ভ্রাতৃঘাতী সংবাদিকতায় আত্মঘাতি বাঙালির নোবেল প্রাপ্তি

, যুক্তিতর্ক

রাজীব নন্দী | 2023-09-01 09:30:51

১৪ অক্টোবর দুপুরে শ্রান্ত শরীর এলিয়ে দিয়েছিলাম বিছানায়। সন্ধ্যায় ঘুম ভাঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপে একে একে মেসেজের রিংটোনের শব্দে। ঘুম চোখে দেখি- ৫৬টি মেসেজ! কিছুটা অবাক হলাম। কারণ, বিকেল চারটায় যখন শুয়েছিলাম, তখনও ইনবক্সে ‘আনসিন’ মেসেজ ছিলো না। আড়াই ঘণ্টার ঘুমে আমার হোয়াটসঅ্যাপ ব্রহ্মাণ্ডে বিশ্বরূপ দেখালো কে বা কারা? আধোঘুম, আধোজাগরণে ভাবছি, এত মেসেজ কেন? দুই বাংলার দুয়েকটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে সক্রিয় আছি। মেসেজ চালাচালি হয় বন্ধু মহলে। কিন্তু দুই ঘণ্টায় এত অনলাইন হল্লা বা নোটিফিকেশন কখনোই পাইনি। এ রকম তো হয় না সাধারণত। ভীষণ অবাক হলাম। মোর ঘুমঘোরে কে এলো মনোহর?

চোখ কচলাতেই দু‘টি বিষয়ে ধাক্কা খেলাম। অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার ঘোষিত হয়েছে। তারই জের ধরে আমার মেসেজবক্স ঠেসে আছে বাঙালি অধ্যাপক অভিজিৎ বন্দোপাধ্যায়ের নোবেল প্রাপ্তির উষ্ণতায়, শুভেচ্ছা বার্তায়। হ্যাঁ, অমর্ত্য সেনের পর ফের ইতিহাস রচনা বাঙালির।

২০১৯-এর অর্থনীতিতে নোবেল পাচ্ছেন বাঙালি অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়। স্ত্রী এস্থার ডাফলোর সঙ্গে অর্থনীতির সর্বোচ্চ সম্মান পাচ্ছেন অভিজৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়। কলকাতার তরুণ, প্রেসিডেন্সি আর জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ের এই প্রাক্তনী হাভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় চুকিয়ে আজ নতুনভাবে বিশ্ব দরবারে বাঙালির ঊর্ধ্বগামী গৌরবশিখা অক্ষুণ্ণ রাখলো!

অর্থনীতিতে বাঙালির সুনাম সেই পুরোনো। অমর্ত্য সেন, অভিজিৎ বন্দোপাধ্যায়, সুখময় চক্রবর্তী, প্রণব বর্ধন, কৌশিক বসু, পার্থ সারথী দাশগুপ্ত, অমিয় দাশগুপ্ত, ভবতোষ দত্ত এরকম বহু গুনী বাঙালি অর্থনীতিবিদের নাম এই পরিসরে শেষ করা যাবে না। আজ অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সফলতার খবর নিয়ে খবর পরিবেশন নিয়ে লিখছি। যার হাত ধরেই নোবেল পুরস্কারের সঙ্গে ষষ্ঠবারের জন্য জুড়ে গিয়েছে কলকাতার নাম। সংবাদ মাধ্যমে এই খবর প্রচার হওয়ার পর থেকেই উৎসবের মেজাজে রয়েছে ভারতের বাঙালি।

অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায় ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির অর্থনীতিবিদ। দুনিয়াব্যাপী দারিদ্র দূর করার জন্য পরীক্ষামূলক পথের স্বীকৃতি হিসেবেই এল পুরস্কার। তাঁর সঙ্গে পুরস্কার ভাগ করে নিলেন তাঁর স্ত্রী, সহগবেষক এবং একদা ছাত্রী এস্থার দুফলো, এবং হার্ভার্ডের অর্থনীতিবিদ মাইকেল ক্রেমার।

অধ্যাপক অভিজিৎ বন্দোপাধ্যায়ের নোবেল প্রাপ্তিকে আমি বাঙালির বৈশ্বিক হয়ে উঠার প্রচেষ্টা হিসেবে দেখি। পশ্চিমদুর্গে গিয়ে বাঙালি তার নিজের আত্মপরিচয়ে, মেধায়, প্রজ্ঞায় ক্রমে ক্রমে বৈশ্বিক হয়ে ওঠা হিসেবেই দেখি।

