ডিমেনশিয়া সম্পর্কে পারিবারিক ও সামাজিক সচেতনতা বাড়াতে হবে

, যুক্তিতর্ক

ড. মতিউর রহমান | 2023-09-01 05:25:19

ডিমেনশিয়া কোনো মানসিক রোগ নয়। এটি মস্তিষ্কের একটি রোগ। ডিমেনশিয়া হল এমন একটি সিনড্রোম যেখানে স্মৃতিশক্তি, চিন্তাভাবনা, আচরণ এবং দৈনন্দিন কাজকর্ম করার ক্ষমতার অবনতি ঘটে। কিন্তু পর্যাপ্ত জ্ঞানের অভাবে এ রোগ নিয়ে মানুষের মধ্যে রয়েছে নানা কুসংস্কার ও ভ্রান্ত ধারণা। এগুলো দূর করতে সরকারি ও বেসরকারিভাবে যথাযথ উদ্যোগ দরকার।

বিশেষজ্ঞদের মতে, নারী-পুরুষ নির্বিশেষে বয়স্ক ব্যক্তিরাই সাধারণত ডিমেনশিয়ায় আক্রান্ত হন। তবে এটি বার্ধক্যের একটি স্বাভাবিক অংশ নয়। বয়স একটি উল্লেখযোগ্য ঝুঁকির কারণ হলেও, নির্দিষ্ট জেনেটিক বা বংশগত কারণে অল্প বয়স্ক ব্যক্তিদের মধ্যেও ডিমেনশিয়া হতে পারে।

যদিও বেশিরভাগ ধরনের ডিমেনশিয়ার জন্য বর্তমানে তেমন কার্যকর কোন প্রতিকার নেই, সেখানে লক্ষণগুলি বুঝতে, রোগের অগ্রগতি ধীর করতে এবং ডিমেনশিয়া আক্রান্ত ব্যক্তিদের জীবনযাত্রার মান বজায় রাখতে যত্ন নেয়া এবং চিকিৎসার সুযোগ-সুবিধা উপলব্ধি করতে হবে। এর মধ্যে ওষুধ, জ্ঞানীয় উদ্দীপনা, জীবনযাত্রার পরিবর্তন, এবং ব্যক্তি এবং তাদের পরিবারের নির্দিষ্ট চাহিদা পূরণের জন্য সহায়তা পরিষেবা অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে।

বাংলাদেশে ডিমেনশিয়ার পরিস্থিতি বিভিন্ন কারণে একটি ক্রমবর্ধমান উদ্বেগ। বাংলাদেশে ডিমেনশিয়ার প্রাদুর্ভাব সঠিকভাবে নথিভুক্ত নয়, তবে গবেষণায় দেখা গেছে যে ডিমেনশিয়া আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। জনসংখ্যার বার্ধক্য, স্বাস্থ্যসেবার উন্নতি এবং গড় আয়ু বৃদ্ধি ডিমেনশিয়া রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধিতে অবদান রাখে।

বাংলাদেশে সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী, ৬০ বছর বা তার বেশি বয়সী ব্যক্তিদের প্রবীণ নাগরিক হিসেবে গণ্য করা হয় এবং সংখ্যাটি মোট জনসংখ্যার ৯.২৮% (২.৫ কোটির বেশি)।৬৫ বছরের বেশি বয়সী মানুষের সংখ্যা মোট জনসংখ্যার ৫.৮৮ শতাংশ।

জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২-এর প্রাথমিক প্রতিবেদন অনুসারে বর্তমানে দেশে ৬৫ বছর বা তার বেশি বয়সী ১.৫৩ কোটি মানুষ রয়েছে। দেশে বয়স্ক জনগোষ্ঠীর সংখ্যাজনসংখ্যা বৃদ্ধির হারের চেয়ে দ্রুত বাড়ছে। ২০১১ সালে বয়স্ক মানুষের সংখ্যা ছিল ১.০২ কোটি।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, গত ১১ বছরে বয়স্ক মানুষের সংখ্যা ৫০.০১% বৃদ্ধি পেয়েছে, যেখানে জনসংখ্যার আকার মাত্র ১৪.৬৬% বৃদ্ধি পেয়েছে। অর্থাৎ জনসংখ্যা বৃদ্ধির তুলনায় বয়স্ক মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধির হার ৩.৪১ গুণ বেশি।

