কে হচ্ছেন ভারতের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী?

, যুক্তিতর্ক

মেজর জেনারেল এ কে মোহাম্মাদ আলী শিকদার (অব.) | 2023-09-01 20:16:13

ভারতের নির্বাচনী যুদ্ধ শুরু হয়েছে গত ১১ এপ্রিল প্রথম দফা ভোট গ্রহণের মধ্য দিয়ে। এটি ভারতের ১৭তম লোকসভা নির্বাচন। আপাত দৃষ্টিতে এই নির্বাচনী লড়াইটা ত্রিমুখী মনে হচ্ছে। যদিও এখনো মনে হচ্ছে মূলত সিটিং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও রাহুল গান্ধীর মধ্যেই প্রধানমন্ত্রীর লড়াই হচ্ছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত হিসেব এমন নাও থাকতে পারে। কী হবে সেটা দেখার জন্য ফল প্রকাশের দিন ২৩ মে পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।

মোদি ও রাহুলের কথা সামনে থাকলেও ফল প্রকাশের পর যদি দেখা যায় বিজেপি দল হিসেবে এককভাবে ম্যাজিক সংখ্যা ২৭২ আসন পায়নি তখন তৃতীয়পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীর দাবি উত্থাপিত হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। তখন মোদির এনডিএ জোটের ভেতর থেকে বিহারের নাভিল পাটনায়েক, ওডিশার জগমোহন রেড্ডি এবং তেলেঙ্গানা ও অন্ধ্র প্রদেশ থেকে অন্য মিত্র দলগুলোও মোদিকে প্রধানমন্ত্রী চাইবে না এমন একটা আওয়াজ ইতিমধ্যেই উঠেছে।

সমীকরণের অন্যদিকে দিদি মমতা ব্যানর্জি এবং দলিত রানী মায়াবতি জোটবদ্ধ হতে পারেন যাতে রাহুল গান্ধী প্রধানমন্ত্রী হতে না পারেন। তাতে মোদি-রাহুলের বাইরে অন্য কেউ প্রধানমন্ত্রী হলে আশ্চর্য হওয়ার কিছু থাকবে না।

এ নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে পাঁচ শতাধিক রাজনৈতিক দলের প্রায় ১১ হাজার প্রার্থী। আছে ১০ লাখ ভোট কেন্দ্র এবং ২৩ লাখ ৩০ হাজার বুথ। নির্বাচন পরিচালনার জন্য নিয়োজিত আছে প্রায় এক কোটি দশ লাখ কর্মী ও কর্মকর্তা। এত বড় বিশাল কর্মযজ্ঞ কেমনভাবে সম্পন্ন হয় সেটিও দেখার একটি বিষয়। সে জন্য বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ভারতে আসছেন কয়েক হাজার পর্যবেক্ষক ও সাংবাদিক। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১৫ হাজার ফুট ওপরে হিমালয়েও ভোট কেন্দ্র খোলা হচ্ছে। একেই বলা হয় গণতন্ত্রের সৌন্দর্য। যত দূরে ও যত কঠিন জায়গাই হোক না কেন প্রতিটি নাগরিকের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে হবে।

এই বিশাল ভোটযজ্ঞের মধ্যদিয়ে কোন দল বা জোট জয়ী হয়ে দিল্লির মসনদে বসছে তার বহুমাত্রিক হিসাব-নিকাশ এখন তুঙ্গে। তবে একটা বিষয় স্পষ্টভাবে লক্ষ করা যাচ্ছে, হিসাব-কিতাব দল ও জোটকে কেন্দ্র করে করা হলেও বড় হয়ে সামনে আসছে এই নির্বাচনে জয়ী হয়ে উদীয়মান পরাশক্তি ভারতের নেতৃত্ব আগামী পাঁচ বছর কার হাতে থাকবে। সেখানে আঞ্চলিক নেতা-নেতৃদের মধ্যেও বাংলার মমতা ব্যানার্জি এবং উত্তর প্রদেশের দলিত রানী মায়াবতি দিল্লি যাওয়ার আকাঙ্ক্ষা এক-আধবার প্রকাশ করলেও সব জরিপকারী প্রতিষ্ঠানের দৃষ্টি আবর্তিত হচ্ছে সিটিং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও সর্ব ভারতীয় কংগ্রেসের সভাপতি রাহুল গান্ধীকে ঘিরে।