কিন্তু, অভিজিতের এই খবরটুকু বাংলাদেশের মূলধারার প্রায় সবকটি খবরের কাগজে হয়তো উপেক্ষিত নয়তো আন্ডারট্রিটমেন্ট পলিসিতে উপস্থাপিত। একজন বাঙালি অর্থনীতিবিদ এবং অধ্যাপকের নোবেল বিজয়ের খবর বেশ কয়েকটি জাতীয় দৈনিকের শেষ পাতায় সাদামাটাভাবে প্রকাশিত হয়েছে। সবচেয়ে দৃষ্টিদূষণ লেগেছে যে, প্রায় সবক’টি পত্রিকায়ই শিরোনামে অভিজিৎ বন্দোপাধ্যায়ের নাম উচ্চারণ করেনি! খবরটি প্রথম পাতায় তেমন উল্লেখযোগ্য কাভারেজ পায়নি কোনো পত্রিকাতেই। এমনকি যোগ্যতম একজন ব্যক্তি যিনি নোবেল লরিয়েট, তাঁকে স্বামীর পরিচয়ের পরিচিতি দেয়ার মতো বালখিল্যতাও দেখিয়েছে কেউ কেউ।

সংবাদপত্রের প্রথম পৃষ্ঠা একটি সংবাদপত্রের প্রাণ। সকল পাঠক প্রথমেই নজর দেয় পত্রিকার প্রথম পাতায়। সারা দুনিয়াজুড়ে খবরের কাগজের প্রথম পাতার কদর বেশি, কেননা দিনের খবরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও আকর্ষণীয় সংবাদগুলো প্রথম পৃষ্ঠায় থাকে। তাই সংবাদ জগতের প্রবেশদ্বারই হল পত্রিকার প্রথম পৃষ্ঠা। সেই প্রথম পৃষ্ঠা তৈরিতে সংবাদ কর্তৃপক্ষকে দিতে হয় বাড়তি মনোযোগ। সংবাদপত্রকে ‘ব্যাড নিউজ ইজ গুড নিউজ’ হিসেবে ভাবা নিউজ ম্যানেজমেন্টকে ভাবতে হবে, একজন কৃতি বাঙালিকে সম্মান দেয়াটা একটি সংবাদপত্রের অন্যতম কাজ। কাউকে ছোট করে কেউ কি দুনিয়াতে বড় হতে পেরেছে?

 

গতকাল মধ্যরাত থেকে এই ভোর পর্যন্ত বসে আছি দুই বাংলায় আজকের সংবাদপত্রের বাহারি প্রথমপৃষ্ঠাগুলো দেখবো বলে। কিন্তু একজন কৃতিমান বাঙালি ও তাঁর সহযোদ্ধার নোবেলপ্রাপ্তির সংবাদের উপস্থাপনে বাংলাদেশের সংবাদপত্রগুলো আমাকে হতাশ করেছে।

