এখন থেকে রাইড শেয়ারিং সেবা উবারের পেমেন্ট বিকাশে পরিশোধ করতে পারবেন গ্রাহক। ফলে, নগদ এবং ভাংতি টাকার ঝামেলা ছাড়াই রাইডের ভাড়া যাত্রীর বিকাশ একাউন্ট থেকে স্বয়ংক্রিয় ভাবে পরিশোধিত হয়ে যাবে। প্রিয়জনকে উবার রাইড দিয়েও গ্রাহক নিশ্চিন্তে যেকোন স্থান থেকে যেকোন সময় ভাড়া পরিশোধ করতে পারবেন। বহুল প্রতীক্ষিত ক্যাশলেস এই পেমেন্ট ব্যবস্থা, বিশেষ করে কোভিড-১৯ সংক্রমণ প্রতিরোধের এই সময়ে যাত্রী এবং চালক উভয়কেই আরো নিরাপদ রাখতে সাহায্য করবে।
উবার রাইডের ভাড়া বিকাশে পরিশোধ করার সেবা নিতে উবার অ্যাপের ‘টাচ’ মেনু থেকে ‘পেমেন্ট’ বা ‘ওয়ালেট’ নির্বাচন করতে হবে। এরপর ‘অ্যাড পেমেন্ট মেথড’ নির্বাচন করতে হবে। পরের ধাপে বিকাশ নির্বাচন করে বিকাশ অ্যাকাউন্টের তথ্য সংযুক্ত করতে হবে। প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়ে গেলে গ্রাহক একটি নোটিফিকেশন পাবেন। এই পেমেন্ট পদ্ধতিতে একবার বিকাশ অ্যাকাউন্ট যুক্ত করলে পরবর্তী সব রাইডের ভাড়া স্বয়ংক্রিয়ভাবেই পরিশোধ হয়ে যাবে। এছাড়া দুর্বল নেটওয়ার্ক, গেটওয়ের বিরতি কিংবা অ্যাকাউন্টে অপর্যাপ্ত ব্যালেন্সের কারণে কখনো কখনো গ্রাহকের লেনদেনে যে বিলম্ব হয়ে থাকে, তাও এখানে এড়ানো সম্ভব হবে।
পেমেন্ট ডিজিটালাইজেশনে বাংলাদেশে এই প্রথম বিকাশের মত কোন আর্থিক সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের সাথে উবার এর পার্টনারশীপ হ’ল যা উভয়েরই এক বিশাল গ্রাহকগোষ্ঠীকে নিরবচ্ছিন্ন সেবা দেয়ার সুযোগ সৃষ্টি করলো। একই সাথে এটি সরকারের ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ উদ্যোগের ইকোসিস্টেম তৈরির পথেও একটি গুরুত্বপূর্ণ সংযোজন।
এ প্রসঙ্গে উবার এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের ডিরেক্টর, বিজনেস ডেভেলপমেন্ট নন্দিনী মহেশ্বরী বলেন, বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে বিকাশের মত শীর্ষস্থানীয় ফিনটেক প্রতিষ্ঠানের অবদানের প্রতি আমরা সম্মান জানাই। এই পার্টনারশিপ গড়ার মাধ্যমে আমাদের গ্রাহকদের বিকাশের মত পেমেন্ট অপশনের সাথে যুক্ত করতে পেরে আমরা আনন্দিত। বিশ্ব মহামারীর এই সময়ে যখন শহরগুলো আবার সচল হতে শুরু করেছে তখন নিরাপদ, ক্যাশলেস লেনদেনে মাধ্যমে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করার গুরুত্ব আমরা অনুধাবন করেছি। এই পার্টনারশিপ নগদ টাকার উপর নির্ভরতা কমিয়ে দেশের ডিজিটাল আর্থিক অবকাঠামো আরো উন্নত করতে ভূমিকা রাখবে।’
এই প্রসঙ্গে বিকাশের চিফ কমার্শিয়াল অফিসার মিজানুর রশীদ বলেন, মহামারীর এই সময়ে বিকাশের মাধ্যমে উবার রাইডের স্বয়ংক্রিয় পেমেন্ট গ্রাহকদের জন্য আরো স্বস্তি বয়ে আনবে। নতুন এই ডিজিটাল পেমেন্টের অভিজ্ঞতা নিরবচ্ছিন্ন রাইড শেয়ারিং সেবা গ্রহণকে আরো নিশ্চিত করলো। অন্যদিকে রাইড শেয়ারিং সেবার শীর্ষ প্রতিষ্ঠান উবারের পেমেন্ট বিকাশের সেবা তালিকায় যুক্ত হওয়ায় আমাদের বৈচিত্রময় সেবা সম্ভার আরো সমৃদ্ধ হলো।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে বাংলাদেশে কার্যক্রম শুরু করার পর থেকে প্রথম রাইডশেয়ারিং প্রতিষ্ঠান হিসেবে উবার দেশের বিভিন্ন শহরের চালক ও যাত্রীদের নিরবচ্ছিন্ন সেবা দিয়ে আসছে। রাজধানী ঢাকার পাশাপাশি চট্টগ্রাম, সিলেট ও কক্সবাজারের মতো শহরে সফলতার সাথে তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।