পাল্লার দুই দিকে দুইজনকে বসিয়ে ওজন করা হচ্ছে কার পাল্লা কতখানি ভারি। সবচেয়ে বড় ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়িয়েছে নেতৃত্বের কারিশমা। সব জরিপ বলছে এই জায়গায় নরেন্দ্র মোদি অনেক বেশি এগিয়ে আছেন। তবে ২০১৪ সালের মতো রাহুল গান্ধীকে কেউ আর অপরিপক্ব ভাবছেন না। রাহুলের রাজনৈতিক কৌশল, কথা-বার্তা ও বক্তৃতায় যথেষ্ট পরিপক্বতা এবং প্রজ্ঞাময়তার পরিচয় পাওয়া যাচ্ছে। ক্যারিশার ঘাটতি পূরণে মাঠে নেমেছেন শ্রীমতী ইন্দিরা গান্ধীর প্রতিচ্ছবি রাহুলের বোন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী।

১৩০ কোটি মানুষের দেশে ধর্ম, বর্ণ, জাতপাত ও প্রকৃতির বহুমাত্রিকতার বাস্তবতায় এত বড় নির্বাচনের ফলাফলের পূর্বাভাস করা অত্যন্ত কঠিন কাজ। এমন উদাহরণ রয়েছে যখন সব জরিপকারীদের পূর্বাভাস ভুল প্রমাণিত হয়েছে। ২০০৪ সালে ১৪তম লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে সব মানুষের ধারণা ও জরিপকারীদের অপ্রতিরোধ্য পূর্বাভাস ছিল শাইনিং ইন্ডিয়া স্লোগানকে অবলম্বন করে পুনরায় ক্ষমতায় আসছে বিজেপি এবং তার সিটিং প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারি বাজপেয়ি।

কিন্তু ফল প্রকাশের পর দেখা গেল সব পূর্বাভাস মুখ থুবড়ে পড়েছে। সেবার ক্ষমতায় এলো কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন ইউপিএ জোট এবং প্রধানমন্ত্রী হলেন মনমোহন সিংহ। তারা পরপর দুই মেয়াদে ক্ষমতায় থাকলেন। তবে একথাও ঠিক ব্যক্তিগত বিচার বিশ্লেষণের চাইতে জরিপকারী প্রতিষ্ঠানের মতামতকে সঙ্গত কারণেই প্রাধান্য দিতে হয়। তাই লেখার এ পর্যায়ে দু'একটি জরিপকারী প্রতিষ্ঠানের পূর্বাভাস উল্লেখ করতে চাই।

সেন্টার ফর ভোটার অপিনিয়ন অ্যান্ড ট্রেন্ডস ইন ইলেকশন রিসার্চ (সিভোটার) তাদের একটা জরিপের ফল প্রকাশ করছে। তাতে দেখা যায় বিজেপি এককভাবে ২২২টি এবং এনডিএ জোগতভাবে ২৬৭টি আসন পেতে পারে, যেটি সরকার গঠনের জন্য ম্যাজিক সংখ্যা ২৭২ আসনের চেয়ে কম। অর্থাৎ ২০১৪ সালের তুলনায় এককভাবে বিজেপির ৬০টি ও জোটগতভাবে ৬৯টি আসন কমে যেতে পারে। ওই একই জরিপের ফলে দেখা যায়, রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বাধীন কংগ্রেস জোট ইউপিএ জোটে না থাকলেও ঘোর মোদি বিরোধী পশ্চিম বঙ্গের মমতা ব্যানার্জি, উত্তর প্রদেশের দুই হেভিওয়েট অখিলেশ যাদবের সমাজবাদী পার্টি ও মায়াবতির বহুজন সমাজবাদী পার্টি এবং দিল্লির আম আদমি পার্টি মিলে পেতে পারে ১৩৪টি আসন।

মোদিবিরোধী এই আঞ্চলিক দলগুলো যদি নির্বাচনের পর কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন জোটের সঙ্গে সমঝোতায় আসতে পারে তাহলে চিত্র ভিন্ন হবে। তবে এই মিলনের পথে সবচেয়ে বড় বাধা হবে প্রধানমন্ত্রী কে হবেন সেই প্রশ্নের মীমাংসা। যেকোনো হিসেবেই মোদিবিরোধী পক্ষগুলোর মধ্যে এককভাবে সর্বোচ্চ আসন পাবে কংগ্রেস এবং সর্ব ভারতীয় দল হিসেবে কংগ্রেস প্রধান রাহুল গান্ধীই হবেন প্রধানমন্ত্রীর জন্য মুখ্য দাবিদার। কিন্তু মমতা ব্যানার্জি ও মায়াবতি- দুইজনই দিল্লির মসনদে বসার স্বপ্নের কথা প্রকাশ করে ফেলেছেন। রাহুল গান্ধীকে তারা এখনো কচি খোকা ভাবছেন। আবার একটু জরিপের কথায় ফিরে আসি।

