নজরুলের ইন্তেকালের দিনে

বিবিধ, যুক্তিতর্ক

মুস্তাফা জামান আব্বাসী | 2023-08-23 03:43:46

আজকাল ইন্তেকাল শব্দটাও আমরা ভুলে যেতে বসেছি আমাদের মিডিয়ার কল্যাণে। এখন বলা হচ্ছে মহাপ্রয়াণ। ইন্তেকাল হচ্ছে আবার ফিরে আসা।

নজরুল আবার ফিরে আসবেন। প্রতিদিন, যতদিন আমরা আছি, বাংলাদেশ আছে, বাংলাদেশের পতাকা আছে, বাংলা ভাষা আছে, অর্থাৎ কেয়ামত পর্যন্ত এর বিস্তার।

এই মুহূর্তে তাঁর তিরোধানে কী ভাবছি? নজরুলকে সম্মান দেইনি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দেয়নি। তার কাব্য পড়ানো হয় না। তাকে আধুনিক বলা হয় না। স্কুলে-কলেজে নজরুল অনুপস্থিত। জন্মদিন-মৃত্যুদিনের খবর নেই। তাঁর লিখিত এতগুলো বই সবার কাছে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা হয়নি। শুধু নামে মাত্র জাতীয় কবি বলা হচ্ছে।

তার গানের প্রচার কম হচ্ছে। এতগুলো টেলিভিশন, রেডিও, তাদের দায়িত্ব পালন করছে কি? আমার মনে হয়, আমাদের নতুন জেনারেশন নজরুলকে চেনার সুযোগ পাচ্ছে না।

কবি নজরুল, ছবি: সংগৃহীত

 

আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশাল চিত্রশালা করা হয়েছে নজরুল-আব্বাসউদ্দিনকে নিয়ে। তাদের বিশাল ১২০টি ছবি সংগ্রহ করা হয়েছে। সব আই ইউ বি-তে রক্ষিত। বাংলা একাডেমি, শিল্পকলা একাডেমি, নজরুল ইনস্টিটিউট, নজরুল একাডেমি, সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়, কোথাও এত ছবি এত সুন্দরভাবে রক্ষিত হয়নি। আমাদের নজরুল-আব্বাসউদ্দিন সেন্টার কাজটি করেছে সাত বছর আগে। এর বর্তমান মূল্য কোটি ছাড়িয়ে গেছে। এটা দেখতে আসা আপনাদের দায়িত্ব, বিশ্ববিদ্যালয়ের নয়।

 

কবি নজরুলের সঙ্গে লেখক (ডানে), বামে লেখকের বড় ভাই বিচারপতি মোস্তফা কামাল, ছবি: সংগৃহীত

 

নজরুল আমাদের জাতীয় সম্পদ। তার ১২৫ বছর পালিত হবে। তখন কী কর্মসূচি হবে, তা নিয়ে আলোচনা করা দরকার। ১. যে সব বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা পড়ানো হয়, সেখানে তার বইগুলো পাঠাবার ব্যবস্থা করা উচিত। ২. ইংরেজিতে তাকে নিয়ে যতটুকু লেখা হয়েছে, সবগুলো পৃথিবীর নাম করা বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠান উচিত। ৩. অন্ততপক্ষে ১০০টি বই এই উপলক্ষে ছাপানো উচিত বলে আমার অভিমত।

মুস্তাফা জামান আব্বাসী: সাহিত্য-সংগীত ব্যক্তিত্ব

এ সম্পর্কিত আরও খবর