তিনি একাই কেন ধুনোর তুলো?

, যুক্তিতর্ক

প্রফেসর ড. মো: ফখরুল ইসলাম | 2023-08-31 15:26:44

কিছুদিন আগে প্যাঁচহীন কথাবার্তায় একজন সুবোধ পররাষ্ট্রমন্ত্রী পড়ে গেছেন কাদার মধ্যে। সবাই লক্ষ্য করেছেন তিনি তার বক্ত্যব্যে কিছু ভুল করে ফেলেছেন। এটা তার নিজের ভুল বললে ভুল করা হবে। যারা টিভিতে তার বক্তব্য শুনেছেন তারা সবাই জানেন, তিনি অন্যান্য বড় বড় বক্তাদের মতো কাউকে বেশী উপহাস, টিটকারী ও তাচ্ছিল্য করে কথা বলতে অপারগ। মাথায় বারোভার আগুন নিয়ে তিনি হাসিমুখো করে ভান করে কথা বলতে পারেন না। তবে আমি কারো সাফাই করছি না। তাঁর মধ্যে কৃত্রিমতা খুব কম দেখেছি। পররাষ্ট্রমন্ত্রী সহজ সরল মনে অকপটে যা বলেছেন তা কোন ক্রমে কোন সত্যের অপলাপ নয়।

দেশের প্রায়  সব প্রতিষ্ঠানে চতুর রাজনীতির মধ্যে ভাল মানুষের কপালে ভাত নেই। স্বার্থপর সিন্ডিকেটের জটিল হিসেবে না মিললে ভাল অফিসারদেরকে তাৎক্ষণিকভাবে ওএসডি করা হয়। বদলী করে দেয়া হয় দুর্গম পার্বত্য বা নদীবহুল, রাস্তাবিহীন জেলার কোন প্রত্যন্ত উপজেলা শহরে। এগুলো আমাদের কৃষ্টি। বাস্তবে দেখা যায়, মুরগীর একদল কালো ছানার মধ্যে একটি সাদা পালকের ছানা জন্ম নিয়ে একসাথে বসবাস করতে গেলে অন্য বাচ্চারা সবাই মিলে তাকে ঠোকরে আহত করে। একসময় মেরে ফেলে অথবা দল ছাড়তে বাধ্য করে। তেমনি এতকিছুর পরে হয়তো তাকে এরুপ একটা ঝামেলার মধ্যে পড়তে হয়েছ্ এজন্য তাঁকে হয়তো মন্ত্রীত্ব ছাড়তে হতে পারে। কারণ, তিনি কথা বলতে গিয়ে নিজের খেই হারিয়ে ফেলেছেন বলে অনেকে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেছেন।

এতদিন দেশের ভেতরে অনেক কথা বললেও সেগুলোকে ততটা গুরুত্ব দিয়ে তার সমালোচনা করা হয়নি। কিন্তু সম্প্রতি ভারতে গিয়ে যে বক্তব্য দিয়ে এসেছেন সেটা আমাদের দেশের মানুষের মননে ও দেশের আত্মমর্যাদায় তারঁ অজান্তেই বড় আঘাত করে ফেলেছে। যেটাকে কেউ বলেছেন আমাদের অস্তিত্ব ও সার্বভৌমত্বের উপর আঘাত। বিশেষ করে প্রতিবেশী একটি দেশের একটি দল যে সময় অখণ্ড ভারতের স্বপ্ন দেখছে সেই সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে সেখানে কথা বলার ব্যাপারে হিসেব করতে হতো।

বর্তমান মন্ত্রীসভায় অনেক জ্ঞানী-গুণী, উচ্চশিক্ষিত মানুষ রয়েছেন। কিছু অতিকথন করার মানুষ থাকলেও সবাই চাটুকারী করে নিজেদের পদ বাগিয়ে নেননি। তবে অনেকে রয়েছেন যারা অনেক ধর্ণা দিয়ে পদ পেয়ে নানা চাটুকারী করে টিকে রেখেছেন নিজেদেরকে। বিশেষ করে ভোটবিহীন নির্বাচনে জিতে অনেকে বড় পদের স্বর্গ হাতে পেয়ে গেছেন না চাহিতেই। তারা জানেন পরবর্তী নির্বাচনের আর মাত্র অল্পকিছুদিন বাকী আছে। এবারের ভোট আগের মতো হবার সুযোগ নেই। তারা ক্ষমতার মজা পেয়ে গেছেন। তাই আরো বেশীদিন ক্ষমতায় পেতে ও থাকতে চান। তারা জানেন, আগের নির্বাচন বা বর্তমানের ক্ষমতার উৎস কি ছিল। সে রকম আবারো পেতে চান। সেজন্য আবারো মরিয়া হয়ে উঠেছেন কেউ কেউ। রাখ-ঢাক না করে তারা নেমে পড়েছেন দেশে-বিদেশে। নিজেদের মনের কথা সেটা হোকনা অনৈতিক ও দেশের সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে তা অকপটে মুখ ফসকে বলে ফেল্ছেন। কপটতা না করলে তো আর এসব কখা পেটের ভেতর আটকে রাখা যায় না। তা ছাড়া সবাই এত কথা পেটের মধ্যে জমা করে রাখতে অভ্যস্ত নন। কারণ, সেই অর্থে সবাই ঝানু রাজনীতিবিদ নন।তিনি রাজনৈতিক চাতুরী হয়তো বুঝেন না, নতুবা এসব চাতুরী করতে অভ্যস্ত হয়ে উঠেননি। তাই তার কথার মাধ্যমে আওয়ামী রাজনীতির অন্ত:সারশুণ্যতা ফুটে উঠেছে।