সমাজে বয়স্ক মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে তাদের স্বাস্থ্য সুবিধা ও পুষ্টি চাহিদা মেটাতে স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দের চাহিদাও বাড়ছে। কিন্তু স্বাস্থ্য খাতে সরকারি বরাদ্দ বর্তমানে মোট জিডিপির মাত্র ১ শতাংশেরও কম।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ২০৩৫ সাল থেকে বাংলাদেশে জনসংখ্যাগত লভ্যাংশ (ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ট) সঙ্কুচিত হতে শুরু করবে এবং বাংলাদেশ ২০৪৭ সালে একটি "বয়স্ক জনগোষ্ঠীর" দেশ হিসাবে স্থানান্তরিত হতে শুরু করবে। আর এই বিপুল বয়স্ক জনগোষ্ঠীর মধ্যে ডিমেনশিয়াসহ মস্তিষ্কের অন্যান্য রোগ যে বৃদ্ধি পাবে, তা বলাই বাহুল্য।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মতে, বিশ্বব্যাপী প্রায় ৫০ মিলিয়ন মানুষের ডিমেনশিয়া রয়েছে এবং তাদের মধ্যে ৬০ শতাংশ নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলিতে বাস করছে। উল্লেখ্য, বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশীয় জনগোষ্ঠীর মধ্যে ডিমেনশিয়া সম্পর্কে খুব কম তথ্য রয়েছে।

একটি জাতীয় সমীক্ষা বলছে, বাংলাদেশে ৬০ বছর বা তার বেশি বয়সী প্রতি ১২ জনের একজনের ডিমেনশিয়া রয়েছে। সমীক্ষায় অনুমান করা হয়েছে যে ২০২৫ সালে সংখ্যাটি ১.৩৭ মিলিয়নে এবং ২০৪১ সালে তা দ্বিগুণ হতে পারে যা কার্যকরভাবে মোকাবিলা না করলে আরও বাড়তে পারে।

বিবিসি’র ২০১৯ সালের এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, বাংলাদেশে ২০১৫ সালে ডিমেনশিয়ায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ছিলো পাঁচ লাখ যা আগামী ২০৩০ সালে বেড়ে নয় লাখ হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

আলঝেইমার সোসাইটি অব বাংলাদেশ’র হিসেবে, ২০৫০ সাল নাগাদ এ রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ২২ লাখ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, দিন দিন রোগের প্রকোপ বেড়েই চলেছে। সে হিসেবে প্রতিকারের ব্যবস্থা খুবই কম।

বাংলাদেশে ষাট বছরের বেশি বয়সের মানুষ এ রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। আবার কিছু ক্ষেত্রে ৪০ থেকে ৫০বছর বয়সের মধ্যেও অনেককে আক্রান্ত হতে দেখা যাচ্ছে। বাংলাদেশে নিম্নবিত্তের পাশাপাশি উচ্চবিত্তের মানুষেরাও রোগটিতে আক্রান্ত হচ্ছেন।

বাংলাদেশে বিশেষ করে যারা দারিদ্রসীমার নীচে আছেন তাদের এ রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি।উচ্চবিত্ত অনেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন কিন্তু মূলত রোগটির ক্ষেত্রে বেশি দরকার সচেতনতা।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই রোগ সম্পর্কে মানুষের মধ্যে সচেতনতা এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের এই রোগ, এর লক্ষণ এবং সঠিক পরিচর্যা সম্পর্কে সাধারণ মানুষের জ্ঞান খুবই সীমিত। এ কারণে আক্রান্ত ব্যক্তিরা সামাজিক কুসংস্কার, অযত্ন, অবহেলার শিকার হন। অপরপক্ষে, যে পরিবারে এই রোগে আক্রান্ত কোনো রোগী রয়েছেন তাদেরকেও মানসিক, সামাজিক ও আর্থিক দিক দিয়ে যন্ত্রণাময় দিন পার করতে হয়।

ডিমেনশিয়ার জন্য দীর্ঘমেয়াদী যত্ন এবং সহায়তা প্রয়োজন যা পরিবারের সদস্য বা পরিচর্যাকারীদেরওপর একটি উল্লেখযোগ্য বোঝা চাপিয়ে দেয়। বাংলাদেশে, যেখানে পারিবারিক বন্ধন শক্তিশালী এবং যত্ন নেওয়ার দায়িত্বগুলি প্রাথমিকভাবে পরিবারের সদস্যদের কাঁধে থাকে সেখানে যত্ন নেওয়ারদায়িত্ব তাদের পারিবারিক জীবন, কর্মসংস্থান এবং সামগ্রিক সুস্থতার উপর প্রভাব ফেলতে পারে।