বাংলাদেশের অন্যতম দুটি জনপ্রিয় পত্রিকা প্রথম আলো ও কালের কণ্ঠ তাদের প্রথম পৃষ্ঠাতেই খবরটি ছাপায়নি। শেষ পৃষ্ঠায় অনাকর্ষণীয় ও দিনের অন্যান্য কম গুরুত্বপূর্ণ খবরের মতো দুটি শিরোনাম দেখা যাচ্ছে এই দু’টি পত্রিকায়। যথারীতি- ‘চতুর্থ বাঙালির নোবেল লাভ’ (এক কলাম, প্রথম আলো) এবং ‘আরেক বাঙালির নোবেল জয়’ (দুই কলাম, কালের কণ্ঠ)। সমকাল লোয়ার ফোল্ডে চার কলাম গুরুত্ব দিয়ে জায়গা ছেড়ে দিলেও সাদামাটা শিরোনাম করেছে ‘আরেক বাঙালির নোবেল জয়’। ইংরেজি দৈনিক দি ডেইলি সান প্রথম পৃষ্ঠায় তিন কলাম খবর ছাপিয়েছে ‘এনাদার বেঙ্গলিস উইনস নোবেল ইকনমিকস প্রাইজ’। বনেদি ইংরেজি পত্রিকা ডেইলি স্টার প্রথম পাতায় মাত্র এক কলামে শিরোনাম করেছে ‘ট্রিও এওয়ার্ডেড ফর ওয়ার্ক অন এলিভিয়েশন’। প্রাচীনপন্থি পত্রিকা ও ঐতিহ্যবাহী পত্রিকা ইত্তেফাক প্রথম পাতার লোয়ার ফোল্ডে দেড় কলাম আয়তনের শিরোনাম করেছে ‘অর্থনীতির নোবেল আরেক বাঙালির’। প্রচারসংখ্যার শীর্ষদাবীদার বাংলাদেশ প্রতিদিন প্রথম পৃষ্ঠার প্রথম কলামে (এক কলাম) শিরোনাম করেছে ‘স্ত্রীসহ বাঙালি অর্থনীতিবিদের নোবেল জয়।’ ইংরেজি দৈনিক দি ফিনান্সিয়াল এক্সপ্রেস লিখেছে ‘‘ওয়ান ‘বেঙ্গলি’ টু আদারস এওয়ার্ডেড ফর ওয়ার্ক অন প্রোভার্টি’’। রক্ষণশীল ডানপন্থী পত্রিকা নয়াদিগন্ত প্রথম পৃষ্ঠায় মোটামুটি শীর্ষস্থানীয় দুই কলাম শিরোনাম করেছে, ‘অর্থনীতিতে নোবেল পেলেন এক বাঙালিসহ তিনজন’। দেশ রূপান্তর প্রথম পৃষ্ঠায় তুলনামূলক বৃহৎ পরিসরে শিরেনাম লিখেছে ‘সস্ত্রীক বাঙালি অর্থনীতিবিদের নোবেল জয়’। প্রখ্যাত লেখক সৌরিণ ব্যানার্জী বলেছেন, ‘অঙ্গসজ্জার রীতিনীতি কাগজের সমস্ত পৃষ্ঠার জন্যই। তবু প্রথম পৃষ্ঠার গুরুত্ব সর্বাধিক। যেন সুয়োরানি। যত মাথাব্যথা তারই অঙ্গসজ্জা নিয়ে। প্রথম পৃষ্ঠাই তো পাঠকবর্গ প্রথম দেখে। দেখেই যদি না ‘মজিল মন’ অন্য পৃষ্ঠার পসরা তো অপঠিতই থেকে যাবে। প্রথম পৃষ্ঠার অঙ্গশোভা এমনই হওয়া উচিত যাতে পাঠককে বলা যায়, একটু দাঁড়াও, দেখো, পড়ো। এই যে বাংলাদেশের সংবাদপত্রগুলো প্রথম দর্শনে কী বোঝার উপায় আছে, একজন কৃতিমান বাঙালিকে নিয়ে উদযাপনের খবর এটি? কোন সে বাঙালি? কোনো শিরোনামেই তাঁর নাম নেয়া হয়নি। বাংলাদেশের শীর্ষ ১০টি পত্রিকার মধ্যে সবাই শিরোনামে অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ বন্দোপাধ্যায়ের নাম নেয়নি! শুধু তাই নয়। এর মধ্যে দুটি পত্রিকা শেষ পাতায় পাঠিয়েছে নোবেল জয়ের সংবাদকে! সেখানেও যথারীতি শিরোনামে অভিজিতের নাম নেই।

এই লেখা লিখতে গিয়ে কথা হচ্ছিলো কলকাতার দুই সাংবাদিকের সঙ্গে। কলকাতা প্রেসক্লাবের সভাপতি ও বিশিষ্ট মিডিয়া ব্যক্তিত্ব স্নেহাশিস সুর (দূরদর্শনের সিনিয়র সাংবাদিক) ব্যক্তিগত আলাপে জানালেন, অভিজিৎ বাবুর নোবেল প্রাপ্তির খবরটি ছাপানোর জন্য প্রক্সিমিটি একটি খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বাঙালি যদি অভিজিৎ বাবুর সাথে প্রক্সিমিটি অনুভব না করে তবে সংবাদটি গুরুত্ব হারাবে। যদিও বাংলাদেশের ড. ইউনূসের নোবেল প্রাপ্তিতে পশ্চিমবঙ্গে আমরা চমকার কাভারেজ দিয়েছি।

আনন্দবাজার পত্রিকার ব্যবসায় সাংবাদিকতার সিনিয়র সাংবাদিক ও এসিসটেন্টি এডিটর অমিতাভ গুপ্ত জানালেন, ‘সত্যিই দুর্ভাগ্যজনক। মনে পড়ছে, ড. মুহাম্মদ ইউনূস যখন নোবেল পেলেন, আমরা কিন্তু প্রায় পুরো কাগজ জুড়ে তার খবর করেছিলাম’। এই বলে তিনি পাঠিয়ে দিলেন আনন্দবাজার পত্রিকার মহাফেজখানা থেকে ড. ইউনূসের নোবেল প্রাপ্তির পরের দিনের আনন্দবাজার পত্রিকার প্রথম পৃষ্ঠা। যেখানে দেখা যাচ্ছে ব্যানার লিড করা হয়েছে- ‘অমর্ত্যের পর আবার হ্যাঁ/এবারও বাঙালির নোবেল: শান্তির শিরোপা পেলেন ইউনূস, গ্রামীন ব্যাঙ্কও’। বুঝলাম, সেদিন প্রতিবেশী দেশ ভারতের পশ্চিমবঙ্গ বাংলাদেশের ইউনূসের গর্বে গর্বিত হলেও আজ বাংলাদেশের সাংবাদিকতা পশ্চিমবঙ্গের বাঙালির গর্বে ‘নোবেল প্রাপ্তি উদযাপন’ করতে পারলো না। এইসব তুলনা থেকে চোখ ফেরানো যাক বিনয়ী অভিজিৎবাবুর দিকে। গতকাল তিনি বললেন, ‘‘পুরস্কার প্রত্যাশা করিনি। আমার চেয়ে আরও যোগ্য অনেকে আছেন; আমার চেয়ে অভিজ্ঞ, অনেক বেশি দিন অর্থনীতির দুনিয়ায় থাকা মানুষও আছেন।’’ আনন্দবাজার পত্রিকা লিখেছে- ‘নবজাগরণের বাঙালি সত্তা তো এই উত্তরই দেয়, কারণ বিদ্যা বিনয় দান করে, এই বিশ্বাস বাঙালির মজ্জায়। অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায় ঠিক সেই অর্থে বাঙালি। বৃহৎ বাঙাল’।