টাইমস অব ইন্ডিয়ার টাইমস মেগাপোলের সমীক্ষা মতে, বিজেপি এককভাবে সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পেলেও এবার পুনরায় সরকার গঠন করতে পারে মোদির নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট। তবে বিজেপির আশায় জল ঢেলে দিয়েছে অন্য একটি জরিপ সংগঠন- অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্রেটিক রিফর্মস (এডিআর)। এই সংস্থার মতে শহুরে ভোটাররা বিজেপি থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন। ভোটারদের কাছে এই সংস্থাটি ২৪টি প্রশ্ন রাখে এবং তার উত্তরে শহুরে ভোটাররা ক্ষোভ ও হতাশা ব্যক্ত করেছে মোদি সরকারের বিরুদ্ধে। এই জরিপে উত্তর দাতাদের মতে স্বাস্থ্য, শিক্ষা, কর্মসংস্থান ও পরিষেবা- সব কিছুতেই পিছিয়ে বিজেপি।

দুই প্রধান দল কংগ্রেস ও বিজেপির নির্বাচনী মেনিফেস্টোর দিকে নজর দিলে দেখা যায় কংগ্রেসের মূল কথা সাধারণ মানুষের জীবন-জীবিকা কেন্দ্রিক, আর বিজেপির কেন্দ্রবিন্দুতে আছে কট্টর জাতীয়তাবাদ ও হিন্দুত্ববাদের কথা। বিজেপির এমন কট্টর সাম্প্রদায়িক ও জাতীয়তাবাদী মনোভাবে শঙ্কা প্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছেন লেখক, সাহিত্যিক ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনের কয়েকশ’ প্রথিতযশা ব্যক্তিবর্গ। বিবৃতিতে তারা বলেছেন, ভারতের মৌলিক আদর্শ অসাম্প্রদায়িক ও গণতান্ত্রিক সংবিধান রক্ষায় ভারতীয় ভোটাররা যেন মোদিকে প্রত্যাখ্যান করেন।

২০১৪ সালের নির্বাচনে বিজেপি এককভাবে ২৮২টি আসন পেয়ে সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় ২৭২টি ম্যাজিক সংখ্যা পেরিয়ে যায়। সেবার জোটগতভাবে এনডিএ পায় ৩৩৬টি আসন। তবে গত পাঁচ বছরে সরকারবিরোধী মনোভাব যেমন চাঙ্গা হয়েছে, তার সঙ্গে আঞ্চলিক রাজনীতির মেরুকরণে অনেক পরিবর্তন ঘটেছে- যার সবকিছুই মোদির প্রতিকূলে যাচ্ছে এই নির্বাচনে। প্রথমেই ধরা যাক, সরকার গঠনের অনুঘটক উত্তর প্রদেশের কথা, যেখানে রয়েছে ৮০টি আসন।

২০১৪ সালের নির্বাচনে বিজেপি এই রাজ্যে ৭২টি আসন পেয়ে সরকার গঠনের পথে বহু দূর এগিয়ে যায়। কিন্তু উত্তর প্রদেশে এবার অখিলেশ যাদবের সমাজবাদী পার্টি শক্ত জোটে আবদ্ধ হয়েছে। গত কয়েক বছরে এই রাজ্যে যতগুলো উপনির্বাচন হয়েছে তাতে এই দুই দলিত নেতার জোটের কাছে বিজেপি প্রার্থী শোচনীয়ভাবে পরাজিত হয়েছেন। অখিলেশ ও মায়াবতীর জোটে কংগ্রেসে নেই। যদি থাকত তাহলে উত্তর প্রদেশ থেকে বিজেপিকে দুয়েকটি আসন বাদে প্রায় শূন্য হাতে ফিরতে হতো। তারপরেও দুই দলিত নেতার জোট হওয়ায় এবার উত্তর প্রদেশে বিজেপির আসন গত নির্বাচনের থেকে দুই তৃতীয়াংশ কমে ২৪টি বা তারও নীচে নেমে আসতে পারে।

পশ্চিমবঙ্গের ৪২টি আসনের মধ্যে বিজেপি গত নির্বাচনে মাত্র ২টি আসন পায়।দিদির প্রতি বাংলার মানুষ কিছুটা ক্ষিপ্ত হলেও এবার টেনেটুনে ৬-৭টি আসনের বেশি বিজেপির ভাগ্যে জুটবে না বলে মনে করছেন কলকাতার সব বড় বিশ্লেষকরা। বিন্ধ্যাচল পর্বতমালা কর্তৃক উত্তর ভারত থেকে ভৌগোলিকভাবে বিভাজিত দক্ষিণ ভারতের কর্ণাটক, কেরালা, তামিলনাড়ু, অন্ধ্রপ্রদেশ ও তেলেঙ্গানা- এই পাঁচ রাজ্যের ১২৯টি আসনের মধ্যে তামিলনাড়ুর ৩৯টি আসনে বিজেপির মিত্র এআইএডিএমকে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলেও বাকি ৯০টি আসনের প্রায় সবগুলোই চলে যাবে মোদিবিরোধী আঞ্চলিক দলও কংগ্রেসের পক্ষে। অন্যদিকে বিহার (৪০), গুজরাট (২৬), হরিয়ানা (১০), ঝড়খণ্ড (১৪), মহারাষ্ট্র (৪৮), ওডিশা (২১), উত্তরখণ্ড (৫), হিমাচল (৪)- এই ৮টি হিন্দিবলয়ের রাজ্যে মোট ১৬৮টি আসনে বিজেপি ও তাদের স্থানীয় মিত্র দলগুলো অনেক ভাল করছে।

