্তু উদ্ভাবনের দিক থেকে বাংলাদেশ এশিয়া মহাদেশের দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে পিছিয়ে আছে। সম্প্রতি গ্লোবাল ইনোভেশন ইনডেক্স ২০১৮-এর প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। তাই আন্তর্জাতিক ব্যবসা-বাণিজ্যের সাথে তাল মিলিয়ে অর্থনৈতিক উন্নয়ন ঘটাতে হলে বাংলাদেশকে উদ্ভাবনের প্রতি গুরুত্ব দিতে হবে।

দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য, বিনিয়োগ, আমদানি-রপ্তানি ঠিক না থাকলে অর্থনীতির চাকা সচল রাখা সম্ভব হবে না। এজন্য প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ বাধা দূর করতে হলে অবশ্যই দেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা প্রয়োজন। প্রকৃত বিনিয়োগ বাধা দূর করতে এবং ব্যবসা বান্ধব পরিবেশ তৈরি করতে হলে সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে উদ্যোগ নিতে হবে।

এম. এ. মাসুম: ব্যাংকার ও অর্থনীতি বিশ্লেষক।

 

এ সম্পর্কিত আরও খবর