আর একটি বিষয় হলো- বোবার শত্রু অনেক। কথা বলতে পারঙ্গম না হলে রাজনীতিতে টিকে থাকা মুস্কিল। তাই রাজনীতি করতে গিয়ে বোবারাও কথা বলতে চায়। রাজনীতি এখন রাজার নীতি নয়। আগেকার দিনে রাজা একটি হুকুম দিরে সবাই সেটা অক্ষরে অক্ষরে মানার চেষ্টা করতো। এখনকার দিনে কেউ রাজার কথা মানতে চায় না। কারণটা এখন গণতন্ত্রের যুগ বলে কথা। তাইতো দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স বার বার শুধু কথার কথা হয়ে আপন শক্তিতে বলীয়ান হয় ও ফিরে ফিরে আসে। তা না হলে টিকে থাকার জন্য বিদেশি শক্তি বা দেশীয় পেশাদারী পেশীশক্তির বা অন্যের উপর ধর্ণা দিয়ে রাজনীতিতে টিকে থাকার চেষ্টা করতে হবে কেন?

পররাষ্ট্রমন্ত্রী তিস্তা চুক্তি নিয়ে গতবছর কি বলেছিলেন তা সবার জানা আছে। কিছুদিন আগে ভারতের এনডিটিভিতে নিজের অভিব্যক্তি প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘‘আমরা প্রস্তুত, তারাও (ভারত) প্রস্তুত, তবু এখনো চুক্তি হয়নি। এটা একটা লজ্জাজনক ব্যপার। ভবিষ্যতে পানির জন্য বড় ধরনের হাহাকার হবে। এবং আমাদের এর জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে” (ইত্তেফাক মে ৩১, ২০২২)।  তিনি আরো বলেন, ‘এটা খুবই দুর্ভাগ্য যে ১১ বছরেও আমরা তিস্তা পানি বন্টন চুক্তির সমাধানে পৌঁছাতে পারিনি।

অথচ, গত বছর  তিনি এ ব্যাপারে বলেন, “তিস্তা চুক্তি ১০ বছর আগে পাতায় পাতায় সই হয়েছে। ডকুমেন্টও উভয়পক্ষ। ভারত সরকার আমাদের বলেছে, আগে যে চুক্তি হয়েছে সেটা স্ট্যান্ডবাই। তারা এটা গ্রহণ করে এবং তার থেকে কোনো ব্যত্যয় হয়নি। কী কারণে যে বাস্তবায়ন হয় নাই, আমরা তো সেটা জানি” (দৈনিক যুগান্তর ১৩.৩.২০২১)।

অর্থ্যাৎ, মাত্র একবছর পূর্বে তিনি একটি গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক দ্বিপাক্ষিক বিষয় নিয়ে কি বলেছিলেন সেটার ধারাবাহিকতা মাথায় না রেখে পরের বছর ভিন্ন মন্তব্য করেছেন।

নিজের নির্বাচনের আগে কি বক্তব্য দিয়েছিলেন তাও জানা আছে “ নির্বাচনের সময়ে নিম্ন আয়ের মানুষদের এক কলোনিতে এক সমাবেশে তিনি বলেছিলেন, ‘এখানে নির্বাচন যারাই করছে তারা প্রত্যেকেই যোগ্য। আমার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী (বিএনপির মনোনীত প্রার্থী) তিনিও যোগ্য, আমিও যোগ্য। তবে তার চাইতে আমি বেশি যোগ্য’। তার ওই বক্তব্যে অনেকেই নানা কথা বলছিল সত্য, কিন্তু এটা ছিল সারল্যের প্রকাশের সঙ্গে অন্যকে ছোট না করে না দেখার বড় ভাবনাও। সচেতন মানুষমাত্র এমন বক্তব্য পছন্দ করবে ঠিক, কিন্তু রাজনীতির মাঠ...সে ভিন্ন গল্প!”