যারা ডিমেনশিয়া আক্রান্ত রোগীর যত্ন নেন তারা শারীরিক, মানসিক এবং আর্থিক চাপ অনুভব করতে পারেন যা তাদের সামাজিক কার্যকলাপে অংশগ্রহণ করার ক্ষমতাকে প্রভাবিত করতে পারে।

ডিমেনশিয়া পারিবারিক গতিশীলতা এবং সম্পর্ককে ব্যাহত করতে পারে। জ্ঞানীয় কার্যকারিতা হ্রাস পাওয়ার সাথে সাথে, ডিমেনশিয়া আক্রান্ত ব্যক্তিরা আচরণ, ব্যক্তিত্ব এবং যোগাযোগ ক্ষমতার পরিবর্তন অনুভব করতে পারে। এটি স্বামী-স্ত্রী, সন্তান এবং বর্ধিত পরিবারের সদস্যদের সাথে সম্পর্কের টানাপোড়েন ঘটাতে পারে যার ফলে পরিবারের মধ্যে উত্তেজনা এবং দ্বন্দ্ব সৃষ্টি করতে পারে।

বাংলাদেশসহ অনেক সমাজে ডিমেনশিয়া আক্রান্ত রোগীকে ভুল বোঝা এবং একটি কলঙ্কজনক বিষয় হিসাবে দেখা হয়। এই ভুল ধারণার কারণে ডিমেনশিয়া আক্রান্ত ব্যক্তিরা বৈষম্য, সামাজিক বর্জন এবং অন্যদের থেকে নেতিবাচক মনোভাবের সম্মুখীন হতে পারেন। ডিমেনশিয়া আক্রান্ত ব্যক্তি এবং তাদের পরিবার সামাজিক কার্যকলাপ এবং সম্পর্ক থেকে সরে যেতে পারে। এটি তাদের ও তাদের পরিবারকে সামাজিক বিচ্ছিন্নতার দিকে নিয়ে যেতে পারে।

ডিমেনশিয়ার যত্ন ব্যয়বহুল হতে পারে যার মধ্যে রয়েছে ঔষধ সংক্রান্ত খরচ, চিকিৎসা পরামর্শ, বিশেষ যত্নের ব্যয় এবং সহায়তা পরিষেবা। বাংলাদেশেযেখানে মানসম্পন্ন স্বাস্থ্যসেবায় প্রবেশাধিকার অনেকের জন্য এখনও একটি চ্যালেঞ্জ, ডিমেনশিয়া চিকিৎসার আর্থিক বোঝা অনেক পরিবারের জন্য অর্থনৈতিক সংস্থান হ্রাস করতে পারে।

ডিমেনশিয়া আক্রান্ত ব্যক্তি এবং তাদের পরিবারকে সহায়তা প্রদানে সমাজের মানুষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।কিন্তু ডিমেনশিয়া সম্পর্কে সচেতনতা এবং জ্ঞানের অভাব কমিউনিটি সাপোর্ট সিস্টেমকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে। ডিমেনশিয়া-নির্দিষ্ট পরিষেবা এবং সহায়তা গোষ্ঠীসহ সীমিত সংস্থান, পরিবারের জন্য প্রয়োজনীয় সহায়তা এবং সামাজিক নেটওয়ার্কগুলিতে প্রবেশ কঠিন করে তুলতে পারে।

বাংলাদেশে ডিমেনশিয়ার সামাজিক প্রভাব মোকাবিলার জন্য বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারদের সম্পৃক্ত একটি ব্যাপক পদ্ধতির প্রয়োজন। ভুল ধারণা দূর করতে, কলঙ্ক কমাতে এবং বোঝাপড়া বাড়ানোর জন্য ডিমেনশিয়া সম্পর্কে জনসচেতনতামূলক প্রচারণা আরো জোরদার করা প্রয়োজন। এজন্য সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগ জরুরি।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ডিমেনশিয়া নিয়ে সরকারিভাবে এখনও তেমন কোনো উদ্যোগ নেই। রোগটির তেমন চিকিৎসা নেই। কাজেই চিকিৎসকেরাও এই রোগে আক্রান্ত কারো চিকিৎসা করাতে উৎসাহ দেখান না। কারণ, এতে তার প্রফেশনাল সুনাম নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়। কিন্তু এটি শুধু চিকিৎসার বিষয় নয়, রোগটি নিয়ে সচেতনতা তৈরি হওয়া গুরুত্বপূর্ণ। এটি হলে রোগটিকে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে।

