বিরল দৃষ্টান্তের জন্য সরকারকে ধন্যবাদ

, যুক্তিতর্ক

সাইফুল্লাহ মাহমুদ দুলাল | 2023-08-27 00:20:23

সকাল থেকে একের পর এক ফোন কল পাচ্ছি, ধন্যবাদ পাচ্ছি। পাচ্ছি অভিনন্দন! তা আমাকে কেন অভিনন্দন!! ঘুম থেকে উঠে পত্রিকা পড়ি, ফেইসবুক দেখি এবং জানতে পারি—স্বাধীনতা পদক থেকে বাদ পড়লেন সেই রইজ উদ্দিন!

২০২০ সালের সদ্যসমাপ্ত একুশের গ্রন্থমেলায় স্বাধীনতা পুরস্কার ঘোষণা করার সাথে সাথে আমি-ই প্রথম প্রতিবাদ করে স্ট্যাটাস দেই এবং পরে প্রতিবাদী ব্যানার নিয়ে বইমেলার মাঠে দাঁড়াই। বিভিন্ন মিডিয়া তা প্রচার করে। সকাল বেলা লিখেছেন- লিখছেন, ‘আপনার প্রতিবাদ ধ্বনি প্রতিধ্বনিত হয়ে বিস্ফোরণ ঘটেছে অতঃপর বাতিল। এ এক ঐতিহাসিক ইতিহাস!’

ধন্যবাদ সরকারকে। সরকার একটি ভুল সিদ্ধান্তের সংশোধন করে বিরল দৃষ্টান্ত পালন করেছে। সে জন্য সরকারকে ঐতিহাসিক ধন্যবাদ। এবার উল্লেখ্য, স্বাধীনতার পরপর দালাল আইনে গ্রেপ্তার হওয়া খন্দকার আবদুল হামিদকে ১৯৭৭ সালে সাংবাদিকতায় অবদানের জন্য একুশে পদক দেওয়া হয়। ১৯৮০ সালে স্বাধীনতাবিরোধী হিসেবে পরিচিত শর্ষিনার পীর মাওলানা আবু জাফর মোহাম্মদ সালেহকে শিক্ষায় স্বাধীনতা পুরস্কার দেয়ার পর প্রবল বিতর্ক শুরু হয়। তাঁর সঙ্গে একই বছর শিক্ষায় ওই পুরস্কার পান জ্ঞানতাপস ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্। জিয়া সরকার স্বাধীনতা বিরোধীকে ‘স্বাধীনতা পদক’ দিয়ে জাতিকে অপমান করেছিলো।

শুধু তা-ই নয়; ২০০৩ সালে বিএনপি সরকারের সময় স্বাধীনতা পুরস্কারের প্রবর্তক জিয়াউর রহমানকে স্বাধীনতা পুরস্কার দেয় বিএনপি। একই সঙ্গে তা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকেও দেয়া হয়। ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রিসভা কমিটি জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতা পুরস্কারটি প্রত্যাহারের সুপারিশ করে এবং তা কার্যকর হয়।

রইজ উদ্দিনের স্বাধীনতা পদক বাতিলের মাধ্যমে অন্যান্য বিতর্কিত জাতীয় পর্যারের পুরস্কার এবং পদক প্রত্যাহারের পথ আরো সুগম হলো।

এ সম্পর্কিত আরও খবর