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন আগেও একবার বলেছিলেন, ‘ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্ক স্বামী-স্ত্রীর মতো।’ সম্পর্কের গভীরতা বুঝাতে বক্তব্যের অন্তর্গত ভাব ধরতে অক্ষম অনেকেই সে সময় সমালোচনা করেছিল, এখনও করেন। এ নিয়ে আলোচনা নয়। তবে কোথায় কী বলতে হবে এটা বুঝা উচিত রাজনীতিক, বিশেষত মন্ত্রীদের। রাজনীতির মাঠ ও জনগণ উচ্চাঙ্গ সংগীতের শ্রোতা নয় যে অন্তর্গত ভাব ধরতে বসবে। এই মাঠ সবসময়ই উত্তপ্ত এবং অপেক্ষায় অন্যের বক্তব্যের ফাঁকফোকর ধরতে। মন্ত্রী কেন তাদের সুযোগ দিচ্ছেন?

সর্বশেষ গত ১৮ আগষ্ট চট্টগ্রাম নগরীর জেএমসেন হলে জন্মাষ্টমী উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ বেহেশতে আছে’,  মন্তব্যের আলোচনা থামেনি এখনও।

এবার নতুন এবং আরও স্পর্শকাতর বক্তব্য এসেছে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেনের কাছ থেকে। তিনি বলেছেন, ‘ভারতকে বলেছি শেখ হাসিনা সরকারকে টিকিয়ে রাখতে। শেখ হাসিনা আমাদের আদর্শ। তাকে টিকিয়ে রাখতে পারলে আমাদের দেশ উন্নয়নের দিকে এগিয়ে যাবে এবং আমাদের দেশ সত্যিকারের সাম্প্রদায়িকতামুক্ত, অসাম্প্রদায়িক একটা দেশ হবে। সেজন্য শেখ হাসিনাকে টিকিয়ে রাখার জন্য যা যা করার, আমি ভারত সরকারকে সেটা করার অনুরোধ করেছি।’

আরো অনেক মন্তব্য রয়েছে তাঁর। অনেক মন্ত্রী রথী-মহারথীদেরও অনেক বেফাঁস মন্তব্য এর আগে আমরা শুনেছি। সবচে অবাক করার বিষয় হলো- কেউ বিপদে পড়লে দল তার দায় নিতে চায় না। ভাবখানা এমন যে উনি আমাদের দলের বা মতাদর্শের আপন কেউ নন। কাক কোকিলের সম্পর্ক  এসে যায় কারো বিপদের সময়ে। কোকিলের ছাও, যাও যাও বলে দূর দূর করে এড়িয়ে চলে, তাড়িয়ে দেয়। যেমনটি লক্ষ্য করা যাচ্ছে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেনের বেলায়। কেউ বলেছেন, আমরা তাঁকে এসব বলার জন্য বিদেশে প্রতিনিধি করতে পাঠাইনি। ‘এটা তাঁর ব্যক্তিগত মন্তব্য’ বলে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আত্মরক্ষার জন্য প্রতিরক্ষণ কৌশল অবলম্বন করেছেন।

আরো অবাক করা মন্তব্য হলো- ‘পররাষ্ট্রমন্ত্রী আওয়ামী লীগের কেউ নন। সুতরাং তার বক্তব্যে দলের বিব্রত হওয়ার প্রশ্নই ওঠে না’- বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রহমান। (দৈনিক প্রথম আলো ২০.৮.২০২২)।

তাঁর ‘সহজ কথা অনেক পত্রিকা ভালভাবে মেনে নিতে পারেনি। তারা তিলকে তাল করেছেন’ বলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী অভিযোগও করেছেন। তবে তিনি বেশীরভাগ সময় সবকিছুকে হাল্কাভাবে গ্রহণ করেছেন। হেঁসে উড়িয়ে দিয়েছেন। ‘শেখ হাসিনাকে টিকিয়ে রাখার জন্য যা যা করার, আমি ভারত সরকারকে সেটা করার অনুরোধ করেছি।’-এই উক্তির জন্য দেশের সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে আঘাতর জন্য বিভিন্ন মহল থেকে এবং পরবর্তীতে হাইকোর্টের রিটের মাধ্যেমে ৪৮ ঘন্টার মধ্যে তাঁর পদত্যাগের দাবী উঠলে তিনি বলছেন, ‘আমি এটা বলিনি, এসব ডাঁহা মিথ্যা কথা’।নানা সমালোচনার মধ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সাম্প্রতিক দিল্লী সফরের সময় অসুস্থতার জন্য সঙ্গী হতে পারেননি।সেটা নিয়েও অনেকের নিকট বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন।যাক্ সেসব কথা।