ডিমেনশিয়া মোকাবিলায় সরকারি উদ্যোগ চোখে না পড়লেও বেসরকারি উদ্যোগে গুটি কয়েক দেশীয় ও আন্তর্জাতিক সংস্থা কিছু কাজ করছে। এদের মধ্যে অ্যালঝেইমার সোসাইটি অব বাংলাদেশ অন্যতম। ডিমেনশিয়া সম্পর্কে সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে তারা প্রায়ই বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে থাকে যা ডিমেনশিয়া সম্পর্কে ভ্রান্ত ধারণা দূর করতে ও এই রোগে আক্রান্ত রোগী ও তার পরিবারকে উৎসাহ দিয়ে থাকে। অ্যালঝেইমার সোসাইটি অব বাংলাদেশ এর ওয়েবসাইটে তাদের কার্যাবলী সম্পর্কে বিস্তারিত উল্লেখ করা হয়েছে।

আলঝেইমার সোসাইটি অব বাংলাদেশ ২০০৭ সাল থেকে ডিমেনশিয়া রোগ সম্পর্কে সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি ও ডিমেনশিয়া আক্রান্ত ব্যক্তি, তাদের পরিচর্যাকারী ও তাদের পরিবারগুলোর জীবনমান উন্নয়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছে।

আমাদের দেশে ডিমেনশিয়া আক্রান্ত ব্যক্তিদের পরিচর্যা করার জন্য দক্ষ ও প্রশিক্ষিত কেয়ারগিভার না থাকার কারণে ডিমেনশিয়া আক্রান্ত ব্যক্তিদের পরিবারগুলো প্রতিনিয়ত বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। এজন্য ডিমেনশিয়া কেয়ারগিভার প্রশিক্ষণের গুরুত্ব অপরিসীম।

বিশেষজ্ঞদের মতে, বাংলাদেশে ডিমেনশিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে যা সামাজিক ও অর্থনৈতিক জীবনে ব্যাপক প্রভাব ফেলছে। বাংলাদেশের জনসংখ্যা কাঠামোয় বাধর্ক্যপ্রাপ্ত জনগোষ্ঠীর সংখ্যাও বৃদ্ধি পাচ্ছে। সুতরাং, ভবিষ্যতে এটি একটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্বাস্থ্য, সামাজিক ও অর্থনৈতিক সংকট হতে পারে। তাই ডিমেনশিয়া মোকাবিলায়এখনই সরকারিভাবে জাতীয় নীতি এবং সেবা ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা প্রয়োজন। এজন্য বিশেষজ্ঞদের সহায়তায় সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় উদ্যোগ নিতে পারে।

তাদের মতে, হাসপাতালগুলোতে ডিমেনশিয়া কর্নার তৈরি করা এবং ডাক্তার ও নার্সদের তাদের করণীয় সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা থাকা উচিত। পারিবারিক ও সামাজিকভাবে সচেতনতা তৈরি হলে ডিমেনশিয়া আক্রান্ত রোগীরা জীবনের শেষ পর্যায়ে এসে করুণ পরিণতি থেকে কিছুটা হলেও স্বস্তি পাবেন।

দেশের জনগোষ্ঠীর একটি অংশ ডিমেনশিয়া নামক মস্তিষ্কের রোগে আক্রান্ত। ডিমেনশিয়া সচেতনতা এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। ডিমেনশিয়া বয়োবৃদ্ধির স্বাভাবিক কোন অংশ নয়, এটি মস্তিষ্কের রোগ। ডিমেনশিয়া রোগ সম্পর্কে আমাদের জ্ঞান অত্যন্ত সীমিত থাকায় এ রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের লক্ষণগুলো ও সঠিক পরিচর্যা সম্পর্কে আমরা জ্ঞাত নই। ডিমেনশিয়া পুরোপুরি ভালো করার কোন কার্যকর ওষুধ নেই, তবে আমাদের যত্ন ও প্রতিরোধের দিকে নজর দিতে হবে। যাতে দেশের ডিমেনশিয়া আক্রান্ত ব্যক্তিরা মর্যাদাপূর্ণভাবে জীবনযাপন করতে পারেন।

ড. মতিউর রহমান: গবেষক ও উন্নয়নকর্মী।

এ সম্পর্কিত আরও খবর