যদিও মহারাষ্ট্রের ৪৮টি আসনে কংগ্রেসের মিত্র প্রবীণ হেভিওয়েট নেতা শারদ পাওয়ারের ন্যাশনাল কংগ্রেস পার্টি এবার বড় ভাগ বসাবেন বলে অনেকে মনে করছেন। দিল্লির ৭টি আসন বাদে বাকি ছয় ইউনিয়ন টেরিটোরির ৬টি আসনই বিজেপির মিত্র পক্ষের কাছে থাকবে। সিকিমসহ ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে ২৫টি আসনের ওপর এবার বিশেষ নজর দিচ্ছে দুই পক্ষই। এখানে বিজেপির স্থানীয় মিত্র দলগুলো এগিয়ে থাকলেও কংগ্রেস একেবারে শূন্য হাতে ফিরবে, তেমনটি কেউ মনে করছে না।

উত্তর পূর্বাঞ্চলের ২৫টি আসনে বিজেপির অনুকূলে ধরলেও মধ্য ভারতের হিন্দিবলয় এবং অন্যান্য মিলে দেখা যাচ্ছে বিজেপি জোটের অনুকূলে রয়েছে ১৯৯টি আসন। বিপরীতে পশ্চিমবঙ্গ, উত্তর প্রদেশ ও অন্যান্য মোদিবিরোধীদের অনুকূলে রয়েছে ২১২টি আসন। এই সমীকরণের দুই দিকে যোগফল হয় ৪১১টি আসন। বাকি থাকে ১৩২টি আসন, যার মধ্যে ছত্রিশগড় (১১) ও মধ্য প্রদেশ (২৯)-৪০টি আসনের এই দুই রাজ্যে কিছু দিন আগেই রাজ্যের বিধানসভার নির্বাচনে বড় জয় পেয়েছে কংগ্রেস। তামিলনাড়ুর ৩৯টি আসনের মধ্যে বিজেপির মিত্র আঞ্চলিক দল এআইএডিএমকে এগিয়ে থাকবে। জম্মু ও কাশ্মীরের ৬টি আসনের কথা কেউ অনুমান করতে পারছেন না।

উপসংহারে এসে বলা যায়, আসন সংখ্যার বিশ্লেষণে মোদিবিরোধী পক্ষের পাল্লাই এখন পর্যন্ত ভারী বলে মনে হয়। তবে, বাহুবল, অর্থবল, কট্টর ক্যাডার বাহিনী, সাংগঠনিক শক্তির বিবেচনায় এবং নেতৃত্বের ক্যারিশমায় মোদি ও তার জোট এনডিএ এগিয়ে আছে।

বহুমাত্রিক দিক বিবেচনায় এত বড় নির্বাচনে সঠিক পূর্বাভাস দেওয়া ব্যক্তি পর্যায়ে তো নয়ই, কোনো সংস্থার পক্ষেও সেটা অনেক কঠিন কাজ। এ পর্যন্ত যতটুকু দেখা যাচ্ছে তাতে মনে হয় ২৩ মে ফল প্রকাশের পর ভারতবাসী একটি ঝুলন্ত পার্লামেন্ট পাবে। তখন সেটি আরও আগ্রহোদ্দিপক বিষয় হবে। শুরু হবে সরকার গঠনের দৌড়ঝাঁপ এবং দরকষাকষি। তাতে মমতা ব্যানার্জি, অখিলেশ যাদব, মায়াবতি এবং বিহার ও দক্ষিণ ভারতের আঞ্চলিক দলগুলো সরকার গঠনের বেলায় মুখ্য ভূমিকা পালন করবে। তাতে কার ভাগ্য খুলবে তা নিশ্চিত করে বলা যায় না। তবে এখনো মোদি এবং তারপর রাহুলের পাল্লাই ভারী।

মেজর জেনারেল এ কে মোহাম্মাদ আলী শিকদার (অব.): কলামিস্ট এবং ভূ-রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা বিশ্লেষক।

এ সম্পর্কিত আরও খবর