জনগণের উপর আস্থা ও বিশ্বাস নেই বলে। দেশব্যাপী শুধু রাজনৈতিক কাঠামো গড়লেই ভোটার পাওয়া যায় না। কারণ, মধুলোভীরা পদলোভী। আজকাল নির্বাচন করতে ভোটারের প্রয়োজনীয়তা তেমন নেই। ভোটার আলাদা জিনিস। শুধু ক্যামেরায় এক মিনিট ছবি তুলে প্রচারের জন্য কিছু মানুষকে ভোট কেন্দ্রে লাইনে দাঁড়িয়ে রাখার জন্য একটু আগাম পরিকল্পনা করলেই চলে। বাকীটা গোপনে করা হয়। আসল ভোটাররা সেসব কথা জানতে চেষ্টা করেও পারে না।

এছাড়া বিতর্কিত ইভিএম দিয়ে ভোট করা তাদের প্রাণের দাবী। মনে হয় এটা ছাড়া অন্য কিছু দিয়ে সুবিধা করার ভাল উপায় নেই। এজন্য নির্বাচন কমিশনার এটা নিয়ে আস্থা সংকটে আছেন এবং বড় বিপাকে পড়ে গেছেন।

করোনাকালীন সময়ে এবং বর্তমান যুদ্ধের বাজারেও বৈশ্বিক নানা সূচকে বাংলাদেশের নানা অগ্রগতি সাধিত হয়েছে। কিন্তু এই ‘অগ্রগতির বিপরীতে আত্মমর্যাদার এই অধোগতি আমরা মেনে নিতে পারছি না। টিকিয়ে রাখতে প্রতিবেশী দেশের হস্তক্ষেপের আবদারের বিষয়ে তাই সরকারের সুস্পষ্ট বক্তব্য আশা করি। এটা আত্মমর্যাদার প্রশ্ন, ছোটখাটো কোন বিষয় নয়’- বলে ইতোমধ্যে অনেক বিশ্লেষক মন্তব্য করেছেন।

অনেকে সোজাসাপ্টা কথা বলে জনপ্রিয় হন। যেমনটি হয়েছিলেন সিলেটের একজন প্রয়াত অর্থমন্ত্রী। তবে এজন্য কেউ নিজেকে বাঁচিয়ে চলার চেষ্টা করলেও অন্যরা তার পা টেনে ধরে। তাকে তুলোধূনো করতে পিছ্পা হয় না।

সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য ভারতের উপর নির্ভরশীল। এজন্য নিজের স্বার্থ উপেক্ষা করে নানা বিনিময়মূল্য দিয়ে ভারতকে খুশী রাখা হয়। এর মাঝে আবারো ক্ষমতায় আসার আব্দার জানিয়ে এসেছেন পররাষ্টমন্ত্রী। এটা যে সার্বভৌম বাংলাদেশের মানুষের জন্য চরম অবমাননাকর এবং ভোটাধিকারের প্রতি অবজ্ঞাসূচক তা আওয়ামী লীগ নতজানু পররাষ্ট্রনীতির মাধ্যমে অনেক আগেই দেশের মানুষকে জানিয়ে দিয়েছে। তাই তারা আগামী নির্বাচন নিয়ে চরম শঙ্কার মধ্যে রয়েছেন। সেই শঙ্কা থেকে তারা নানা কথা বলছেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যে সকলের সেই নানা কথা তার মুখে উচ্চারিত দু’টি বাক্যে চারদিকে রাষ্ট্র হয়ে যাওয়াটা বোকামী নয়, বরং চরম ধৃষ্টতা। এটা দেশের সার্বভৌমত্ব বিক্রি করে দেয়ার স্বীকৃতি। বার বার নানা বেফাঁস কথা বলার জন্য তারঁ স্বপদে থাকার আর কোন কোন অধিকার নেই, দরকারও নেই। গোটা জাতিকে আঘাত দিয়ে এই চরম মানহানিকর মন্তব্যের জন্য তিনি তাঁর দল ও দেশের মানুষের কাছে একাই তুলোধুনো হবেন- এবং তারপরও অনেক কিছু ঘটতে পারে তাতে আশ্চর্য্যের কিছু নেই। কারণ, কারো সুসময়ে দুধের মাছিরা কাছে থাকলেও অসময়ে হায় হায় কেউ কারো নয়- বলে একটা প্রবাদ কি আর সাধে প্রচলিত  রয়েছে?

*লেখক রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকর্ম বিভাগের প্রফেসর ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের সাবেক ডীন।  E-mail: fakrul@ru.ac.bd

এ সম্পর্কিত আরও খবর