আমরা জানি, সভ্যতাঘাতি দুটো বিশ্বযুদ্ধ সাংবাদিকতার জগতে গভীর প্রভাব ফেলেছে। যুদ্ধের ফলাফল দ্রুত পৌঁছে দিতে সংবাদ পরিবেশন পদ্ধতিতে এসেছিল পরিবর্তন। মানুষের কাছে কত আগে যুদ্ধের সর্বশেষ গুরুত্বপূর্ণ খবরটি পৌঁছে দেওয়া যায় সেজন্য ইউরোপ-আমেরিকার কাগজে দেখা দিয়েছিল পৃষ্ঠসজ্জার নানান রূপরেখা। সেখান থেকেই গুরুত্বপূর্ণ খবর প্রথম পাতাতে উপস্থাপনের শুরু।

আমাদের চারপাশে এত হানাহানি, দুঃখ, কষ্ট, দুর্বিপাক, অপঘাতের মাঝে বাঙালি অধ্যাপকের নোবেল প্রাপ্তির খবরটি চাইলে গুরুত্বপূর্ণ জায়গা নিতে পারতো। কিন্তু সে উদারতা বা দূরদর্শিতা আমরা দেখাতে পারিনি। এতসব পত্রিকার মধ্যে মন্দের ভালো দৈনিক বণিকবার্তা। অর্থনীতিকে ভিত্তি করে এই দৈনিক পত্রিকাটি একটি বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সাংবাদিকতায় একটি স্বতন্ত্র অবস্থান নিতে পেরেছে। প্রথম পাতায় তারা দ্বিতীয় প্রধান শিরোনাম লিখেছে- ‘অভিজিৎ ব্যানার্জিসহ তিন গবেষকের অর্থনীতিতে নোবেল’। এই প্রথম ১০টি জাতীয় পত্রিকার ভিড়ে সবেধন নীলমণি হিসেবে বণিক বার্তায় নোবেল লরিয়েট বাঙালির নামটি দেখা গেলো। ফলে স্বাভাবিক মনেই প্রশ্ন আসে, কলকাতায় জন্মানো বাঙালি-আমেরিকান অধ্যাপক অভিজিৎ কি নানান বিবেচনায় ‘ভাসুর’, যে তাঁর নাম উচ্চারণ করা যাবে না শিরোনামে?

বাংলাদেশের কিশোরগঞ্জে জন্ম নেওয়া ব্রিটিশ নাগরিক নীরদ সি. চৌধুরী লিখেছিলেন, ‘আত্মঘাতী বাঙালি’। আজ বাঙালির চেহারা দেখলে মনে হয়, সমালোচক নীরদ বাবুই ঠিক। আমরা বাঙালিরা  নিজেরাই নিজেদের হত্যা করছি, হত্যা করছেন আমাদের বাঙালিত্বকে। যে অপরাধে অপরাধী আমরা এপার-ওপার দুপারের বাঙালি। আমরা ক্রমে ক্রমে ভাঙতে জানি, কিন্তু গড়তে দ্বিধায় ভুগি। রাজনীতি, সীমান্ত, জল, দেশ, মাটি, ধর্ম নিয়ে রেষারেষির প্রতিবেশী আমরা।

বাংলাদেশের সংবাদপত্রগুলো আজ বাঙালিকে কেবল আত্মঘাতীই নয় আরো বহুকিছু প্রমাণ করেছে। বাঙালি হয়তো ফের বিশ্বজয়ী, কিন্তু বাংলাদেশের সংবাদপত্রগুলো? কঠিন হলেও সত্যি, আমরা ভ্রাতৃঘাতী, কালক্ষয়ী এবং কূলক্ষয়ী!

রাজীব নন্দী: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের যোগাযোগ সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক এবং কনসালটিং এডিটর, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

 

এ সম্পর্কিত আরও খবর