চতুর্থ বৈঠকের দিকে তাকিয়ে শ্রমিকরা!

পোশাক শিল্প, অর্থনীতি

ঊর্মি মাহবুব, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2023-08-25 04:01:30

কী হবে নিম্নতম মজুরি বোর্ডের ৪র্থ বৈঠকে- সে দিকে তাকিয়ে রয়েছে পোশাক শিল্পের ৪৫ লাখ শ্রমিক। ৩ সেপ্টেম্বর নিম্নতম মজুরি বোর্ডের ৪র্থ বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এর আগে মালিক পক্ষ থেকে ন্যূনতম মজুরি ৬ হাজার ৩শ টাকা ও শ্রমিক পক্ষ থেকে ১২ হাজার ২০ টাকা করার প্রস্তাবনা দেওয়া হয় বোর্ডে।

নিম্নতম মজুরি বোর্ড সূত্রে জানা যায়, জুলাই মাসের মধ্যে পোশাক শিল্পের ন্যূনতম মজুরি প্রস্তাবনা শ্রম মন্ত্রণালয়ের জমা দেওয়ার কথা থাকলেও নানা কারণে সম্ভব হয়নি। পরে আরো তিন মাস সময় বাড়িয়ে নেওয়া হয়েছে। তৃতীয় বৈঠকে যেহেতু মালিক ও শ্রমিক উভয়ই তাদের প্রস্তাবনা জমা দিয়েছে তাই চতুর্থ বৈঠকে আশা করা যাচ্ছে যে ন্যূনতম মজুরির বিষয়ে প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নেয়া সম্ভব হবে।

আর এই প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরই শ্রমিক পক্ষ থেকে পরবর্তী কর্মসূচি নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন শ্রমিকপক্ষ। আর তাই নিম্নতম মজুরি বোর্ডের চতুর্থ বৈঠকের দিকে তাকিয়ে রয়েছে শ্রমিকরা।

এ বিষয়ে গার্মেন্টস শ্রমিক ঐক্য ফোরামের সভাপতি মোশরেফা মিশু বলেন, আগামীকালের বৈঠকে (০৩ সেপ্টেম্বর) ন্যূনতম মজুরির বিষয়ে প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে বিভিন্ন সূত্র থেকে আমরা জানতে পেরেছি। আর নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে এই মুজির বোর্ড মাত্র তিনটি বৈঠক করতে সক্ষম হয়েছে। তাদের এই সেপ্টম্বরের মধ্যেই ন্যূনতম মজুরির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। এ বিষয়ে শ্রমিকরা আর কোনো ছাড় দিবে না। ন্যূনতম মজুরি বোর্ডের চতুর্থ বৈঠকের পর আমরা সিদ্ধান্ত নিবো আমাদের পরবর্তী কর্মসূচি কী হবে। সুতরাং কালকের বৈঠকটি আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

অন্যদিকে গার্মেন্টস শ্রমিক কর্মচারী লীগের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম রনি বলেন, ৩ সেপ্টেম্বর  নিম্নতম মজুরি বোর্ডের চতুর্থ বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। মালিকরা আর কতোটা মজুরি বাড়াতে পারেন বা শ্রমিক পক্ষ থেকে যে প্রস্তাবনা দেওয়া হয়েছে তাতে তারা কোনো ছাড় দিবেন কিনা তা ঐ বৈঠকেই জানা যাবে। আর ৩ সেপ্টেম্বর এই বৈঠকের পরই শ্রমিকদের আন্দোলন কোন দিকে যাবে সে বিষয়ে ধারণা পাবেন সবাই। আর তাই এই বৈঠকের দিকে নজর এখন আমাদের সবার।

চলতি বছরের ৩১ জানুয়ারি পোশাক শিল্পের শ্রমিকদের জন্য গঠন করা হয় নিম্নতম মজুরি বোর্ড। ছয় মাসের মধ্যে ন্যূনতম মজুরির প্রস্তাবনা দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়। পরবর্তীতে জুলাই মাসে নিম্নতম মজুরি বোর্ডের মেয়াদ আরো তিন মাস বাড়ানো হয়। এর মধ্যে জুলাই মাসের ১৬ তারিখে বোর্ডের তৃতীয় বৈঠকে শ্রমিকদের পক্ষ থেকে ১২ হাজার ২০ টাকা ও মালিকপক্ষ থেকে ৬ হাজার ৩শ টাকা ন্যূনতম মজুরি করার প্রস্তাবনা দেওয়া হয়।

এ সম্পর্কিত আরও খবর